মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বোপমার সালাম

প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, জুন ৩, ২০২২

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বোপমার সালাম

ডেইলি খবর ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা হাতিযে নিয়েছে বোপমার সালাম।বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের (বোপমা) সাবেক সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে এ অর্থ হাতিয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক (২০১৮) তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানালে তিনি তা অগ্রাহ্য করে উলটো জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন। সূত্র জানায়,আব্দুস সালাম বোপমার অর্থব্যয়ের কোনো হিসাব বুঝিয়ে দেননি। ইসি মিটিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও সাহায্য করেননি। এছাড়া সরকার থেকে প্রাপ্ত অর্থ সংগঠনের কোনো কাজে না লাগিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে নিজে টাকা তুলে, ভুল তথ্য দিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভ্রান্ত করেছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে তাকে বারবার নিষেধ করা সত্বেও বিভিন্ন অর্গানিক ব্যবসায়ী, চাষি ও ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। আব্দুস সালামের কাজকর্র্মে অতিষ্ঠ হয়ে এফবিসিসিআই বোপমার সদস্যপদ স্থগিত করে। ২০১৮ সালে তৎকালীন এফবিসিসিআই মহাসচিব বাণিজ্য সচিবকে তার দুর্নীতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে চিঠি লিখেন এবং তার নামে আর কোনো টিও লাইসেন্স না দেওয়ার অনুরোধ জানান। সূত্র জানায়,আব্দুস সালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আবু নাসের আলমগীরের থেকে ১২ লাখ টাকা, মোহাম্মদ হারুন থেকে ২৮ লাখ, আকিজ গ্রুপ থেকে ৮ লাখ, এসিআই থেকে ৬ লাখ, কাজি অ্যান্ড কাজি টি থেকে ৬ লাখ, বদরুল ইসলাম থেকে ৩ লাখ, প্রিয়া অ্যাগ্রো আল মারাহ টি, আইটিভি২৪ডটকম, বিএল ইন্টারন্যাশনাল থেকে তিন লাখ, তরঙ্গ থেকে দুই লাখ, জুলনরায় থেকে ৫ লাখ, খালেদ আমিন, সেবক এগ্রোভেট-গিয়াস উদ্দীন-জি এস এস অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস থেকে ১৮ লাখ, ঢাকা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘা অর্গানিক বাংলাদেশ, অর্গানিক রেস্টুরেন্ট, মোহম্মদিয়া গ্রæপ, লাবিব গ্রুপসহ ৫০-৬০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব আর্থিক অনিয়মের কথা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত বছর বোপমাকে বাঁচাতে এফবিসিসিআই-এর কাছে সংগঠনের সদস্যরা একটি অভিযোগ দেন, যেখানে আব্দুস সালামের সব দুর্নীতি তুলে ধরা হয়। এতে আব্দুস সালামের আজীবন সভাপতি থাকার ইচ্ছা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কথা তুলে ধরা হয়। বোপমার সদস্য রানা জানান, আব্দুস সালামের খামখেয়ালির কারণে বোপমার কোনো প্রজেক্ট সফল হতে পারছে না। কেউ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেই তাদের কাছে তিনি অনৈতিক অর্থ দাবি করেন, না পেলে সেই কমিটিকে তিনি অবৈধ বলে প্রচার করেন। বোপমা ২০০৮ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন লাভ করলেও এই দীর্ঘ সময়ে সালামের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে একবারের জন্যও অডিট করা হয়নি। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিপিসি থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সফরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে। এসব অর্থের কোনো হিসাবের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। সালাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি এফবিসিসিআই-এর নির্বাচন এলে প্রতিবার টাকার বিনিময়ে সদস্যপদ বিক্রি করেন। এমনও অভিযোগ আছে যে যারা কোনো ধরনের অর্গানিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন, এমনকি বোপমার সদস্যপদও নেই, তাদেরও তিনি এফবিসিসিআই-এর সদস্য বানিয়ে দিয়েছেন। ইতঃপূর্বে আবু বকর সিদ্দীক, জাকিয়া সুলতানা, নাহিদ পারভিন,সাহিদ উল্লাহ, য়েদ সাইদুর রহমান ও অভি চৌধুরীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এফিবিসিসিআই-এর সদস্য করে। এদের কারও কোনো অর্গানিক ব্যবসা নেই,এমনকি তারা কখনো বোপমার সদস্যও নন। শুধু তাই নয়, ২০১৫-১৭ সালের নির্বাচনে জাকিয়া সুলতানা মিথিলা পরিচালক পদে নির্বাচন করতে আব্দুস সালাম নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশনের রেজুলেশন বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং নগদ ৫ লাখ টাকা নেন। অপর এক অভিযোগে জানা যায়,২০১৬ সালে আব্দুস সালাম ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বোপমা সংগঠনটি কামরুজ্জামান মৃধার কাছে বিক্রি করে দেন। অর্গানিক ফুড নিয়ে কাজ করা বিশিষ্ট পুষ্টিবিজ্ঞানি ড. দুলাল সরকার বলেন,বাংলাদেশ অর্গানিক কৃষির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপদ খাবার সরবরাহ করার মহৎ উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি হয়েছে। সেই নীতিমালার আলোকে কাজ করতে হলে অবশ্যই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন,আমি বোপমার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অন্য যারা আছে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ভুয়া।