শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পলাতক আসামির মার্কিন এমএলএম, সঙ্গী মৌসুমী-ওমর সানি-মিশা

প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, অক্টোবর ৩০, ২০২১

পলাতক আসামির মার্কিন এমএলএম, সঙ্গী মৌসুমী-ওমর সানি-মিশা

চিত্রনায়িকা মৌসুমী আমেরিকার রাজপথে, দামি এক গাড়িতে। চলতি পথেই গাড়ির পেছনের সিটে বসে নতুন ঘোষণা দেন তিনি। এই ঘোষণা এমএলএম কম্পানিতে যোগদানের। গাড়িতে তাঁর পাশে যে মানুষটি ছিলেন তিনি দুদকেরসহ একাধিক মামলার আসামি মাসুদ রানা। কয়েক বছর আগে গণমাধ্যমে রানার এমএলএম প্রতারণার খবর বের হলে তিনি আমেরিকা পালিয়ে যান। এখন সেখানে বসে তিনি নতুনভাবে শুরু করেছেন এমএলএম ব্যবসা। ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। মৌসুমীর সঙ্গে এই তালিকায় আছেন তাঁর স্বামী অভিনেতা ওমর সানী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। তাঁরাও মার্কিন এমএলএম কম্পানি জেনাস গ্লোবালের পণ্য বিক্রি করে বিপুল আয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছেন। মালটিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন পদ্ধতিতে নিজস্ব কিছু ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য’ বিক্রি করে জেনাস। এটি আমেরিকা থেকে পরিচালিত হয়। গত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে জেনাস ওয়ার্ল্ডের কর্মকাণ্ড। বাংলাদেশে এদের কোনো অনুমোদন নেই। এর পরও জেনাস এ দেশে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে শুধু মাসুদ রানার দলেই ৬০ হাজার পরিবেশক আছেন বলে তিনি একটি অনলাইন সভায় দাবি করেছেন। জেনাস কিছু প্রসাধন সামগ্রীর পাশাপাশি ওষুধের মতো কাজ করে এমন পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করে। দেশে একই এমএলএম কম্পানির আরেকজন শীর্ষ দলনেতা আবু সায়েম মাসুম। তাঁর দলেও বিপুলসংখ্যক সদস্য বা পরিবেশক আছেন। সব মিলিয়ে এরই মধ্যে লাখের বেশি মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেনাস গ্লোবালের এশিয়া-প্যাসিফিক-আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ক্রিস কোপার এক চিঠিতে বাংলাদেশের পরিবেশকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার যেহেতু অনুমোদন দেয়নি, তাই প্রতারণার দায়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। পণ্য বিক্রির অর্থ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন দেওয়া হবে—এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিশেষ করে তরুণদের জেনাসে যুক্ত করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবেই জেনাসের হিসাবে অন্তত ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া আরো বড় প্যাকেজ আছে, যেগুলো কিনলে দ্রুত ‘র‌্যাংক’ বা পদ পাওয়া যাচ্ছে। তবে জেনাসে যুক্ত হওয়া বেশ কয়েকজন পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে যে জেনাস আর দশটা এমএলএমের মতোই। এখানেও রয়েছে সূক্ষ্ম কারচুপি ও প্রতারণার ফাঁদ। ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমএলএম কম্পানির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ আর্থিক বিষয়ে মামলার তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আর্থিক অপরাধ শাখা। এই শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘এইমওয়ে বা পল্টনের ওই প্রতিষ্ঠানের মামলার তথ্য আগে আমিও শুনেছি। তবে এখন ওই প্রতিষ্ঠান ও মালিকের ব্যাপারে তদন্ত সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে অনেক এমএলএম কম্পনির ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (মাসুদ) যে নামে প্রতিষ্ঠান চালাক না কেন, মানি লন্ডারিংয়ের ২৭টি অভিযোগের কোনো একটি থাকলেই অনুসন্ধান করতে পারব। দেশের বাইরে থাকলেও অবৈধ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।’ ডেসটিনি ছেড়ে জেনাসযাত্রা : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেসটিনি-২০০০ নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর এর সঙ্গে যুক্ত দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির অনেকে বিদেশে পাড়ি জমান। তাঁদেরই অনেকে প্রবাসে বসে বাংলাদেশে মার্কিন এই কম্পানিটির ডালপালা ছড়াচ্ছেন। এঁদের মধ্যে আছেন আব্দুল মান্নান (যুক্তরাষ্ট্র), গোলাম কিবরীয়া (ফ্রান্স), খালেদ মোশাররফ (কে এম ফরহাদ, কানাডা), জে মোল্লা সানি (যুক্তরাষ্ট্র), সোহেল রানা প্রমুখ। তাঁরা সবাই মাসুদ রানার টিমের শীর্ষস্থানীয় সদস্য। বিদেশে অবস্থান করায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের এসংক্রান্ত অনেক ভিডিও রয়েছে। এই প্রতিবেদক প্রতিবেদন তৈরির জন্য জেনাস বাংলাদেশের অনেক জুম মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন। অনুমোদন না মিললেও ঢাকা, কক্সবাজারসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেনাসের সেমিনার করা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ প্রতিদিন জুম মিটিং করছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জেনাস বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার হাসানুল মিল্লাত বলেন, কেউ কম্পানির লোগো ব্যবহার করছে না। দলনেতারা নিজ নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য বাংলাদেশে আনছেন এবং দল পরিচালনা করছেন। তিনি জানান, গুলশানে জেনাসের অফিস ছিল। তাঁরা এর অনুমোদনের জন্য আবেদন করে তা পাননি। তাই গুলশানের অফিস ছেড়ে দিয়ে এখন মতিঝিলের দিলকুশায় জেনাসের স্থানীয় আইনজীবীর ঠিকানা ব্যবহার করে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মাসুদ রানার ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসানুল মিল্লাত বলেন, ‘তিনি তো আমেরিকার নাগরিক ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।’ বিদেশে থেকে দেশে জেনাসের টিম গঠনকারী অন্যান্যের মধ্যে হাসানুল মিল্লাত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে উল্লেখ করেন। বিতর্কিত মালিক : ওয়েন্ডি লেউইজ ও রেন্ডি রে দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে জেনাসের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে যেমন মাসুদ রানা, তেমন যুক্তরাষ্ট্রে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি এই রেন্ডি রে। খোদ আমেরিকায় জেনাসের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি মামলা হয়েছে। যাতে অভিযোগ করা হয়, জেনাস সরাসরি বিক্রির কথা বলে বিতর্কিত এমএলএম পদ্ধতিতে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা এর আগেও এমএলএম কম্পানি খুলেছিল, নাম ‘ফুয়েল ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল’। পণ্যটি ছিল ট্যাবলেট। তাদের দাবি ছিল, এটি ব্যবহার করলে গাড়িতে কম জ্বালানি লাগবে। এদের নিয়ে ২০০৬ সালের ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে এই শিরোনামে : বড়ি কি আপনার গাড়ির গ্যাস খাওয়া কমাচ্ছে? এবিসি সরেজমিনে দেখতে পায়, ওই বড়ি গ্যাসের ব্যয় কমাতে পারছে না। মৌসুমী, সানী ও মিশা সওদাগরের বক্তব্য : মুঠোফোনে মৌসুমী ও ওমর সানী দম্পতির সঙ্গে কথা হয়। ওমর সানী শুরুতেই স্বীকার করেন, তিনি ও মৌসুমী জেনাস গ্লোবালে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মানুষ এই কম্পানির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জেনাসের মাসুদ রানা অতীতেও কয়েকজন অভিনেতাকে তাঁর এইমওয়ে কম্পানিতে নিয়ে বিতর্কিত করেছেন—এই তথ্য জানালে ওমর সানী বলেন, ‘ওহ মাই গড! এই মাসুদ রানা তাহলে সেই মাসুদ রানা। আমি মৌসুমীকে এখনই মেসেজ পাঠাচ্ছি।’ এর কয়েক ঘণ্টা পর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মৌসুমীর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। মৌসুমীও ওমর সানীর মতোই বলেন, মাসুদ রানা যে বিতর্কিত এবং জেনাস যে এমএলএম কম্পানি তা তাঁর জানা ছিল না। এখন যেহেতু জেনেছেন, তিনি সতর্ক থাকবেন। মৌসুমী দাবি করেন, তিনি মেয়ের পড়াশোনার কাজে তার সঙ্গে আমেরিকায় গেছেন। একইভাবে মিশা সওদাগরও বলেছেন, জেনাস যে এমএলএম কম্পানি তা তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানলেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন  শুক্রবার  বলেন, ‘এমএলএম কম্পনির নামে গ্রাহকদের সঙ্গে যে বা যারা প্রতারণা করে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের নজরদারি আছে। এক মাস আগে আমরা এহসান গ্রুপের লোকজনকে ধরেছি। আজও (গতকাল) ঝিনাইদহে একটি অভিযান হয়েছে। আমরা সবাইকে বলব কোনো ধরনের প্রলোভনে পড়ে এমএলএম কম্পানিতে যুক্ত না হতে। প্রতারণার শিকার হলে অবশ্যই আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসে দেশের কারো সঙ্গে প্রতারণা করলেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব। আমরা অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ ক্ষতিগ্রস্তরা কী বলছেন : বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি  বলেছেন, জেনাসের ব্যবসার ধরন ডেসটিনি-২০০০-এর মতোই। ফলে মানুষ এতে যুক্ত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেনাসে যুক্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে জেনাসের অন্যতম বড় দুটি সক্রিয় গ্রুপের একটির প্রধান আবু সায়েম মাসুম। অন্যটি চালাচ্ছেন মাসুদ রানা। মাহবুব কাজ করেন আবু সায়েমের গ্রুপে। তিনি জেনাসে ‘রুবি ডিরেকটর’ ছিলেন। এই র‌্যাংক পেতে হলে অন্তত ১৮০০ লোক, মাথাপিছু ২১ হাজার ৫০০ টাকা, মোট তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা জোগান দিতে হয় কম্পানিকে। লেনদেন হয়েছে মূলত আবু সায়েমের মাধ্যমে। তবে কয়েকবার ফোন করলেও আবু সায়েম মাসুম ফোন ধরেননি। ডেসটিনিতে মিজান ছিলেন ‘ডায়মন্ড’ পদে। তবে জেনাস তাঁর স্বপ্নের হীরকখণ্ড ভেঙে গুঁড়া করে দিয়েছে। জেনাস ছেড়ে দিয়েছেন জানিয়ে ডায়মন্ড মিজান বলেন, ‘আর না! ১২ বছর সোনার হরিণ ধরেছি, এখন প্রাইমারি স্কুলের টিচার বউয়ের ব্যাগ টানি।’ কালের কণ্ঠকে মিজান আরো বলেন, ‘ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো ব্যাধি সারানোর মতো গাঁজাখুরি দাবিও করে জেনাসের পণ্য বিক্রি করছে। আমি লিভারের জন্য খেয়ে কোনো উপাকারই পাইনি।’ গোলাম নবী মোহন জেনাসের র‌্যাংক ‘সাফায়ার ৫০’ লিডার। সূত্র মতে, শুধু তাঁর টিমের মাধ্যমেই ২৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। তিনি আছেন আবু সায়েম মাসুমের টিমে। এই টিমে আরো আছেন শীর্ষ নেতা মহিউদ্দিন জামিল, তাপস কুমার দে প্রমুখ। তবে এখন নিষ্ক্রিয়—দাবি করে মোহন বলেন, কিছু অসাধু লিডার মানুষের ক্ষতি করছে। কম্পানিরও বদনাম করছে। মোহনের ফেসবুক আইডি থেকে জানা যায়, তিনি এখন ‘সুইসডারম’ নামে বিটকয়েনে বিনিয়োগভিত্তিক একটি মানিগেমের (এমএলএম) বড় কর্তা। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ : মনে করা হয়, জেনাসকাণ্ডে এরই মধ্যে দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে কয়েক শ কোটি টাকা। ডায়মন্ড লিডার হতে টিমে দুই মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার মতো থাকতে হয়। তবে ডাবল ডায়মন্ড হতে হয় এক মাসে। মাসুদ রানা আনুমানিক ৭০ কোটি টাকা আয় দেখিয়ে ডাবল ডায়মন্ড হয়েছেন। তাঁর টিমে আরো পাঁচজন ডায়মন্ড ও অসংখ্য রুবি ও এমেরাল্ড র্যাংকধারী নেতা রয়েছেন। আয় ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত জুম মিটিংয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি মিটিংয়ে মাসুদ রানা বক্তৃতা করছেন। এ ধরনের এক সভায় নিজের আয়ের স্ক্রিনশট দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখেন প্রথম সপ্তাহে দুই হাজার ডলার ইনকাম ছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই ২০ হাজার ডলার হয়ে গেছে।’ আসামি মাসুদ রানা : কয়েক গুণ বেশি আয়ের লোভ দেখিয়ে এইমওয়ে এমএলএমে যুক্ত করে প্রতারণা করায় চরমোনাই পীর পরিবারের সদস্য সাইয়্যেদ রিদওয়ান বিন ইসহাক, মাসুদ রানাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। তাঁর বিরুদ্ধে আরো অন্তত দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। দুদকের মামলার পর মাসুদ দেশ ছাড়েন। জেনাসের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালে কানাডার প্রতি ১০০ সদস্যের মধ্যে ৩৭.১২ জন এক সেন্টও আয় করতে পারেনি। ৪৩.৮৫ জন ২৪৬ ডলার আয় করেছে। একইভাবে ১১.১০ জন ২,১৯৫ ডলার, ২.৬৫ জন ৬,৮৯১ ডলার, ২.৬৯ জন ১৫,০৭৮ ডলার, ১.১৬ জন ৩৪,৬৬০ ডলার এবং ০.৬৩ জন ৬৫,৬২৭ ডলার আয় করতে সক্ষম হয়। জেনাসেরই তথ্য অনুযায়ী, ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ০.২৮ জন আয় করেছে ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৮৩০ ডলার। ০.৫৩ জন আয় করেছে এক লাখ ৫০ হাজার ৪১৪ ডলার। সূত্র: কালের কণ্ঠ
Link copied!