শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসি, ভোট ও ইভিএম নিয়ে সংসদে তর্কাতর্কি

প্রকাশিত: ০৮:১৪ এএম, জুলাই ১, ২০২২

ইসি, ভোট ও ইভিএম নিয়ে সংসদে তর্কাতর্কি

নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে দীর্ঘ তর্কাতর্কি হয়েছে সংসদে। বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ইসিকে স্বাধীন বলা হলেও কার্যত পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে প্রশাসন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চায় না। ইভিএমের গোপনকক্ষে যে ‘ডাকাত দল’ থাকে সেখানে দলীয় ক্যাডারের সঙ্গে প্রশাসন ও পুলিশের লোকজনও থাকেন। আর জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপিরা বলেছেন, নির্বাচন একটি যুদ্ধ। সেখানে যার শক্তি বেশি প্রশাসন সেদিকেই থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাশের আগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে আনীত মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনায় এই বিতর্ক হয়। বিশ্বের কোথাও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না: আইনমন্ত্রী বিরোধী দলের এমপিদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিশ্বের কোথাও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই ডোনান্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাদের দেশে নির্বাচনে ভোট চুরি হয়েছে। অর্থাৎ কারো একচ্ছত্র অধিকার নেই বলার যে, আমাদের এখানে ভোট সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির জবাবে তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্হা অবৈধ, আদালতের রায় থেকে সরকার এক সুতাও সরবে না। কারণ, বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আরপিওতে বলা আছে, নির্বাচনের সময় প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে, আইনে যা আছে তাই হবে। আইনমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ মেজরিটি দিয়ে পাশ করিয়েছে। নির্বাচন, ইসি ও ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলের এমপিদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভোট কীভাবে হয়েছে তা আমরা দেখেছি। ঐসময় কারো ভোটকেন্দ্রে যাওয়া লাগত না। ভোট হয়ে যেত। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোট দিলেন, ভোটকেন্দ্রে কেউ যায়নি। কিন্তু উনি ৯৯ শতাংশ ভোটে জিতে গেলেন। ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন কমিশন তাদের (বিএনপি) ছিল। মাগুরার ভোটের কথাও সবাই জানে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কী করেছে। এগুলো কি উনারা ভুলে গেছেন। সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নির্বাচন কমিশন সচিবালয় খাতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্য অর্থবছরের প্রয়োজনীয় উন্নয়নব্যয় নির্বাহকল্পে রাষ্ট্রপতিকে অনধিক ৭৫৯ কোটি টাকা মঞ্জুরের দাবি তোলেন। এর ওপর দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাবে আলোচনা করেন বিএনপি, জাপা ও গণফোরাম দলীয় এবং স্বতন্ত্র এমপিরা। ছাঁটাই প্রস্তাব আনা এমপিরা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য দাবিকৃত মঞ্জুরি কমিয়ে এক টাকা করার প্রস্তাব দেন। আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার সেটা করা হবে। আর এর পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন। সেটা করা হয়েছে। বিএনপির এমপিরা নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ ছাঁটাই করে এক টাকা দিতে বলেছেন। উনারা পারবেন এক টাকা দিয়ে কোনো নির্বাচন করে দিতে? পারবে না। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের টাকা লাগবে। অবসরের দুই দিন আগে স্হানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীনের বিদেশ সফর বিষয়ে বিএনপির এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অভিযোগের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিদেশের আমন্ত্রণে মন্ত্রী এবং সচিব টিম নিয়ে ডেলটা প্ল্যান বিষয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। তারা সেখান থেকে শিখে এসেছেন। এটা হয়েছে বিদেশি সরকারের ব্যবস্হাপনায়। আর তখন তিনি সচিব ছিলেন। এখানে কি কোনো অন্যায় আছে? জানি না, উনি কোথা থেকে অন্যায় দেখলেন। যার শক্তি বেশি প্রশাসন সেদিকেই থাকে, ইসির কিছু করার থাকে না: ফিরোজ রশীদ জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বলেন, আমরা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করি তাহলে ঘরে বসে নির্বাচন কমিশন কোনো দিন কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো দিন স্বাধীন না। সব কমিশনই সরকার দ্বারা গঠিত হয়, সরকারের অধীনে কাজ করে। আইয়ুব খানের আমলে হয়েছে, জিয়াউর রহমানের আমলে হয়েছে, আমাদের আমলেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। এটা চলতেই থাকবে। নির্বাচনের সময় যার ক্ষমতা বেশি, যার শক্তি বেশি, লোকসংখ্যা বেশি—তাকে কোনো কিছু করে রোধ করা যায় না। নির্বাচন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। লোকাল প্রশাসন যেদিকে শক্তি দেখে, যার লোক বেশি দেখে সেন্টারে, প্রশাসন সেদিকে চলে যায়। ইসির তখন কিছুই করার থাকে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু ইসির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হবে না। ভোট করে প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ইভিএম চায় না: হারুন ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, আধুনিক রাষ্ট্রে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনি ইনস্টিটিউশন যদি শক্তিশালী না হয়, নির্বাচনি ব্যবস্হার প্রতি যদি জনগণের আস্হা-বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, সেই দেশে নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে নির্বাচনি ব্যবস্হা সম্পর্কে এমন একটা অনাস্হা তৈরি হয়েছে, এখানে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে যে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, এটি জনপ্রশাসন এবং জননিরাপত্তা বিভাগে দিয়ে দিন। নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করে না, নির্বাচন করে স্হানীয় পর্যায়ের প্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসনের ব্যক্তিরা। হারুন বলেন, বর্তমান ইসি বলছে —ইভিএম এর ভোটকক্ষে যে ডাকাত থাকে সেটি ধরাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে কোনোভাবেই নির্বাচন সঠিক করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল ইভিএম চাচ্ছে না। বিএনপির এই এমপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ’৯৬ সালে যখন আন্দোলন করেছেন, তখন তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তো আজকে বিএনপিকে ছাড়া কী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? পারবেন না। