মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামে ২০০০ কোটি টাকা জমার রহস্য ধামাচাপা?

প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, জুলাই ৯, ২০২১

ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামে ২০০০ কোটি টাকা জমার রহস্য ধামাচাপা?

  • ডেইলি খবর ডেস্ক: ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখায় বিদেশ থেকে আসা রহস্যজনক ২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অর্থ কে পাঠিয়েছে সেসব নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। বছর পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে লুকোচুরি কেনো হচ্ছে,তা নিয়ে নানা মহলে কানাঘুষা জোড়দার হচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল নে করেন তাহলে ষিয়টি কৌশলে চাপা দেয়া হচ্ছে? সুদকে করেছে হারাম বা শতভাগ হালালসহ নানা প্রচারনা চালিয়ে ইসলামী ব্যাংক ব্যবসায় তারা এগিয়ে থাকার প্রচারনা করলেও গোপন অর্থ কিভাবে আসে কিংবা কালো টাকা,ঘুষের টাকার বা দুর্নীতির টাকার নিরাপওা দেয়ার কৌশল জানা ইসলামী জুড়ি নেই। সূত্র জানায়,দুদকের উপ-পরিচালক মো:আবু বকর সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা একটি চিঠি গতবছরের ১৫ই ডিসেম্বর বিএফআইইউতে পাঠানো হয়। দুদকের নথি বলছে, ২০১৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের অফশোর ইউনিটে দুই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল আসে। কোথা থেকে এ তহবিল এসেছে তার উৎস অজ্ঞাত। পরে ওই টাকার একটি অংশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হলেও এ টাকা কাদের অ্যাকাউন্টে গেছে তাও নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়াটি এমনভাবে করা হয়েছে যাকে মানি লন্ডারিংয়ের ভাষায় ‘লেয়ারিং’ বা জটিল লেনদেনের মাধ্যমে টাকার উৎস গোপন করার মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। রহস্যময় ওই টাকার উৎসের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। এরই মধ্যে কিছু নথিপত্রও পেয়েছে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র কাছে এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন চেয়েছে দুদক। অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটির একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকী ছাড়াও বাকি সদস্যরা হলেন-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ ও সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান। 
Link copied!