শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউর জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে লাগবে সুষ্ঠু ভোট

প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, মে ২৮, ২০২৩

ইইউর জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে লাগবে সুষ্ঠু ভোট

ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে বেশকিছু শর্ত। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকায় ইইউর প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। অবশ্য জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। ইইউর ঢাকাস্থ প্রধান বলেন, মার্কিনিদের মতো ভিসা নীতিতে নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। অস্ত্র ছাড়া ইউরোপে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায় বাংলাদেশ। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ফলে ২০২৯ সালে জিএসপি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তবে জিএসপি প্লাস নামে আরেকটি নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে ইইউ। যাতে মিলবে প্রায় একইরকম সুবিধা। কিন্তু এজন্য মানতে হবে ৩২টি কনভেনশন (নিয়ম)। যার অন্যতম সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। বাংলাদেশে ইইউর প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তবে তা দারুণ ইতিবাচক সিগন্যাল দেবে যে, বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত। কারণ, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সবার ন্যূনতম নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল ৮ জুলাই আসবে, থাকবে ২১ তারিখ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সঙ্গে কথা বলবে। এখানের পরিবেশ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। শুধু ব্যালট বাক্স ও ভোটিং পদ্ধতির স্বচ্ছতাই দেখবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির পথে হাঁটছে না ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইইউ। তবে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। হোয়াইটলি বলেন, মার্কিনিরা তাদের নীতি গ্রহণ করেছে, আমাদেরটা ভিন্ন। আমরা নির্বাচনী পূর্ব মিশনে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলো জানে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। কোন দল অংশ নেবে, একান্তই তাদের পছন্দ। যদি কোনও অবিশ্বাস থাকে তবে সংলাপে বসতে পারে।
Link copied!