আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতি,যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশিত: ১১:২৭ পিএম, অক্টোবর ১৮, ২০২১
ডেইলি খবর ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে যার লড়াই করার কথা তিনি তা না করে নিজেই হয়েছেন দুর্নীতিবাজ। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান,সচিবসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুদক।সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। দুদক উপ-পরিচালক মো:নাজমুচ্ছায়াদাত ইত্তেফাককে জানান,প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।অভিযুক্তরা হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম,প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে,শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হারুণ অর রশিদকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধনী এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তুত কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মানী বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার বিপরীতে আড়াই হাজার টাকা আয়কর কর্তন করা হয়। ২০২০ সালের ৭ আগস্ট আড়াই হাজার টাকা আয়করের চেক বই প্রস্তুত করা হয়। হিসাব সহকারী আবদুস সালাম চেকের মুড়ি বইয়ে আড়াই হাজার টাকা লিখলেও চেকে প্রাপক হিসেবে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিখে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা ইস্যু করা হয়। চেকে সচিব ও চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দেন। সেই চেক শরিফুল ইসলাম বাবু তার নিজস্ব অ্যাকাউন্ট ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখায় জমা দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। এভাবে আয়কর বাবদ ১০ হাজার ৫৩৬ টাকার স্থলে ৯টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা আত্মসাত করে আসামিরা।যশোর শিক্ষাবোর্ডের অডিট অফিসার আবদুস সালাম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ সরকারের ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ৭টি ও শাহীলাল স্টোর নামে দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করা হয়। আমরা চেকের মুড়ি বইয়ের সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। অথচ মুড়ি বাইয়ের চেকের অংকের সঙ্গে ইস্যুকৃত চেকের অংকের মিল নেই।সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবোর্ড শাখার ব্যবস্থাপক এসএম শাহিদুর রেজা জানান, ভেনার্স প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ঢাকার ফকিরাপুল ঠিকানার চেক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে এসব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো:নাজমুচ্ছায়াদাত জানান,আমরা ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। সরকারের টাকা আত্মসাত করে কেউ পার পাবে না।