বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চার 'অপহরণকারীর' মৃতদেহ ক্রেনে ঝুলিয়ে রাখলো তালেবান

প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

চার 'অপহরণকারীর' মৃতদেহ ক্রেনে ঝুলিয়ে রাখলো তালেবান

সন্দেহভাজন চার অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মৃতদেহ আফগানিস্তানের হেরাত শহরের রাস্তার মোড়ে ক্রেনে ঝুলিয়েছে তালেবান। তালেবানের একজন কুখ্যাত কর্মকর্তা মৃত্যুদণ্ড এবং অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তি আবার শুরু হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার একদিন পর এই ঘটনা ঘটলো বলে জানিয়েছে বিবিসি। এক কর্মকর্তা বলেন, একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে জিম্মি করার অভিযোগের পর বন্দুকযুদ্ধে ওই ব্যক্তিরা নিহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের কেন্দ্রে একটি ক্রেন থেকে একটি মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওয়াজির আহমাদ সিদ্দিকি নামে স্থানীয় এক দোকানদার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চারটি মৃতদেহ মোড়ে আনা হয়, একটিকে সেখানে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং বাকি তিনটি লাশ প্রদর্শনের জন্য শহরের অন্যান্য মোড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মৌলভী শাইর বলেন, অপহরণের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্যই মৃতদেহগুলি এভাবে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে অপহরণের খবর পেয়ে তালেবান সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করে। পরে ওই ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে মুক্তি করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি পিকআপ ট্রাকের পিছনে রক্তাক্ত দেহ দেখা যাচ্ছে যেখানে একজনের মরদেহ ক্রেনের সাথে ঝুলে আছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন ব্যক্তিকে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দেয়ার পর তার বুকে একটি সংকেতে লেখা হয়েছে- ‘অপহরণকারীদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।’ গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তালেবানরা তাদের আগের শাসনামলের তুলনায় একটি কিছুটা নমনীয় শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু ইতিমধ্যে দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনার উল্লেখ পাওয়া গেছে। এরআগে ১৯৯৬ সালে যখন তালেবান ক্ষমতায় বসে তখন গোষ্ঠীটির ৫ বছরের শাসনামলে কাবুলের স্পোর্টস স্টেডিয়ামে বা ঈদগাহ মসজিদের বিস্তীর্ণ মাঠে প্রায়ই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।
Link copied!