ডেইলি খর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জার্সি উপহার দিলেন রোনালদিনহো। এরআগে চিরচেনা মিষ্টি হাসি নিয়ে বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করা এ তারকা সেই সময় ছিলেন টগবগে তরুণ রোনালদিনহো। এরআগে বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৪টায় হোটেলে আসার পর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় চলে যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর আবার চলে আসেন হোটেল র্যাডিসনে। প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাও রোনালদিনহোর সঙ্গে ক্যামেরায় বন্দি হন। এর পর এক ঘণ্টার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নীরবেই রাতে ঢাকা ছেড়ে যান রোনালদিনহো। সময়স্বল্পতায় কোনো জাদু দেখাতে পারেননি ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’। এরআগে ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় রোনালদিনহো। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘জয় বাংলা’ লেখা জার্সি উপহার দেন। ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।বিকালে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন রোনালদিনহো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রেডিসনে ফিরছেন রোনালদিনহো। সেখানে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্রাজিল ভক্ত তামিমের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
বিশ্ব ফুটবলে রোনালদিনহোর আগমনী বার্তা ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে। । মাত্র ২২ বছর বয়সে শৈল্পিক ফুটবলে যে রং ছড়িয়েছিলেন রোনালদিনহো, ২১ বছর পর তাঁর বয়স এখন ৪৩। বয়স আর কারাবাসের নেতিবাচক খবরের কারণে জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ে তাঁর। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে রোনালদিনহো নাম মানেই ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’। ফুটবলের এ জাদুকরকে ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করতে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না আয়োজকদের। গত জুলাইয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে নিয়ে ভক্তদের যে উন্মাদনা ছিল, রোনালদিনহোর ক্ষেত্রে তা ছিল না। অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক মার্টিনেজকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ব্রাজিলিয়ান তারকার আগমন উপলক্ষে সীমিত সংখ্যক মিডিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় তত্ত্বাবধায়ক ক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড ও অফ ট্র্যাক।
গত ১৬ অক্টোবর কলকাতায় গিয়ে পূজামন্ডপ উদ্বোধন, ফুটবল একাডেমি ও মোহনবাগান ক্লাবে গিয়েছিলেন রোনালদিনহো। কিন্তু সাড়ে ৬ ঘণ্টার সফরে রোনালদিনহোকে ঢাকায় আনা হয়েছে বাণিজ্যিক কারণে। বিশ্ব ক্রীড়া মহাতারকার সঙ্গে ভক্তদের মিলনমেলার কোনো আয়োজন ছিল না। যেমন ছিল না এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ক্ষেত্রে। শুধু হোটেলের দুই পাশে ‘ম্যাজিকেল নাইট উইথ ফুটবল লিজেন্ড’ লেখা সংবলিত ব্যানার চোখে পড়েছে। যে বলরুমে আয়োজন করা হয়েছে, সেটা খুবই ছোট। বলরুমটি লোকেলোকারণ্যে এতটাই পরিপূর্ণ ছিল, সত্যিকারের ফুটবল ভক্তদের সুযোগ মেলেনি প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি তোলার।