শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, মে ১৪, ২০২২

পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ছয়জনকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাম পাল্টে তিনি শিবশংকর পরিচয়ে ভারতে অবস্থান করছিলেন। শনিবার (১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তিনিই পি কে হালদার কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি দেশটির গোয়েন্দারা। এর আগে গতকাল শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই সংস্থা আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে থাকে। দেশটির গোয়েন্দারা জানিয়েছে, পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পি কে হালদারকে অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিৎ করেছে দেশটির পুলিশ অশোকনগরে তিনটি বড় ভবন রয়েছে পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুকুমার মৃধার। এলাকাবাসী তাকে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চেনেন। এ বিষয়ে অশোকনগরের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুকুমার মৃধা বেশ কয়েক বছর ধরে অশোকনগরে বসবাস করলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাকে আর সেখানে দেখা যায়নি। অশোকনগরের পাশাপাশি তিনি উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভবিষ্যতে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে এমন জমিজমা কেনেন। এদিকে পুলিশ সূত্র জানায়, আজ শনিবার অন্তত ১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওই অঞ্চলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। কয়েক মাস আগে পি কে হালদারের অর্থপাচারের সহযোগিতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লুটপাটে পি কে হালদারকে এই দুইজন সহযোগিতা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি। পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে। তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে দুদক। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে ইস্যুতে ৬৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অন্তত নয়টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে, দিল্লি ও মুম্বাইয়ে আরও সম্পদ থাকতে পারে।
Link copied!