মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনূসকে চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৪৫ এএম, মে ১৯, ২০২২

ইউনূসকে চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

ডেইলি খবর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন ইউনূসকে চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা,আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত। তিনি বলেন,‘একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে,তাকে পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে তোলা উচিত। মরে যাতে না যায়, পদ্মা নদীতে একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি শিক্ষা হয়। পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটি এমডি পদে তাকে থাকতে হবে।’বুধবার আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় সেতু প্রসঙ্গে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামেরও সমালোচনা করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল,জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাওৃতাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’মঙ্গলবার ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসিত জীবন থেকে তিনি দেশে ফেরেন। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটি। এতে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করেছে। ড.ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তাঁকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রমিীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। উপদেষ্টা হিসেবে থাকা আরও উচ্চ মানের। তার এমডিই থাকতে হবে। সেটা সে ছাড়বে না। কিন্তু তার বয়সে কুলায় না।’ বিষয়টি নিয়ে ইউনূস মামলা করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘কোর্ট আর যাই পারুক,তার বয়স তো ১০ বছর কমিয়ে দিতে পারবে না। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি পদে থাকতে পারবে। তখন তার বয়স ৭১ বছর। বয়সটা কমাবে কীভাবে? সে মামলায় হেরে যায়। কিন্তু প্রতিহিংসা নেয়।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শুনেছি, সে (ইউনূস) আর মাহ্ফুজ আনাম আমেরিকায় যায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায়। হিলারি ক্লিনটনকে ই–মেইল করে। মি. জোয়েলিক সে সময় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর শেষ কর্মদিবসে, কোনো বোর্ডসভায় নয়, পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেন।’ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের ফলে শাপেবর হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে, সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমাদের এখানে একজন জ্ঞানী লোক বলে ফেললেন, পদ্মা সেতুতে যে রেললাইন হচ্ছে, তাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, তা তো ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। এ ঋণ কীভাবে শোধ হবে?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন,বড় বড় অর্থনীতিবিদ,‘জ্ঞানী-গুণী এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলেন কীভাবে? মেগা প্রজেক্টগুলো করে নাকি খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে।’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সমালোচনা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এত টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট করে কী হবে এ প্রশ্নও কিন্তু তুলেছে তারা। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথা বলার অধিকার নেই-নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথা বলার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু তাদের নির্বাচনের ইতিহাস এতটা কলুষিত যে তাদের এ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকারই নাই। কোন মুখে তারা বলে?’বিএনপি সরকারের আমলে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফালু (মোসাদ্দেক আলী ফালু) ইলেকশন করেছিল যে ইলেকশনের চিত্র সবার নিশ্চয়ই মনে আছে। মাগুরা ইলেকশন হয়—যে ইলেকশন নিয়েই আন্দোলন করে আমরা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করেছি। মিরপুর ইলেকশন-প্রত্যেকটা নির্বাচনের চিত্রই আমরা দেখেছি।’ তিনি ’৭৭ সালের হ্যাঁ-না ভোট,’৭৮ এর রাষ্ট্রপতি,’৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচন,১৯৮১ এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের কথাও উল্লেখ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন,বর্তমানে নির্বাচনব্যবস্থার যে উন্নয়ন হয়েছে,তা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ও চিন্তাচেতনার বাস্তবায়ন। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ইভিএম ব্যবস্থা বলবৎ করে আওয়ামী লীগই।
Link copied!