ডেইলি খবর ডেস্ক: নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পরছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরা। কেউ জড়িয়েছেন দখলে কেউ চাদাবাজিতে আবার কেউ জড়িয়েছেন খুন-খারাপীর নির্দেশদাতা হিসাবে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন শ্রমিক ইমরান হোসেনকে (৩৫) ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার নির্দেশে তার ভাগ্নি জামাই উজ্জ্বল মোল্লাসহ তার সহযোগীরা খুন করেছে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর মামলায় এ অভিযোগ করা হয়েছে। সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা তোলার জেরে ওই হত্যাকান্ড হয় বলেও বাদী অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে ইমরানের স্ত্রী পপি আক্তার এ মামলা করেন। এর আগে সোমবার রাতে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি মাসুম মোল্লা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে গতকাল কয়েক দফা ফোন দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।পুলিশ জানায়, মামলায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা ও তার ভাগ্নি জামাই উজ্জ্বল মোল্লা ছাড়াও ২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন ইমরানের স্ত্রী পপি আক্তার।মামলায় কাউন্সিলর মাসুম মোল্লাকে প্রধান আসামি ও তার ভাগ্নির স্বামী আকরাম উজ্জামান ওরফে উজ্জ্বল মোল্লাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন রমজান মোল্লা, মো. মোস্তাকিম, মো. শুভ, পলাশ, তানজিল মিয়া, বুলু বাবু, জামাল, রাজীব, জাহিন, দেলা, হাসান, সাগর, রাজু, সুমন, ফয়সাল, রাজন, পারভেজ ও সোহেল। তারা সবাই মাসুম মোল্লার সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। মামলার এজাহারেও চাঁদা তোলার দ্ব্েদ্বর জেরে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইমরান সিটি টোলের নামে নয়, চাঁদা তুলতেন ঢাকা জেলা ট্রাক ট্যাঙ্কলরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নামে।
মামলার এজাহারে ইমরানের স্ত্রী পপি আক্তার উল্লেখ করেন, তার স্বামী পেশায় একজন পিকআপ শ্রমিক। পাশাপাশি তিনি পিকআপ ও ট্রাকের কুলি মজুরির টোল আদায় করেন। টোল আদায়কে কেন্দ্র করে তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি উজ্জ্বল মোল্লা, তার সহযোগী মোহাম্মদ আলী ও মো. আরিফ চাপাতি, ছুরি এবং রামদা দিয়ে ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা করে। ইমরানকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়ত এলাকায় সিটি টোলের নামে উজ্জ্বল মোল্লার লোকজন আগে চাঁদা তুলতেন। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এই চাঁদা তুলছিলেন আল আমিনের লোকজন। এ নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল। চাঁদা তোলার সময় উজ্জ্বল মোল্লার লোকজন কয়েকদিন আগে আল-আমিনের লোকজনকে মারধর করেছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লোকজন আবারও হামলা করতে আসে। আল-আমিনের দলের সদস্য মনে করে ইমরানসহ তিনজনের ওপর তারা হামলা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম জানান, ইমরান হত্যার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রাজধানীর একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জমি এবং ফ্ল্যাট দখলের। স্থানীয়রা অপরাধ মুখ বুঝে সহ্য করেই চলছে। প্রতিবাদ করলে জীবন সংকটাবন্্য হতে পারে। থানায়ও জানায় না। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে অপরাধে জড়িয়ে পরা কাউন্সিরদের লাগাম টেনে ধরা প্রয়োজন,অন্যথায় অপরাধ বাড়বেই। আর এসব অপাধের নেপথ্যে ইউন্সিলরই তাতে কোনো সন্দেহ নেই।।