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে কীভাবে আনবেন সেটিই বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্হা নিয়ে আসতে হবে। ইভিএমের ওখানে ডাকাত দলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকও থাকে: রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত আসনে বিএনপি দলীয় এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে যদি নির্বাচনই না থাকে, মানুষ যদি তার ভোটই প্রয়োগ না করতে পারে, মানুষ যদি তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে, আগে থেকে যদি ব্যালটে বাক্স ভরা থাকে, দিনের ভোট যদি রাতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন দিয়ে কী হবে। নির্বাচন যে এখন একটা মল্লযুদ্ধ তার একটা বড় প্রমাণ এই নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন —ইউক্রেনের জেলেনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি একটা যুদ্ধ যে জেলেনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে? আরেক কমিশনার বলেছেন —মেশিনে কোনো সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে গোপন কক্ষে যে ডাকাত ঢুকে থাকে। এই ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তা নয়, এরমধ্যে আছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকাতদের যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বোঝা যায় ভবিষ্যতে আরো ডাকাত বাড়বে। একজন ডাকাতের উদাহরণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় যিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন হেলালুদ্দীন সাহেব, তাকে পরবর্তী সময়ে প্রাইজ পোস্টিং দিয়ে স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। তিনি অবসরের ২৪ ঘণ্টা আগে ইউরোপ সফর করে আসেন। এভাবে যদি ডাকাতদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়, তাহলে এই দেশে নির্বাচন কোনো দিনও সুষ্ঠু হবে না। বিনাভোটে সংসদ গঠন চলতেই থাকবে। রুমিন আরো বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মাত্র এক জন এমপির হুমকি-ধামকি এই নির্বাচন কমিশন সামাল দিতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাকে চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাকে এলাকা থেকে সরাতে পারেনি। যে কমিশন এক এমপিকে সামাল দিতে পারে না, সেই কমিশন কী করে ৩০০ এমপিকে সামাল দিয়ে জাতীয় নির্বাচন করবে? এটাই বড় প্রশ্ন। ইসি প্রশাসননির্ভর হতে বাধ্য হয়, তাই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়: শামীম হায়দার জাপার ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন। গণতন্ত্র মানে বহুদলীয় গণতন্ত্র। কিন্তু নির্বাচনের সময় ইসি প্রশাসননির্ভর হতে বাধ্য হয়। তাই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে। ইসি যত শক্তিশালী হবে, তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ততোই যৌক্তিকতা হারাবে, এটা মনে রাখতে হবে। অন্যরা যা বললেন জাপার এমপি রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, যার কাজ তাকে করতে দিতে হবে। আরেক জনকে দিয়ে তো কাজ করানো যাবে না। ইসির দায়িত্বই হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন সঠিক হতে হবে, সুষ্ঠু হতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকতে পারে না। ভারতে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সেখানে প্রশ্ন তোলা হয় না। আমাদের দেশের নির্বাচনে ঐ ধরনের পরিবেশ আসা দরকার। ডিজিটাল যুগে ইভিএমের কোনো দোষ নেই। যারা ইভিএম মানে না, সমস্যা কোথায়, সেটা পরিবর্তন করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে পেছনে যদি কেউ থাকে, পেছনে যেন কেউ না থাকে, সেটা দেখতে হবে। জাপার অধ্যাপিকা রওশন আরা মান্নান বলেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, সেটাই মানুষ কামনা করে। গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন কমিশনই ভোট সুষ্ঠু করতে পারেনি। নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রভাব পরিবেশ নষ্ট করে। ইভিএম নিয়ে ইসি দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে, অনেক দল যায়নি। আওয়ামী লীগসহ মাত্র চারটি দল ইভিএমের পক্ষে বলেছে। গণফোরামসহ অন্যরা ইভিএমের বিপক্ষে বলেছে। স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, বিএনপিসহ সব দলকে কীভাবে নির্বাচনে আনা যায়, সরকারকে সেই পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- জোর যার মুল্লুক তার। শক্তি না থাকলে কিছুতেই কাজ হবে না। কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলায় আইনমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন রুমিন সরকারের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে পোশাকের কথা তোলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এক হাত নিলেন বিএনপির এমপি রুমিন ফারহানা। বুধবার সংসদে রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, চলতি বাজেট অধিবেশনকে ‘পদ্মা সেতু অধিবেশন’ বা ‘বিএনপি অধিবেশন’ বলা যায়। কারণ এটা বাজেট অধিবেশন হলেও পদ্মা সেতুর আলোচনায় এবং খালেদা জিয়া ও বিএনপির সমালোচনায় ৯০ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। রুমিনের ঐ বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বরাদ্দের বিষয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি-বেশি কথা বলছি। এটা নাকি ছিল সংসদের কাজ। আমরা এই সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাপ করেছি। পদ্মা সেতু অফকোর্স বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দেওয়ার পরে যদি কোনো ঐতিহাসিক তত্পর্যপূর্ণ স্হাপনা হয়ে থাকে, সেটা হচ্ছে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না, কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কী উনার (রুমিনের) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না।’ পরে জননিরাপত্তা বিভাগের বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি হচ্ছে যখন কোনো যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। উনি যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কি-না, এমন অভব্য বক্তব্য দিয়েছেন, যা আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। এই বক্তব্য পুরো সংসদের জন্য লজ্জার।’
Link copied!