শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার নির্মল আনন্দ

প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, মে ১, ২০২২

ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার নির্মল আনন্দ

ডেইলি খবর ডেস্ক: ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার নির্মল আনন্দ।প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছেন মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে ঈদযাত্রা।বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি অনেকটাই কম। সরকারি ছুটির পর থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত মহাসড়কগুলোতে যানজটের তীব্রতা ছিল না। তবে শনিবার ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যেতে মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট ছিল। এদিন সন্ধ্যার পর গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় যানজট বাড়তে থাকে। এজন্য ওই সময় যাত্রীদের বাসের দেখা পেতে অপেক্ষার ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম দুই প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরিতে পার হওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ সময় ছিল এক থেকে তিন ঘণ্টা। তবে বেশিরভাগ ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে। অবশ্য মাঝপথের স্টেশনে বিপুলসংখ্যক মানুষ উঠে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন আগাম টিকিট সংগ্রহকারী যাত্রীরা।এদিকে ঢাকা নদীবন্দরে সারাদিন ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সন্ধ্যা গড়াতেই লঞ্চে ভিড় বাড়তে থাকে। কালবৈশাখী ঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ছাদে যাত্রী নিয়েই ছেড়ে যায় বেশিরভাগ লঞ্চ। সন্ধ্যার পর ঝড়ের সংকেত জারির পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ কয়েকটি রুটের ছোট লঞ্চ কিছু সময়ের জন্য চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময়ে বিপুলসংখ্যক যাত্রী আটকা পড়েন। সরেজমিন রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিতে কাটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার দেশের সড়ক ও মহাসড়কের অবস্থা ভালো। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিতেই কাটবে।রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ আশা প্রকাশ করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন,‘আগে গাজীপুরের যে জায়গাটায় যানজট ছিল, এখন সেখানেও গাড়ি চলাচল করছে। ফলে স্বস্তিতেই ঘরমুখো মানুষদের ঈদযাত্রা কাটবে।অতিরিক্ত ভাড়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কারণে শুক্রবার চারটি কাউন্টারকে জরিমানা করা হয়েছে। বাস টার্মিনালগুলোতে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে। যাত্রীদের অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ এদিকে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এবার ঈদে সাত কারণে ভোগান্তি অনেকটা কম হয়েছে। যেমন- ঈদে দীর্ঘ ছুটি, পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, সড়ক সংস্কার ও সেতু খুলে দেওয়া, মহাসড়কগুলোতে ইউটার্ন কমিয়ে দেওয়া, লঞ্চের সংখ্যা ও ট্রিপ বৃদ্ধি এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এড়ানো। তারা জানান, সড়ক-মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আগের চেয়ে বেশি। জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যা বলেন, সড়কপথে যাত্রী অনেক কমে গেছে। যাত্রীর অভাবে টার্মিনালে বাস রেখে দেওয়া আছে। অনেক যাত্রী বিকল্প পথে গন্তব্যে চলে গেছেন। তিনি বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা ভালো, সড়কেও গাড়ি কম। এসব কারণে ভোগান্তি কম হয়েছে। দেখা গেছে, এবার বিপুলসংখ্যক মানুষ বিকল্প যানবাহন- মোটরসাইকেল, ট্রাক ও মিনিট্রাক এবং ভাড়া করা গাড়িতে বাড়ি গেছেন। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বেড়ে যাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরিতে গাড়ি পার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তাদের। এ কারণে শিমুলিয়ার এক নম্বর ফেরিঘাটটি শুধু মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বাকি তিনটি ঘাটে অন্যান্য গাড়ি পার হয়েছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধু সেতুতে একাধিক কাউন্টারে শুধু মোটরসাইকেলের টোল আদায় করা হয়।পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান,বিকল্প উপায়ে বিপুলসংখ্যক যাত্রী চলে যাওয়া বাস ও লঞ্চে তুলনামূলক যাত্রী কম ছিল। এ কারণে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। যদিও গার্মেন্ট ছুটির পর বিকালে এসব টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত এ ভিড় অব্যাহত ছিল। এছাড়া অনেক বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এ অভিযোগে গাবতলীতে বেশ কয়েকটি বাসকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছাদে যাত্রী বহন করায় সদরঘাটে চারটি লঞ্চকেও জরিমানা করা হয়। সরেজমিন গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় খুব একটা নেই। তবে মিরপুর বেড়িবাঁধ, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, আমিনবাজার এলাকায় শত শত মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের বেশিরভাগই লোকাল বাসে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে গিয়েছেন। এছাড়া অনেক যাত্রী কম ভাড়ায় ট্রাকে চড়েও দূরপাল্লার জেলায় গেছেন। যদিও আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ মাইকিং করে পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী বহন এবং বাসের ছাদে যাত্রীদের না চড়তে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। তবে এ অনুরোধ তোয়াক্কা না করে অনেককেই এভাবে বাড়ি যেতে দেখা গেছে। যদিও এভাবে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আমিন বাজারে ট্রাক থামিয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের যাত্রী ডাকছিলেন চালক আব্দুস সালাম। তিনি জানান,শনিবার ভোররাতে কাঁচাপণ্য নিয়ে মিরপুর আসেন তিনি। যাবার সময়ে পীরগঞ্জ পর্যন্ত ৫০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বাসে গেলে ৮০০ টাকার কমে যাওয়া যায় না। ট্রাকে ৩০০ টাকা কম ভাড়া হওয়ায় যাত্রীরাও যাচ্ছেন। এভাবে যাত্রী নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কী না- জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘আমারটা বড় ট্রাক। তিন টনের ট্রাকেও মানুষ যাচ্ছেন। বাসের চেয়ে ট্রাক বেশি নিরাপদ।’ এদিকে গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস কোম্পানিগুলোর শ্রমিকরা জানান, এবার ঈদে বাসের যাত্রী অনেক কম। ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিকল্প পথে অনেক যাত্রী চলে গেছেন। এ কারণে যাত্রীর অভাবে অনেক কোম্পানি বাসের ট্রিপ কমিয়ে দিয়েছে। শ্যামনগর এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সবুজ বিশ্বাস বলেন, যাত্রীর অভাবে গাড়ি ছাড়তে পারছি না। আমার ১০-১২ জন শ্রমিক রয়েছে। তাদের বেতন বোনাস দিতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ যাত্রীই লোকাল বাসে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন। একটি বাস কোম্পানির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, লোকাল ওই বাস কোম্পানির গাড়ি পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত যাওয়া অনুমতি না থাকলেও তারা ঘাট পর্যন্ত যাচ্ছে। পাশাপাশি সীমিত সংখ্যক গাড়ির অনুমতি নিয়ে শত শত গাড়ি নামিয়েছে কোম্পানিটি। বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে গাবতলীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেলফি পরিবহণকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে। সরেজমিন মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বেলা গড়াতে এ টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া চাপ ছিল। সময়মতো গাড়ি মিললেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে যাত্রীদের। একাধিক বাস কোম্পানির শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির পর থেকেই মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। গত শনিবার অনেক গার্মেন্ট ও শিল্প-কারখানা ছুটি হয়েছে। একাধিক দিনে যাত্রীরা বাড়ি যাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাপ কম।মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহণের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সবাইকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা যায়। টিকিট বিক্রেতা এনাম হোসেন জানান, যাত্রীর চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় যাত্রীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত গাড়ি লেট করে ছাড়েনি। কেননা গাড়িগুলো সময়মতো অন্য জেলা থেকে ঢাকায় ফিরছে। সরেজিমন আরও দেখা যায়, যাত্রীদের নিরাপত্তায় মহাখালী বাস টার্মিনালে পুলিশ, র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভিজিলেন্স টিমও কাজ করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বেশ কিছু বাস কোম্পানি বাড়তি ভাড়া নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। বেসরকারি চাকরিজীবী আরমান স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে খুলনা যেতে বাস টার্মিনালে আসেন। তিনি জানান, ভিড় তেমন না বাড়লেও বাসের টিকিট কাটতে বিড়ম্বনায় পড়েছি। প্রতি টিকিটে ২০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। চাঁদপুরের কচুয়াগামী যাত্রী আসলাম জানান, সবসময় ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়িতে যাই। সেই ভাড়া আজ নিচ্ছে আড়াইশ টাকা। চাঁদপুরের কচুয়ার রুটে চলাচলরত সুরমা পরিবহণের তত্বাবধায়ক লাবলু জানান, আমাদের ভাড়া ২২০ টাকা। শ্রমিকদের ঈদ বোনাসের জন্য ওরা ৩০ টাকা বেশি নিচ্ছে। তিশা পরিবহণের শ্রমিক জুয়েল বলেন, আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি। যদিও আসার সময় খালি আসতে হয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম রুটের বাসের সুপারভাইজার জানান, জিপি বা চাঁদা দেওয়া বন্ধ নেই। ঈদ এলে বিভিন্ন চাঁদা বেড়ে যায়।সময়ে চলছে ট্রেন : শনিবার ২-৪টা ট্রেন সামান্য বিলম্বে চললেও ৯৮ শতাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে চলাচল করছে। এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে। গতকাল ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে কমলাপুর থেকে প্রায় সব কটি ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রী ঠাসা ছিল। আসনসংখ্যার বিপরীতে ২০ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট কেটে যাত্রীদের ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। কিছু ট্রেন বিলম্বে চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়নি। যাত্রীরাই বলছিলেন,প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় নিয়েছে। বিষয়টিকে স্বাভাবিক দেখছেন যাত্রীরা।পশ্চিমাঞ্চলে চলা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ৩৭ মিনিট বিলম্বে ছেড়েছে। ওই ট্রেনের যাত্রী ফিরোজ মিয়া জানান, তিনি তার পরিবার (৪ জন) নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এ বিলম্ব তার কাছে কিছুই না। গত তিন বছর আগে ঈদের আগে সড়ক পথে বাড়ি যেতে গিয়ে ঈদই করতে পারেননি। ট্রেন ২ ঘণ্টা বিলম্বে পৌঁছলে কোনো কষ্ট হবে না। রাজশাহীগামী যাত্রী আকলিমা আক্তার জানান, সাধারণ যাত্রীরা আশা করছেন, আগামীতে শতভাগ ট্রেন সময় মেনে চলবে। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শফিকুল ইসলাম জানান,এবারের ঈদযাত্রার চিত্রটা ভিন্ন। আমরা প্রায় ৮৯ শতাংশ ট্রেন যথাসময়ে ছাড়তে পারছি। তা ছাড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে শুধুমাত্র যাত্রার দিন আন্তঃনগর ট্রেনে ২০ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি করছি। যাত্রীরা অনেক সচেতন হয়েছেন। প্রায় সবাই টিকিট কেটে ট্রেন ভ্রমণ করছেন। প্রতিটি ট্রেনে যাত্রী ঠাসাঠাসি হলেও নিজেরা (যাত্রী) বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছের। এমনও যাত্রী রয়েছেন, দু’সিটে ভাগাভাগি করে তিন যাত্রী যাচ্ছেন। আমরা অতিরিক্ত বগি লাগিয়েছি। একই সঙ্গে বিভিন্ন সেকশনে অতিরিক্ত ইঞ্জিন, উদ্ধারকারী গাড়ি প্রস্তুত রেখেছি। একসময় ট্রেনের ছাদ এবং ইঞ্জিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা চলতেন, এখন তা খুব একটা দেখা যায় না।ফলে নিরাপদে ট্রেনও চালাতে পারছেন ট্রেন চালক ও গার্ডরা।-লঞ্চেও ভিড় : শনিবার দুপুরের পর থেকে সদরঘাটে যাত্রী চাপ বাড়তে থাকে।প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীতে ভরপুর ছিল। অনেক লঞ্চের ছাদে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে গেছে। যাত্রী ভরে যাওয়ায় অনেক লঞ্চকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সন্ধ্যার পর আবহাওয়া সংকেত জারির পর নড়েচড়ে বসে বিআইডবিøউটিএ ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তর। প্রতিটি লঞ্চের চালকদের সতর্ক করা হয়। ঢাকা নদীবন্দরে কর্মরত বিআইডবিøউটিএর যুগ্ম-পরিচালক মো. আলমগীর কবির জানান,‘শনিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। একই সঙ্গে ১২৮ লঞ্চ ঘাটে এসেছে। গভীর রাত পর্যন্ত ১৩০টির বেশি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ১২৫টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে যেতে পারে।’ তিনি বলেন,‘যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছাদে যাত্রী বহন করায় চারটি লঞ্চকে জরিমানা করা হয়েছে। সুত্র-যুগান্তর
Link copied!