শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জীবনযাত্রার সব সূচকে অসহনীয় ধাক্কা

প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, আগস্ট ৭, ২০২২

জীবনযাত্রার সব সূচকে অসহনীয় ধাক্কা

আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাবে। তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধি যেটুকু হওয়ার কথা, বাস্তবে ঘটবে এর চেয়েও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়বে গণপরিবহণ ও পণ্য পরিবহণের ভাড়া। এ নিয়ে চরম আকার ধারণ করতে পারে গণমানুষের অসন্তোষ। চড়া মূল্যস্ফীতির পালে লাগবে আরও বেশি হাওয়া। পণ্যমূল্য বাড়ায় এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় ভোগের মাত্রা কমে যাবে। এসব মিলে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় সব ধরনের উপকরণে আসবে বড় ধরনের ধাক্কা, যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য এমনিতেই বেড়ে যাচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম আরও বাড়ছে। এতে মানুষ প্রবল চাপে রয়েছে। এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। যার প্রভাবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পালে আরও বড় হাওয়া লাগবে। এতে মানুষের ওপর চাপ আরও অসহনীয় হয়ে উঠবে। শুক্রবার ছুটির দিনে হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ ৮০ টাকা লিটারের ডিজেল এখন কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। আগে কখনোই এর দাম এত হারে বাড়েনি। ৯ মাস পরই জ্বালানির দাম আবারও বাড়ল। এর আগে ৩ নভেম্বর জ্বালানি তেলের দাম ২৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলকে বলা হয়-‘অর্থনীতির লাইফ লাইন’, যা অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালনের মতো। সব ধরনের পণ্য ও সেবা এবং মানুষের চলাচলে জ্বালানি তেলের প্রভাব রয়েছে। অর্থাৎ জ্বালানি তেল ছাড়া বৈশ্বিক বা মানুষের জীবনযাত্রা কল্পনাই করা যায় না। সেই তেলের দাম বাড়ানোর কারণে অর্থনীতির সব সূচকে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। শুধু জ্বালানি খাতে সরকারকে যে ভর্তুকি দিতে হতো, সেটি কমে যাবে বা ভর্তুকি লাগবে না। আর এমন এক সময়ে এর দাম বাড়ানো হলো, যখন বিশ্ববাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি ব্যারেল ১১৫ ডলার থেকে কমে এখন ৮৮ ডলারে নেমে এসেছে। আগামী দিনে আরও কমবে বলে বিশ্লেষকরা আভাস দিয়েছেন। সরকার থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও কমানো হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে একবার বাড়লে তা আর কমে না বা কমলেও যে হারে বেড়েছে, ওই হারে কমে না। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি এমন একটা পণ্য যার মূল্য বাড়লে মূলত সবকিছুর দামই বেড়ে যায়। এর প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও বিপণন খরচ বেড়ে যাবে। বাড়তি দামে পণ্য উৎপাদন করে আবার বাড়তি দামেই বিক্রি করতে না পারলে কৃষক বা উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তখন তারা উৎপাদন কমিয়ে দেবেন। তাতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট দেখা দেবে। এতে বাজার অস্থির হয়ে উঠবে। ফলে এ ধরনের পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারকে সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারকে সতর্ক দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭৯ থেকে ৮০ ডলারে থাকলে বিপিসির আয়-ব্যয় সমান থাকে। এর বেশি হলে লোকসান হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এর চেয়েও কম। ফলে বিপিসি এখন যেসব তেল আমদানির এলসি খুলবে, সেগুলোতে লোকসানের পরিবর্তে মুনাফা করবে। এ অবস্থায় তেলের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। তবে অনেকেই বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ঋণ পেতে তাদের শর্ত বাস্তবায়ন করতে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। কেননা আইএমএফ শর্ত দিয়েছে ভর্তুকি কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিকভাবে ৮২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসাবে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি খাতও রয়েছে। সরকার এতদিন ১২২ টাকা লিটার দরে জ্বালানি তেল আমদানি করে ৮০ টাকা লিটার বিক্রি করেছে। ফলে প্রতি লিটারে ভর্তুকি দিয়েছে ৪২ টাকা। দাম বাড়ানোর ফলে এখন ভর্তুকি দিতে হবে ৮ টাকা। আইএমএফ এই ভর্তুকিও কমানোর শর্ত দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এমন এক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমছে। এখন এলসি খুলে যেসব তেল আনবে সেগুলোতে বিপিসি লাভ করবে। তাহলে তেলের দাম বাড়ানোর যুক্তি কোথায়? আইএমএফ শর্ত দিয়েছে ভর্তুকি কমাতে হবে। তেলের দাম বাড়াতে হবে। এ কারণেই কি তেলের দাম বাড়ল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় এখন আর ভর্তুকি লাগবে না। ফলে এখন যে মুনাফা হবে তা দিয়ে আগের লোকসান সমন্বয় করবে। এমন এক সময় তেলের দাম বাড়িয়ে লোকসান সমন্বয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যখন বৈশ্বিক ও দেশীয় চাপে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। একটি সরকারি সংস্থার পক্ষে অর্থনীতির এমন দুঃসময়ে তেলের দাম বাড়ানো মোটেও ঠিক হয়নি। সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে শিল্প, কৃষি, সেবা, গণপরিবহণসহ সব খাতেই পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে। দেশে প্রতি চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন ডিজেল ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর ব্যবহার আরও ৫ থেকে ৭ লাখ টন বাড়তে পারে। ৮০ টাকা লিটার ধরে ওই ডিজেল ব্যবহারে খরচ পড়ত গড়ে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রতি লিটার কিনতে হবে ১১৪ টাকা করে। ফলে ওই ডিজেল ব্যবহারে খরচ হবে ৭২ হাজার কোটি টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে খরচ বাড়বে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যা ভোক্তার পকেট থেকেই যাবে। কিন্তু এর বিপরীতে ভোক্তার আয় বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেই। বরং দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকুচিত হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না, অন্যদিকে চলমান কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সংকুচিত হচ্ছে। এতে আয় বাড়ার পরিবর্তে কমছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে পেট্রোল ও অকটেনের প্রভাব খুব কম। কেননা জ্বালানির ওই দুটি উপকরণের বড় অংশই ব্যবহৃত হয় উচ্চবিত্তের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কিন্তু ডিজেল ব্যবহৃত হয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সর্বক্ষেত্রে। কৃষিতে বছরে ডিজেল লাগে ৯ লাখ ৮০ হাজার টন। যা মোট ডিজেলের সাড়ে ১৫ শতাংশ। ৮০ টাকা লিটার দরে এ খাতে খরচ হতো ৭ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। দাম বাড়ার কারণে এখন খরচ হবে ১১ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। কৃষিতে খরচ বাড়বে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। বাড়তি ব্যয়ের এ অর্থ প্রথমে দিতে হবে কৃষককে। এতে কৃষকের পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে ওইসব পণ্য বাড়তি দামে কৃষককে বিক্রি করতে হবে। কৃষক বাড়তি দাম না পেলে পরের বছর পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এতে খাদ্য খাতে আরও বিপর্যয় দেখা দেবে। এসব বিবেচনায় কৃষককে পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিজেলের দাম বাড়ায় সবজি, ধান, চাল, ফলের দাম বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে সরকার থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি খাতে ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষক সেটি পাচ্ছে না। উলটো কৃষককে আরও বেশি দামে ডিজেল বা কেরোসিন কিনতে হয়। কেরোসিনের দামও ৮০ থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। ফলে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ডিজেলের মতোই খরচ বাড়বে। শিল্প খাতে সাড়ে ৪ লাখ টন ডিজেল ব্যবহার হচ্ছে। যা মোট চাহিদার প্রায় সোয়া ৭ শতাংশ। আগের দামে ওই ডিজেল ব্যবহার করতে উদ্যোক্তাদের খরচ হতো ৩ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। বাড়তি দামের কারণে এখন খরচ হবে ৫ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। ফলে খরচ বাড়বে ১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। এর বাইরেও শিল্প খাতে ডিজেলের ব্যবহার রয়েছে। সেগুলো পরোক্ষভাবে। এর মধ্যে পরিবহণ, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাতের ডিজেলের ব্যবহারের একটি অংশও শিল্প খাত পাচ্ছে। ফলে এ খাতে খরচ আরও বেশি বাড়বে। এসব কারণে সব ধরনের শিল্প পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। ফলে দামও বাড়বে। বাড়তি দামে পণ্য কিনতে গিয়ে ক্রেতাকে হিমশিম খেতে হবে। মানুষের জীবনযাত্রায় এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে শিল্পপণ্য। এগুলোর দাম বাড়লে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে লাগামহীনভাবে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর নেতিবাচক প্রভাব সব খাতের মতো শিল্প খাতেও পড়বে। বিশেষ পণ্য পরিবহণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পের বয়লার ব্যবহার ইত্যাদি খাতে খরচ বাড়বে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। এই অবস্থায় রপ্তানি খাত এমনিতে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের রপ্তানির আদেশ কমছে। এমন সময় ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়লে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। উৎপাদন খরচ বাড়লেও পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব হবে না। ফলে রপ্তানিকারকদের অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ডিজেল ব্যবহার করা হয় সাড়ে ৬ লাখ টন। যা মোট ডিজেলের প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ। ওই ডিজেল ব্যবহারে আগে খরচ হতো প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। নতুন দামের কারণে খরচ হবে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এ খাতে খরচ বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয়ও বাড়বে। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চাপ তৈরি হবে। এছাড়া এসব বিদ্যুৎ বেসরকারি খাতে ব্যবহৃত হলেও সার্বিকভাবে শিল্প খাতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। ডিজেলের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিবহণ খাতে। এ খাতে মোট ডিজেলের ৬৩ শতাংশ ব্যবহৃত হয়। বছরে প্রায় ৪০ লাখ টন। এগুলো ব্যবহারে পরিবহণ মালিকদের খরচ করতে হয় ৩২ হাজার কোটি টাকা। এখন বাড়তি দামের কারণে খরচ করতে হবে ৪৫ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। এ খাতে বাড়তি খরচ হবে ১৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর ফলে পরিবহণ খাতের ভাড়া বাড়বে। ইতোমধ্যে গণপরিবহণ মালিকরা বাস ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি করেছেন। সরকার যা বাড়াবে, বাস্তবে তার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি বাড়বে। গণ ও পণ্য পরিবহণ দুই ক্ষেত্রেই একই হবে। এর প্রভাবে জনঅসন্তোষ দেখা দেবে। গৃহস্থালির কাজে প্রায় ১ লাখ টন ডিজেল ব্যবহৃত হয়। যা মোট ব্যবহারের দেড় শতাংশের বেশি। এ খাতে আগের দামে খরচ হতো প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এখন খরচ হবে ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। খরচ বাড়বে ৩৩৩ কোটি টাকা। অন্যান্য খাতে ব্যবহৃত হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টন ডিজেল। যা মোট ব্যবহারের আড়াই শতাংশ। এতে আগে খরচ হতো ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এখন খরচ হবে ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। খরচ বাড়বে ৫৪৪ কোটি টাকা। ডিজেলের দামের প্রভাবে সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বাড়লে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে। এ হার বাড়বে টাকার মান কমে যাবে। টাকার মান কমলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। ফলে মানুষ কম পণ্য কিনবে। এতে শিল্প ও কৃষিপণ্য ভোগের মাত্রা কমবে। এত পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়ায় সর্বত্র অর্থের লেনদেন কমে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সব স্তরে।
Link copied!