শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে জামিন দিয়েছিলেন কামরুন্নাহার: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, নভেম্বর ২৫, ২০২১

ধর্ষণ মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে জামিন দিয়েছিলেন কামরুন্নাহার: আপিল বিভাগ

ডেইলি খবর ডেস্ক: আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক কামরুন্নাহার। তিনি আপিল বিভাগের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন এবং কোনো ধরনের ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নন। বিচারক কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়। গত ২২ নভেম্বর ওই আদেশ দেন আপিল বিভাগ। যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ সত্বেও ধর্ষণ মামলায় আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারক কামরুনন্নাহার গত ২২ নভেম্বর আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। যদিও প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার শুনানিতে কোনো সাংবাদিককে আপিল বিভাগে থাকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আপিল বিভাগের কর্মচারীদেরও বিচার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক কামরুন্নাহার সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন। আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নম্বর ক্রমিকের মামলায় শুনানি শেষে তাঁর ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ করা হয়েছে-মর্মে আদেশ দেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ হবে বলে তিনি জানান। আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে গত বছরের ১২ মার্চ কামরুন্নাহারকে তলব করা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী ২ এপ্রিল আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাঁর ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে সেটা আর হয়নি। রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণের মামলায় সম্প্রতি পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেন কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর মেডিকেল পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ওই সময়ের পর ধর্ষণ মামলার এজাহার না নিতে পরামর্শ দেওয়া হয় পর্যবেক্ষণে-এমন অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়। আইনমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর তাঁর বিচারিক ক্ষমতা সাময়িক সময়ের জন্য প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ওই দিনই তাঁকে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। এদিকে ১৭ নভেম্বর ওই রায়ের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ে ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়ার কোনো উল্লেখ নেই রায়ে। আ.পত্রিকা
Link copied!