এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে আটকে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) এর সরকার দলীয় এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা।
ইতোমধ্যে এমপি মিতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট হারে ঘুষ নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে।
আর এসব অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়ে আগামি ৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে দুদক প্রধান কার্যালয়।
গত ৮ অক্টোবর অনুমোদন সংক্রান্ত এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ। তিনি নিজেই এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার দুর্নীতির অনুসন্ধান করবেন বলে উল্লেখ করা হয় সেই চিঠিতে।
বেশ কিছুদিন ধরে এসবের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগে পুনর্বাসনের পাশাপাশি জামায়াত তোষণ ও লালনের অভিযোগও উঠে। গত ৫ অক্টোবর নোয়াখালীতে ধর্ষণ ঘটনার পর ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অত্যন্ত নোংরা ও কদর্য পোস্ট দিয়ে যে তিন যুবক গ্রেপ্তার হয়, তারা সন্দ্বীপ ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী সাবেক শিবির ও ছাত্রদলের নেতা।
অভিযোগ ওঠে, সেই তিন যুবক এমপি মিতার ঘনিষ্ঠ। তাদেরই সতীর্থ শিবিরের সক্রিয় দুই নেতার সাথে এমপি মিতার ঘনিষ্ঠ ছবিসহ একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে গত ৮ অক্টোবর ‘সন্দ্বীপের এমপি মিতার শিবির-সখ্যতা!‘ শিরোনামে একুশে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।