সুত্র-যুগান্তর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বোপমার সালাম ডেইলি খবর ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা হাতিযে নিয়েছে বোপমার সালাম।বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের (বোপমা) সাবেক সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে এ অর্থ হাতিয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক (২০১৮) তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানালে তিনি তা অগ্রাহ্য করে উলটো জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন। সূত্র জানায়,আব্দুস সালাম বোপমার অর্থব্যয়ের কোনো হিসাব বুঝিয়ে দেননি। ইসি মিটিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও সাহায্য করেননি। এছাড়া সরকার থেকে প্রাপ্ত অর্থ সংগঠনের কোনো কাজে না লাগিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে নিজে টাকা তুলে, ভুল তথ্য দিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভ্রান্ত করেছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে তাকে বারবার নিষেধ করা সত্বেও বিভিন্ন অর্গানিক ব্যবসায়ী, চাষি ও ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। আব্দুস সালামের কাজকর্র্মে অতিষ্ঠ হয়ে এফবিসিসিআই বোপমার সদস্যপদ স্থগিত করে। ২০১৮ সালে তৎকালীন এফবিসিসিআই মহাসচিব বাণিজ্য সচিবকে তার দুর্নীতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে চিঠি লিখেন এবং তার নামে আর কোনো টিও লাইসেন্স না দেওয়ার অনুরোধ জানান। সূত্র জানায়,আব্দুস সালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আবু নাসের আলমগীরের থেকে ১২ লাখ টাকা, মোহাম্মদ হারুন থেকে ২৮ লাখ, আকিজ গ্রুপ থেকে ৮ লাখ, এসিআই থেকে ৬ লাখ, কাজি অ্যান্ড কাজি টি থেকে ৬ লাখ, বদরুল ইসলাম থেকে ৩ লাখ, প্রিয়া অ্যাগ্রো আল মারাহ টি, আইটিভি২৪ডটকম, বিএল ইন্টারন্যাশনাল থেকে তিন লাখ, তরঙ্গ থেকে দুই লাখ, জুলনরায় থেকে ৫ লাখ, খালেদ আমিন, সেবক এগ্রোভেট-গিয়াস উদ্দীন-জি এস এস অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস থেকে ১৮ লাখ, ঢাকা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘা অর্গানিক বাংলাদেশ, অর্গানিক রেস্টুরেন্ট, মোহম্মদিয়া গ্রæপ, লাবিব গ্রুপসহ ৫০-৬০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব আর্থিক অনিয়মের কথা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত বছর বোপমাকে বাঁচাতে এফবিসিসিআই-এর কাছে সংগঠনের সদস্যরা একটি অভিযোগ দেন, যেখানে আব্দুস সালামের সব দুর্নীতি তুলে ধরা হয়। এতে আব্দুস সালামের আজীবন সভাপতি থাকার ইচ্ছা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কথা তুলে ধরা হয়। বোপমার সদস্য রানা জানান, আব্দুস সালামের খামখেয়ালির কারণে বোপমার কোনো প্রজেক্ট সফল হতে পারছে না। কেউ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেই তাদের কাছে তিনি অনৈতিক অর্থ দাবি করেন, না পেলে সেই কমিটিকে তিনি অবৈধ বলে প্রচার করেন। বোপমা ২০০৮ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন লাভ করলেও এই দীর্ঘ সময়ে সালামের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে একবারের জন্যও অডিট করা হয়নি। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিপিসি থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সফরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে। এসব অর্থের কোনো হিসাবের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। সালাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি এফবিসিসিআই-এর নির্বাচন এলে প্রতিবার টাকার বিনিময়ে সদস্যপদ বিক্রি করেন। এমনও অভিযোগ আছে যে যারা কোনো ধরনের অর্গানিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন, এমনকি বোপমার সদস্যপদও নেই, তাদেরও তিনি এফবিসিসিআই-এর সদস্য বানিয়ে দিয়েছেন। ইতঃপূর্বে আবু বকর সিদ্দীক, জাকিয়া সুলতানা, নাহিদ পারভিন,সাহিদ উল্লাহ, য়েদ সাইদুর রহমান ও অভি চৌধুরীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এফিবিসিসিআই-এর সদস্য করে। এদের কারও কোনো অর্গানিক ব্যবসা নেই,এমনকি তারা কখনো বোপমার সদস্যও নন। শুধু তাই নয়, ২০১৫-১৭ সালের নির্বাচনে জাকিয়া সুলতানা মিথিলা পরিচালক পদে নির্বাচন করতে আব্দুস সালাম নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশনের রেজুলেশন বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং নগদ ৫ লাখ টাকা নেন। অপর এক অভিযোগে জানা যায়,২০১৬ সালে আব্দুস সালাম ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বোপমা সংগঠনটি কামরুজ্জামান মৃধার কাছে বিক্রি করে দেন। অর্গানিক ফুড নিয়ে কাজ করা বিশিষ্ট পুষ্টিবিজ্ঞানি ড. দুলাল সরকার বলেন,বাংলাদেশ অর্গানিক কৃষির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপদ খাবার সরবরাহ করার মহৎ উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি হয়েছে। সেই নীতিমালার আলোকে কাজ করতে হলে অবশ্যই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন,আমি বোপমার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অন্য যারা আছে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ভুয়া।সুত্র-যুগান্তর
Link copied!