বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কতিপয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চাদাবাজিসহ সন্ত্রাসী অপকর্ম আবারো বেড়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০২১

কতিপয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চাদাবাজিসহ সন্ত্রাসী অপকর্ম আবারো বেড়ে যাচ্ছে

ডেইলি খবর ডেস্ক: র‌্যাবের এ্যাকশনে রাজধানীর ওয়ার্ড কাউন্সিলদের দখল-চাদাবাজি হোন্ডা-গুন্ডার মাস্তানি দৌড়াত্ম,অনেকাংশই কমেছিলো। এ্যাকশন ঝিমিয়ে পড়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষমতাবলে এলাকায় চাঁদাবাজি, পুরনোধারায় ফিরেছে। নগরবাসী তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর,ধানমন্ডি-হাজারীবাগসহ উওর-দক্ষিণ সিটি-কর্পোরেশন এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের পরেই বেপরোয়া চাদাবাজি-দখলের রাজত্ব কায়েম করেছে। ধানমন্ডির লেক দখল করে মসজিদ নির্মানের নামে বিড়াট জায়গা দখল করেেিলা ১৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলা। পরে দক্ষিনের মেয়র তা ভেঙ্গে জায়গা উদ্ধার করেন। ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন লাশ থেকেও চাঁদা নেয়। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নানা রকম অত্যাচারে স্থানীয়রা ভিতসন্ত্রস্ত। ফোরকানের সন্ত্রাসী হোন্ডাবাহিনী দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে শেরেবাংলা নগর এলাকায়। বাসা-বাড়ির ময়লার কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মাঝে-মধ্যে নিজেরাই জড়িয়ে পরছে মারামারিতে। ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনের আরও দুই ভাই সিরাজুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান অনেকটা প্রকাশ্যেই পুরো চাঁদাবাজির আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের আছে কিশোর গ্যাং। পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলাকারীরাও আছে এ চাঁদাবাজির দলে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। স্থানীয় পুলিশের কয়েকজন সদস্যের দৃষ্টিগোচরেই হচ্ছে সব কিছু। তাই এরা এখন লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকেও চাঁদা নেয়। চাঁদা না দিলে প্রকাশ্যে চলে হামলা। এলাকাটিতে যেন তিন ভাইয়ের রামরাজত্ব চলছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কাউন্সিল ফোরকানরা তিন ভাই। তিনজনের বিরুদ্ধেই আছে বিস্তর অভিযোগ। ১৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলার ছোট ভাই লাবলুও একই কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে এলাকায় চাদাবাজিকরাসহ হেন কোন অপকর্ম নেই যা বাবলার ভাই না করে। সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা পরিচয়ে আঙ্গু ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তারা। বলা যায়,একেবারে শূন্য থেকে তারা স্থানীয় অনেকের চোখের সামনেই বিপুল বিত্তবৈভবের মালিকও হয়েছেন। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে এসব ভাইয়ের সাঙ্গপাঙ্গদের বিচরণ নেই। গত বছর করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোর করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগও দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।ওই আবেদনের একস্থানে বলা হয়,‘কাউন্সিলর ফোরকান করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে লুটপাটে মেতে উঠেন। এলাকার বিত্তশালীদের কাছ থেকে অনেকটা জোর করেই অন্তত ২০ লাখ টাকা আদায় করেন তিনি। সামান্য কিছু টাকার ত্রাণ বিতরণ করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন এ কাউন্সিলর।’ এমনকি বাসা-বাড়ির ময়লা পরিষ্কারের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জিম্মি করে সেখানেও ভাগ বসিয়েছেন এই সহোদররা। কমিশন না দিয়ে কোনো ঠিকাদার কাজ করতে পারেন না এ এলাকায়। এদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করার সাহস কেউ করেন না। এলাকার সব হাসপাতাল এ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বড় বড় সরকারি অফিস এ এলাকায় হওয়ায় এখন চক্রটি টেন্ডার বাণিজ্যও দখল নিতেও মরিয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ প্রতিবেদনেই বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ চিএ পাওয়া গেছে। তাদেও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেখানে বাসার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের সঙ্গে জড়িত একজন শ্রমিক পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে লিখিত আবেদন করেন। বছরের মার্চে ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনের ছোটভাই আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে বিএনপি বস্তির সন্ত্রাসী মনির হোসেন,শাপলা হাউজিংয়ের আয়নাল, পঙ্গু হাসপাতাল এলাকার আব্দুর রবসহ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক ময়লা পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫টি ভ্যান গাড়িতে তালা দিয়ে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় প্রতিবাদ করলে তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি লিখিতভাবে শেরেবাংলা নগর থানায় অবহিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানায় গত বছরের ২৮ জুন জিডিও করে। জিডি নং ১২১৪। বর্জ্য অপসারণের কাজ চালাতে হলে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এমনকি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা না দিলে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এভাবে হুমকির মাধ্যমে বাধা দিয়ে চক্রটি নিজেরাই এই বর্জ্য অপসারণের কাজটি দখল করে নিয়েছে। জানা যায়, পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ বিষয়টি তদন্ত করা হয়। অনুসন্ধানকালে তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপিও প্রতিবেদকের হাতে আসে। প্রতিবেদনের একস্থানে ভয়াবহ তখ্য উল্লেখ করা হয়। বলা হয়,‘২৮নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সংগঠনের পরিচয়ধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি হয়রানি, চাঁদাবাজি ও প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে নাজমুল হক পান্না অভিযোগ করেছেন। এ আবেদনের বিষয়ে উল্লিখিত অভিযুক্তদের কাছ থেকে লিখিত জবানবন্দি নেয়া হয়। উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সাল থেকে পান্না এ এলাকার বর্জ্য অপসারণের জন্য বৈধ প্রতিনিধি। বিবাদীরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিকটাত্মীয় (আসাদ কাউন্সিলরের ছোট ভাই) হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বর্জ্য অপসারণে বাধা দিয়ে আসছিল। ইতোমধ্যে বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে আবেদনকারীকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য শেরেবাংলা নগর থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে শেরেবাংলানগর থানা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়মা রহমান নিজেই আসাদের চাঁদাবাজির প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তিনি এখন অপেক্ষা করছেন, কখন পুলিশ আসাদকে গ্রেফতার করবে। কেননা,গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি সশরীরে থানায় হাজির হয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে সাক্ষী দেবেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করে না, সাক্ষীও দেয়া হয় না। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ৪২। ঘটনার দিন রিকশায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে দিয়ে স্বামীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।এ সময় দেখেন যুব মহিলা লীগের কয়েকজন সদস্যকে পাসপোর্ট অফিসের সামনের রাস্তায় ছেলেরা মারধর করছে। এ হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকানের ছোটভাই আসাদুজ্জামান আসাদ। লোকজন ভয়ে তাদের কিছুই বলছে না। তিনি বলেন, আমি রিকশা থামিয়ে সেখানে প্রতিবাদ করলে ওরা আমার ওপরও চড়াও হয়। এ সময় আমার স্বামীকেও বেদম মারধর করা হয়। কি কারণে এ মামলা জানতে সায়মা বলেন, ‘আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনের সরকারি জমির এক কোনায় যুব মহিলা লীগের কার্যালয় বানানোর সময় আসাদ ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কার্যালয়তো দূরের কথা এ জমির ত্রিসীমানায়ও আসতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ অন্য অঙ্গ-সংগঠনের নেতারাও জানেন। অথচ সম্পূর্ণ জমিটি দখল করে হোটেলসহ মার্কেট বানিয়ে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন এ আসাদ। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে এ সন্ত্রাসীদের নিবিড় যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে সায়মা বলেন, ‘সেদিন ওই ঘটনায় কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে এসআই জামিল সরাসরি সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ৭-৮ জন মানুষকে আহত করার পরও থানায় মামলা নিতে গড়িমসি চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত। পরে তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুনুর রশীদ নির্দেশ দেয়ার পর থানায় মামলা নেয়া হয়। তিনি বলেন,‘সম্প্রতি বাসা থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সেই সন্ত্রাসীদের দুজন আমার বাসার সামনে এসে গুলি করার হুমকি দিয়ে বলেছে মামলা তুলে না নিলে এসিড দিয়ে মুখ জ্বালিয়ে ফেলবে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়ে রেখেছি। যুব মহিলা লীগ কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ১১ জনের নামোল্লেখ করা হয়। সায়মা রহমানের মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার কাউন্সিলর ফোরকানের ছোট ভাই আসাদকে। অন্যরা হলেন পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইমনের ছেলে পান্নু, শাপলাবাগের হাই মাতুব্বরের ছেলে রাজন, মৃত কাশেমের ছেলে জয়নাল, খায়রুলের ছেলে লিমন, চান্দু, পিতা অজ্ঞাত, মৃত মন্ডলের ছেলে শাকিল, হৃদয়, পিতা অজ্ঞাত, মিরাজ, পিতা অজ্ঞাত এবং আনোয়ার, পিতা