না ফেরার দেশে চলে গেছেন বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রূপালী পর্দায় কখনো মন্দ মানুষ, কখনো হাস্যরসের ভাণ্ডার নিয়ে উপস্থিত এক চিরচেনা মুখ ছিলেন। যখনই যে চরিত্রে তিনি পর্দায় হাজির হয়েছেন দর্শকদের দিয়েছেন ভিন্ন স্বাদের বিনোদন। চলচ্চিত্রে গ্রাম্য বদ মাতব্বর, নানা ধরনের দুষ্ট লোক কিংবা গতানুগতিকের চেয়ে অন্য ধারার কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পেয়েছেন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন, গেরিলাসহ এ যাবৎ ৩০০ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
শুধু রূপালী পর্দায় নয় বাস্তব জীবনেও তিনি প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'সাম্প্রদায়িক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামিকে জুতা চোর বলেছিলেন। সেসময় তার এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
এ টি এম বলেন, 'মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জায় কখনো জুতা চুরি হয় না। মসজিদ থেকে জুতা চুরি হয়। এই জুতা চোরেরা হলো জামায়াত। কাজেই তাদের ভালোভাবে নির্মূল করতে হবে। জুতা চুরি ঠেকাতে কাঠের আলমারী রাখা হয়, অথবা সামনে রেখে নামাজ পড়তে হয়। ঠিক এই ভাবে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
আলোচনায় দশম জাতীয় সংসদকে খেজুরের রস আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ১০ম জাতীয় নির্বাচন খেজুরের রসের মতো। তাই একে খুব ভালো করে জ্বাল দিয়ে খেতে হবে, না হলে মানুষ মারা যাবে। কারণ এই রসে নিপা ভাইরাস থাকতে পারে। আর নিপা ভাইরাস হলো জামায়াত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়ে এ টি এম শামসুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের মাঝেও ৪০ থেকে ৪২ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন।