মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আত্মসাৎ ও দুর্নীতি ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ডিসেম্বর ২, ২০২১

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আত্মসাৎ ও দুর্নীতি ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা

ডেইলি খবর ডেস্ক: ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আত্মসাৎ ও দুর্নীতি ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা । ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ-এর নানা অনিয়ম আত্মসাৎ ও দুর্নীতি, রাজস্ব ফাঁকি বা বকেয়া এবং অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে । ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নিযুক্ত অডিট ফার্ম মেসার্স একনবীনের দেওয়া প্রভিশনাল ইন্টেরিম রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বুধবার (১ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে ৭৪ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে।আইডিআরএ’র পরিচালক (উপ-সচিব) মো. শাহ আলমের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে নিয়োগকৃত অডিট ফার্ম মেসার্স একনবীন কর্তৃক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রভিশনাল ইন্টেরিম রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।এতে প্রাথমিকভাবে উদঘাটিত ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি, রাজস্ব ফাঁকি/বকেয়া এবং অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোম্পানিটির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।প্রতিবেদনে মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিষয়েও উল্লেখ করা হয় বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআর উল্লেখ্য, গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার কারণে চলতি বছরের ১১ ফেব্রæয়ারি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ চার মাসের জন্য সাসপেন্ড করে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে ওই বিমা কোম্পানিতে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।এরপর ১০ জুন ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আদেশ দেয় আইডিআরএ। নির্ধারিত উদ্দেশ্যগুলো পূরণ না হওয়ায় এ আদেশ জারি করা হয়।সবশেষ গত ১৩ অক্টোবর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো: কুদ্দুস খানকে ডেল্টা লাইফে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছে আইডিআরএ।
Link copied!