শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের চাকরি পেতেই ‘বিয়ে’ অস্বীকার, মামলায় গেলেন কলেজছাত্রী

প্রকাশিত: ০৩:১১ এএম, নভেম্বর ৫, ২০২১

পুলিশের চাকরি পেতেই ‘বিয়ে’ অস্বীকার, মামলায় গেলেন কলেজছাত্রী

ভুয়া হলফনামা বানিয়ে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে তাওহিদুল ইসলাম নামে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বেসরকারি কলেজের এক তরুণী শিক্ষার্থী (১৮)। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই তরুণীর বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা করেন তাওহিদুল। বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর হলফনামায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাওহিদুল। একপর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পরপরই আচরণে পরিবর্তন আসে তাওহিদুল ইসলামের। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে এসে তাওহিদুল তরুণীটির সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ২০২১ সালের ৯ জুলাই চাকরিতে যোগদানের পর তিনি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাদী তরুণী তাকে স্বীকৃতি দিতে চাপ সৃষ্টি করলে তাওহিদুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী রুবেল পাল মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তাওহিদুল ইসলাম বিয়ের কথা গোপন করে চাকরিতে যোগদান করেছেন। যা আইনত দণ্ডনীয়। পুলিশের চাকরিতে কিছু নিয়মকানুন আছে, যার ব্যতয় তিনি ঘটিয়েছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৯৩ ও ৪২০ ধারায় এসআই তাওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান রুবেল পাল।
Link copied!