বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাওয়া ছিল টিনএজরা ছবিটি দেখুক

প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, অক্টোবর ১৮, ২০২১

চাওয়া ছিল টিনএজরা ছবিটি দেখুক

জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২৬তম শ্লিঙ্গেল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছে অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘রিকশা গার্ল’। এ ছবির প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী নভেরা রহমান এখন লন্ডনে। সেখান থেকে তিনি কথা বলেছেন রণ’র সঙ্গে জার্মানিতে পুরস্কৃত... আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কাজ হিসেবে ‘রিকশা গার্ল’ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছে। এর আগেও ছবিটি নানা পুরস্কার ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এবারে জার্মানির শ্লিঙ্গেল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারের বিষয়টি আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগার। কারণ, এটি একটি চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ছবির নির্মাতার প্রত্যাশা কী আমি ঠিক জানি না। তবে অভিনেত্রী হিসেবে সব সময় চেয়েছি রিকশা গার্ল শিশু ও টিনএজরা দেখুক। কারণ এটি তাদের গল্প। তাছাড়া আমাদের ছবিটি বেশকিছু ভালো ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পুরস্কার পেয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি ইরানিয়ান চলচ্চিত্রও ছিল। গত শানিবার উৎসব সমাপনীর রাতে জুনিয়র ফিল্ম শাখায় এসএলএম টপ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ছবিটি। এবার এ উৎসবে ৭৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ১১৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। নাইমা হয়ে ওঠা... ‘রিকশা গার্ল’-এ আমার চরিত্রের নাম নাইমা। যারা ট্রেইলার দেখেছেন তারা জানেন, সে স্বাধীনচেতা দুরন্ত এক কিশোরী। রিকশাচালক পিতার মেয়ে। মফস্বলে বেড়ে ওঠা নাইমা আলপনা এঁকে অল্প উপার্জন করে। তাতে তার পরিবারের দুর্দশা দূর হয় না। চোখে স্বপ্ন নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে। শুরু হয় নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা। শুরু হয় রিকশাকন্যার সাহসী যাত্রা। প্রথমে যেদিন রিকশা চালানোর প্র্যাকটিস করতে যাই, আমি প্যাডেলই নাড়াতে পারছিলাম না। একদিকে অল্প সময়ের মধ্যে আমার ওজন কম করতে হচ্ছিল, সেই সঙ্গে শরীর মজবুত করতে হয়েছিল, যাতে রিকশা ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারি। তবে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি। অমিতাভ রেজা আর আমার ধারণাগুলো মিলে যাচ্ছিল, তাই আমরা দুজন মন খুলে গল্পটি নিয়ে খেলতে পেরেছি। লন্ডনের দিনগুলো... আমি ইকোনমিকস ও থিয়েটার নিয়ে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছি। এরপর দেশে অনেকদিন কাজ করলাম। এখন এসেছি রয়েল হলোওয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে মাস্টার্স করতে। আমার সাবজেক্ট প্রোডিউসিং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন। পড়াশুনার জন্য খুব চাপে থাকতে হয়। তাই কদিন আগে আমেরিকায় ‘রিকশা গার্ল’-এর প্রদর্শনীতেও থাকতে পারিনি। আমি চাই, যে কোনো কাজ জেনেবুঝে করতে। অভিনয় করার আগে যেমন শিখেপড়ে এসেছি, তেমনি ভবিষ্যতে প্রোডিউস করার ক্ষেত্রেও এই পড়াশুনা কাজে লাগবে। আমাদের দেশে অবশ্য এই কাজটির জন্য খুব একটা পড়াশুনা করেন না কেউ। ভালোভাবে কাজটি করার জন্য অবশ্যই পড়াশুনার দরকার আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে কাজ হয়, সেটির অনেক কিছুই জানতে পারব।
Link copied!