বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাগিন পাহাড় সাবাড় করছে ৩৪ ‘ওঝা’

প্রকাশিত: ০২:৩৫ এএম, নভেম্বর ২৬, ২০২১

নাগিন পাহাড় সাবাড় করছে ৩৪ ‘ওঝা’

পুরোনো বাংলা চলচ্চিত্রে বহুল ব্যবহৃত চরিত্র 'নাগিন'। মাথায় তার মণি থাকে। সেই মণি হাতিয়ে নিতে ফন্দি আঁটে দুষ্ট ওঝারা। একসময় তা হাতিয়েও নেয়, বন্দি হয়ে নিপীড়নের মুখে পড়ে নাগিন। চট্টগ্রামের পূর্ব নাসিরাবাদের নাগিন পাহাড়ও এখন তেমনই দুষ্ট ওঝাদের কবলে। পুরো পাহাড় সাবাড় করতে শুরু করেছে ৩৪ 'ওঝা'। পাহাড় কেটে তারা গড়ে তুলেছে 'গ্রীনভ্যালি হাউজিং'। পাহাড় কেটে গড়েছে নানা মাপের ভবন। দখল পাকাপোক্ত করতে চারদিকে ঘেরা দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসিয়েছে দখলদাররা। অপরিচিত কেউ যাতে আসতে না পারে, সে জন্য পুরো এলাকা নজরদারি করছে তারা ড্রোন দিয়ে। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের নামেও রয়েছে সাইনবোর্ড। পাহাড় কেটে এখানে তিনটি সেমিপাকা ঘর তোলা হয়েছে তার। তার কার্যক্রম তদারক করছেন জাহাঙ্গীর খান ও নাছির উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি। নাগিন পাহাড়ের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে ১২ হাজার ৯৬০ বর্গফুট পাহাড় কেটে ১১ তলা ভবন করছেন মো. হাবিবউল্লাহ বাহার ও নাসির উদ্দিন। পূর্ব-উত্তর পাশে দুই হাজার ৩৫০ বর্গফুট পাহাড় কেটে আটতলা ভবন করেছেন সাইফুল আলম সুমন। পূর্ব-দক্ষিণে তিন হাজার বর্গফুট কেটে সাততলা ভবন নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ ইছা খান। একই পাশে এক হাজার ৫০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে নুরুল আলম পাঁচতলা ভবন এবং খোরশেদ আলম ওরফে টুকু দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এক হাজার বর্গফুট পাহাড় কেটে চারতলা ভবন করেছেন শহিদ উল্লাহ। একই পাশে এক হাজার ৪০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে ১৩টি ঘর নির্মাণ করেছেন মোতাহের হোসেন। দক্ষিণ পাশে এক হাজার ৫০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে ১২টি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছেন নুরুল ইসলাম। খালেদ মাহমুদ বাবুল নামের একজন পাহাড় কেটে গড়েছেন 'জারিয়া বারস টাওয়ার'। পাশেই শোয়েব ভিলা নির্মাণ করেন মো. শোয়েব। জাহাঙ্গীর আলম ৪ নম্বর রোডের ৩৫ নম্বর প্লটে গড়ে তোলা ভবনের নাম দিয়েছেন গ্রিন হাইট। ১ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর প্লটের আবুল কালাম ও রাশেদ পাহাড় কেটে গড়া বাড়ির নাম দিয়েছেন 'মনোয়ারা ম্যানসন'। মনির উদ্দিন ভবনের নাম দিয়েছেন 'খাগুতিয়া বিল্ডিং'। প্রবাসী মো. মনসুর ৭ নম্বর রোডের ৪২ নম্বর প্লটে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। তার পাশের প্লটে মো. আমির হোসেন নির্মাণ করেছেন ছয়তলা ভবন। বেড়া মাজার-সংলগ্ন পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায় ফিরোজা বেগমের নামে সাইনবোর্ড। এতে স্বামীর পরিচয় লেখা রয়েছে- 'মো. বদিউজ্জামান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন; প্রাক্তন জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব।' জমির পরিমাণ উল্লেখ করেছেন ২০ গণ্ডা বা ৪০ শতক। আরএস দাগ নম্বর ১২/১৩/১০; পিএস দাগ নম্বর ৬/৮ ও বিএস দাগ নম্বর ১৫৩ লেখা আছে সাইনবোর্ডে। পাহাড়ের কয়েকটি স্থানে এ রকম সাইনবোর্ড ঝোলানো। এর পাশে ইটের গাঁথুনি দিয়ে তোলা হচ্ছে তিনটি ভবনের দেয়াল। পাহাড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু এ পাহাড়ে তা আছে। আছে বৈদ্যুতিক মিটারও। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পাহাড় কাটায় বদিউজ্জামান আসলে জড়িত, নাকি তার নাম ব্যবহার করে কেউ সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে- সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য ফিরোজা বেগমের নামে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যৌথভাবে এই জায়গার মালিকানা দাবি করেছেন ফিরোজা বেগম ও আইয়ুব নামের এক ব্যক্তি। তাদের হয়ে এখন ভবন নির্মাণের কাজ তদারক করছেন জাহাঙ্গীর খান। বদিউজ্জামানকে কখনও দেখেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সমকালকে বলেন, "আমি কাজ তত্ত্বাবধান করছি এক বছর ধরে। আমি কখনও ওনাকে (বদিউজ্জামান) কিংবা ওনার স্ত্রীকে দেখিনি। ভবন নির্মাণের মিস্ত্রি খরচ নিই নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে। কাজ করার জন্য বদিউজ্জামানরা 'পাওয়ার অব অ্যাটর্নি' দিয়েছেন তাকে। এ ব্যাপারে নাছিরই ভালো বলতে পারবে।" নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধেও পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, 'দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান তিনি (বদিউজ্জামান)। ১৯৮০ সালে আবদুল কবির কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে পাহাড়টি কিনেছেন তার স্ত্রী ও আইয়ুব নামের আরেক ব্যক্তি। তাদের হয়ে এখন জায়গা দেখাশোনা করি আমি।' বদিউজ্জামানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে নাছির উদ্দিন বলেন, 'ওনার সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়। বুধবারও (২৪ নভেম্বর) কথা হয়েছে।' ঘটনার বিষয়ে জানতে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামানের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সমকালের পরিচয় দিয়ে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, বদিউজ্জামান কিংবা তার স্ত্রী মালিকানা দাবি করলেও পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। মিলেমিশে যে ৩৪ জন নাগিন পাহাড় কাটছেন, তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন জহিরুল ইসলাম নামের একজন। তিনি পাহাড়ের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে ৮০০ বর্গফুট কেটে একটি টিনশেড ঘর তুলেছেন। মো. নুরুচ্ছবা পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন তিনটি টিনশেড ঘর। দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে তিন হাজার ২০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে ঘর তুলেছে নুরুল আবছার গং। নাগিন পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে এক হাজার ৫০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে গ্যারেজ তৈরি করছেন দিদারুল আলম, নুরুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বদিউল আলম ও জসিম উদ্দিন। দক্ষিণ পাশে ৮৭৫ বর্গফুট পাহাড় কেটে ঘর তুলেছেন খোকন শিকদার। দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে এক হাজার ৬০০ বর্গফুট পাহাড় কেটে দুটি স্থাপনা করেছেন মোহাম্মদ শফি উল্লাহসহ ছয়জন। দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে ৮০০ বর্গফুট পাহাড় কেটেছেন মোজাম্মেল হক। একইভাবে পাহাড় কেটে নানা রকম স্থাপনা করেছেন মো. জসীম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ মাহবুব আলম, মো. মুসলীম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মো. ইলিয়াস, মো. ওলিউল্লাহ ও মো. আরিফুর রহমান। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, 'পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আছি আমরা। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না। এক পাহাড়ে অভিযান চালালে অন্য পাহাড় রাতারাতি কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক এলাকা। কারও থেকে অনুমতি না নিয়েই কেউ কেউ গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন। অবৈধ জায়গায় গড়ে ওঠা কোনো স্থাপনা রাখতে পারবেন না কেউই।' পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী বলেন, 'পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগিন পাহাড় পরিদর্শন করে। এ সময় তারা পাহাড় কাটার সত্যতা পান। যারা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করে আসছিল, তাদের সবাইকে জরিমানা করেছি আমরা। যারা শুনানিতে আসেনি, তাদের বিরুদ্ধে করেছি ফৌজদারি মামলাও। তারপরও কৌশল পাল্টে পাহাড় কাটছে দখলদাররা।' নাগিন পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। তবে তাদের শুনানিতে ডেকেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু পাহাড় কেটে স্থাপনা করলেও নিজেদের দায় স্বীকার করেননি কেউই। এদেরই একজন সফিউল আলম। পাহাড় কেটে ছয়তলা ভবন করার অভিযোগে তাকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তিনি সমকালকে বলেন, 'আমি প্রবাসে