শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খরচ করেও টাকা জমান ১৩ উপায়ে

প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১

খরচ করেও টাকা জমান ১৩ উপায়ে

শুধু আয় করে ইচ্ছেমতো খরচ করলে হবে না। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও প্রয়োজন। তবে অনেকে মনে করেন, কম টাকা আয় করে কীভাবে সঞ্চয় করা সম্ভব। কেউ আবার মনে করে সংসার জীবনে সঞ্চয় করব। তবে জীবনের যে স্টেজে থাকেন না কেন সঞ্চয় করা উচিত। চাইলে অল্প আয় করেও টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব। মনোবল বাড়ান টাকা জমাতে গেলে মনে সাহস থাকা দরকার। এ ক্ষেত্রে প্রিয় টাকাকে কাছ-ছাড়া করতে হয়। তাই সবদিক বিবেচনা করে যেখানে টাকা রাখবেন, সেটার জন্য সাহস নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। বেহিসাবি কেনাকাটা রোধ শপিংমলে গিয়ে অনেকে বেহিসাবি কেনাকাটা করেন। সেই তালিকায় আপনি থাকলে বদলে যান। বেহিসাবি কেনাকাটা আজই বন্ধ করুন। তা হলে সঞ্চয় হবেই। সবজির বাগান বারান্দা কিংবা ছাদের এককোণে সবজি বাগান করুন। এই ছোট বাগানটি সবজি কেনার খরচ কমিয়ে দেবে। এটা আপনার খরচ অনেকখানি কমাবে। তেমনি আপনার অবসর সময়ে হালকা পরিশ্রম করারও একটা সুযোগ তৈরি করবে। মাসিক খরচের তালিকা প্রতি মাসে কোন খাতে কত টাকা খরচ করা প্রয়োজন, তার বাজেট তৈরি করুন। চেষ্টা করুন বাজেটের বাইরে এক পয়সাও খরচ না করার। অনেক নারীরা সঞ্চয়ের বিষয়ে খুব আগ্রহী। আবার অনেকে উদাসীন। কসমেটিক্স, গহনা এসবের পেছনে বেশি খরচ করেন। আর মাস শেষে কষ্টে সংসার চালাতে হয়। তারা মাসের শুরুতে বাজেট ঠিক করে নিন। আলাদা অ্যাকাউন্ট প্রতি মাসে কিছু না কিছু খরচ থাকে। তাই একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলুন। যত টাকা পান না কেন প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ ওই অ্যাকাউন্টে রাখুন। ওই অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত টাকা দেখবেন বিপদের দিনে আপনার কাজে লাগবে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সচেতনতা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করেন। তবে এই টাকা সুদে-আসলে পরিশোধ করতে গেলে ঠিকই কষ্ট উপলব্ধি করা যায়। তাই সঞ্চয় করতে চাইলে ক্রেডিট কার্ড যে ব্যাগে আছে তা ভুলে যান। খরচবিহীন দিন কাটান সপ্তাহের একটি দিন ঠিক করুন, যেদিন কোনো খরচ করবেন না। প্রতি সপ্তাহে এ রকম একটি দিন পালন করুন। দেখবেন খরচ অনেক কমে গেছে। এভাবে এক দিনের পরিবর্তে যদি আরও বেশি দিন করেন তবে খরচ আরও কমবে। আপৎকালীন সঞ্চয় আপনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হলে যেকোনো সময়ে কর্মহীন হতে পারেন। কিংবা হতে পারে আচমকা আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ল। সেই সময় প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিতে আলাদা আপদকালীন খাতে টাকা সঞ্চয় করুন। মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় কয়েকটা ঘট বা মাটির ব্যাংক কিনে নিন। আর তাতে একটা একটা করে কিছু কারণ লিখুন। কেন মাটির ব্যংক কিনেছেন, কিসের জন্য টাকা জমাতে চান। দেখবেন, ঠিক টাকা জমাতে পারবেন। আয়-রোজগারে গুরুত্ব দেওয়া টাকা জমাতে গেলে টাকা রোজগারও করতে হবে। তাই টাকা আয় করার জন্য আরও বেশি সময় দিন। সে ক্ষেত্রে জমানোর সুযোগ থাকবে বেশি। অল্প টাকা আয় হলে জমানোর জন্য মানসিকভাবে শক্তি আসে না। শিশুদের সঞ্চয় শেখান ছোট থেকে সন্তানদের টাকা জমাতে উৎসাহিত করুন। একবার অভ্যাস গড়ে উঠলে তাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। জন্মদিন, ঈদে ও অন্যান্য উৎসবে পাওয়া টাকা জমানো শিখিয়ে দিন। টাকা বাঁচিয়ে ছোটখাটো তহবিল গড়ে তোলার মজাটাও শিখিয়ে দেওয়া যায়। অনলাইনে কেনাকাটা এখন অনেকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। প্রয়োজনীয় জিনিস বাদে অন্য কিছু কেনার হলে তা সঙ্গে সঙ্গে অর্ডার না করে ‘শপিং কার্ট’-এ রেখে দিন। ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে আপনি হয়তো ভুলে যাবেন সেই বস্তুটি কেনার কথা। বাইরে খাওয়া কমিয়ে দিন আপনি হয়তো বাইরে খেতে পছন্দ করেন। প্রতি সপ্তাহে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিবর্তে মাসে একবার খেতে যান। খুব সহজে টাকা জমানোর একটি উপায় হলো বাইরে খাওয়া কমিয়ে দেওয়া। তবে সঞ্চয় করা মানে না খেয়ে, না ঘুরে-বেড়িয়ে থাকা নয়। সব করুন সামর্থ্য বুঝে। ভবিষ্যতের কথাও মাথায় রাখবেন।
Link copied!