অজ্ঞাত। এরা সবাই আসাদের সাঙ্গোপাঙ্গ। স্থানীয় সরকার দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন,সরকার দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের কর্মী বানিয়ে এ বখাটেদের দিয়েই চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে কাউন্সিলর ফোরকান দলীয় কর্মী দাবি করে ছাড়িয়ে নেন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও গড়িমসি করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। ১২ জানুয়ারি আল আমিন নামে এক মোটরওয়ার্কশপ শ্রমিক একটি মামলা করেন। পশ্চিম আগারগাঁওয়ে দ্য রিয়েল মোটরস শপ-২ এ হামলা, লুটপাটের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। শেরেবাংলা নগর থানার মামলা নং ২২। মামলায় আসামি করা হয় আসাদুজ্জামান আসাদসহ ১৩ জনকে। ওই দিন আসাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী রাজনসহ আসামিরা ওই মোটরশপে এসে প্রতি দিন ৪০ টাকা দেয়ার দাবি করে। এ সময় কোনো চাঁদা দেয়া যাবে না বলা হলে দোকানটির মালিক আমিনুল ইসলামকে লাথি মেরে ফেলে দেয় রাজন। এ সময় আল আমিন এগিয়ে আসলে আসাদের নির্দেশে তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।যাওয়ার সময় মামলা-মোকদ্দমা করলে পরিণতি অনেক খারাপ হবে বলে শাসিয়ে যায়। পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা মামলাও আছে জয়নালের বিরুদ্ধে। পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার মামলাটি হয় ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জয়নাল আর কালু মূলত ফোরকানের ভাই আসাদের হয়ে বিএনপি বস্তি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের লাখ লাখ টাকা আদায় করে আসাদকে দেয়া হয়। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তাদের হয়ে কাজ করে তারা। ফোরকানসহ তিন ভাইয়ের সঙ্গে কালু-জয়নালের সংশ্লিষ্টতার কথা প্রকাশ করেন এই মামলার বাদী দেলোয়ার ঢালী। জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ঘটনার পর কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন, তার ভাই আসাদ ও শিরাজসহ কয়েকজন কব্জি কাটার মামলাটি মীমাংসার জন্য বসেছিলেন। ফোরকান অনেকভাবে বুঝিয়ে বলেন, ‘হাত কেটে গেছে ঠিক আছে, ওদের সারা জীবন জেলে রাখলেওতো আর এই হাত ফিরে আসবে না। দেড় লাখ টাকার ব্যবস্থা করে দিই। আবুল ঢালী কোনো একটা ব্যবসা করে চলুক।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা রাজি হয়েছিলাম মামলাটি তুলে নিতে। এরপর আসামিরা জামিনে বের হয়ে আসলে এ বিষয়ে আর কোনো যোগাযোগ করেনি কাউন্সিলর ফোরকান। আবুল ঢালী বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে এখন গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে চলে গেছেন। মামলার নথিপত্র থেকে মৃত কাশেমের চার ছেলের আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় আরেকটি মামলায়। ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল সোহেল নামে একজনের দুই বছরের শিশু কোলে থাকাবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তার আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। দুলাল শরীফ নামের আরেক গাড়ি চালককে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে বুকে আঘাত করে তার কাছ থেকেও টাকা ছিনতাই করেছে এ চক্রটি। এ বিষয়ে দুলাল গত বছরের ৩ মার্চ ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ছাড়া নারী নির্যাতনসহ লুটপাট, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধারায় শাহ আলম কালু ও জয়নালসহ আসাদ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা আছে শেরেবাংলা নগর থানায়। কিন্তু কার্যত ফোরকানের কারণে স্থায়ী কোনো সমাধান পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ। কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন বলেন, আমার কর্মীরা চাঁদাবাজি করে না। এটা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র। আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল এসব অভিযোগ করছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামলা একজনের বিরুদ্ধে থাকতেই পারে। আর আসাদ শুধু আমার ভাই না,সে শেরেবাংলা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন,‘আমি কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি মহল এসব করছে।’ চাঁদাবাজি না করলে মামলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে বলেন,‘পুলিশ জানে আমি কোনো ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে আপনি কাউন্সিলরের ক্ষমতাবলে চাঁদাবাজি করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কিছুক্ষণ চুপ থেকে আসাদ বলেন, ভাই এমনতো হওয়ার কথা নয়। তাহলে এখন কি করব আপনিই বলে দিন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকার দলীয় একাধিক নেতা বলেছেন র‌্যাব এ্যাকশন নেয়ায় বছর খানিক ওয়ার্ডকাউন্সিলররা অপকর্ম-চাদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে অনেকটা দুরে ছিলো। র‌্যাবের এ্যাকশন আবার দরকার। সূত্র-যুগান্তর
Link copied!