থাকতাম। সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা কাঠা দরে মোট চার কাঠা সমতলভূমি নিয়েছি ডায়নামিক প্রপার্টি নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে। এরপর ছয়তলা ভবন করেছি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ডায়নামিক প্রপার্টিকে না পেয়ে আমাকে জরিমানা করেছে।' এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের শুনানিতে মো. জসীম উদ্দিন পাটোয়ারী ও মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, তারা তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে প্লট কিনে স্থাপনা করেছেন। এটি অবৈধ কিনা, তা তাদের জানা নেই। মো. মুসলীম উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, তারা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে প্লট কিনেছেন। তারা যখন কিনেছেন, তখন এটি সমতল ছিল। পাহাড় কেটে তারা কোনো স্থাপনা করেননি। পাহাড় সাবাড় রৌফাবাদেও :চট্টগ্রামে বায়েজিদ লিঙ্ক রোড থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বেড়া ফকিরের মাজার। এ মাজারের পাশেই রৌফাবাদে পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। এই আবাসিকে পাহাড় কাটছে ২০ জনের একটি সিন্ডিকেট। বুধবার সরেজমিন গিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযুক্তদের সবাইকে আইনি নোটিশ দিয়েছে তারা। ২৮ নভেম্বর সশরীরে উপস্থিত হয়ে পাহাড় কাটার যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিলে সবার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। রৌফাবাদে পাহাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের একজন নাছির উদ্দিন বলেন, 'পাহাড় কেটে আমি কোনো স্থাপনা করছি না। পরিবেশ অধিদপ্তর যে নোটিশ দিয়েছে, আমি তার জবাব দেব।' সিসিটিভি ও ড্রোন দিয়ে পাহারা :পাহাড় দখলকারীরা আগে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে পাহারা দিলেও এখন পরিবর্তন এনেছে কৌশলে। বেড়া ফকিরের মাজার-সংলগ্ন পাহাড়ের চারপাশে সীমানা ঘেরা দিয়ে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। অপরিচিত কেউ যেন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। রাখা হয়েছে ড্রোনও। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'ড্রোন ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে পাহাড় কাটতে দেখিনি আগে কখনও। রৌফাবাদে পুরো এলাকাকে নজরদারিতে রাখতে এমন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে পাহাড়খেকোরা।' পাহাড় কাটতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ঐক্য :গ্রীনভ্যালি হাউজিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ আজম উদ্দিন। আর পাহাড়িকা আবাসিকের নিয়ন্ত্রণ করছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় পাহাড় কেটে প্রশাসনের চোখের সামনেই গড়ে উঠছে গ্রীনভ্যালি হাউজিং ও পাহাড়িকা আবাসিক। গত দুই দশকে বেচাকেনা হওয়া সেসব প্লটে উঠেছে বহুতল ভবন। গ্রীনভ্যালি হাউজিংয়ে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ৫০টির বেশি ভবন। এখানে প্লট আছে ৯৭টি। দুই দশক আগে প্লট ছিল ৪০টি। কার্যক্রম পরিচালনায় এখানে গঠন করা হয়েছে ২১ সদস্যের কমিটি। প্রতি মাসে ভবন মালিকদের কাছ থেকে নিরাপত্তার জন্য এক হাজার ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন তারা। একাধিক ভবনের মালিক জানান, পাহাড় কাটায় সাধারণ ভবন মালিকদের সম্পৃক্ততা নেই। প্রভাবশালীরাই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পাহাড় কেটে আবাসিক এলাকা সম্প্রসারণ করছে। প্লট বেচাকেনা করছে। সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আজম উদ্দিন বলেন, '৯৭ সালে আমরা ভবন করেছি এখানে। তখন এটি সমতল ছিল। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এখন এসে বলছে, পাহাড় কাটা হয়েছে আগে। তাহলে এত দিন কোথায় ছিল তারা? উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'আমার কোনো প্লট নেই। বাংলাদেশ কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি হিসেবে আমি এসব দেখাশোনা করছি। এখানে অবৈধ কিছু দখলদার আছে। জায়গা নিয়ে ঝামেলাও আছে। আমি এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।'
Link copied!