বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনীতে পিটুনি খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, মে ১২, ২০২২

ফেনীতে পিটুনি খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রলীগ সভাপতি

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কারকাজের ঠিকাদারি নিয়ে বিরোধের জেরে রবিউল হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য রবিউল হোসেন রুবেল দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবিরকে দায়ী করেন। তবে দিদারুল কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আহত রবিউল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রবিউল হোসেন রুবেল জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজের জন্য তিন মাস আগে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠান (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্মাণ বিল্ডার্স) কাজটি পায়। গত ১০ই এপ্রিল দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ বুঝে নিতে বুধবার আমি ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের কাছে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। এ সময় ৮-১০ জন যুবক অতর্কিতে হামলা করে পিটিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের লোকজন এসে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেন। ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষের কাজগুলো রবিউল হক রুবেলকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে তাকে পেটাতে থাকে। এতে রুবেলের মাথা, ঘাড় ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক আমিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেই।’ সহকারী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা কে বা কারা আমরা কিছু জানি না। হামলার বিষয়ে থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হোসেন রুবেল আরও বলেন, ‘হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও লোহার রড ছিল। হামলার সময় তারা বলছিল, দিদার ভাইয়ের (দিদারুল কবির) অনুমতি ছাড়া আমি কেন এখানে কাজ করতে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘ফেনীতে দীর্ঘদিন একটি অ-লিখিত অন্যায় নিয়ম চলে আসছিলো। এ নিয়মতান্ত্রিক ধারা আমি না বুঝে কাজ করতে যাওয়ায় আমার উপর হামলা হয়েছে। আমি বিষয়টি দলীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের আলোকে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের সভাপতি ও ঠিকাদার রুবেলের উপর কে হামলা করেছে বিষয়টি আমরা অবহিত নয়। তারপরও অনেকে এঘটনায় আমাদেরকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন না বলেও দাবি করেন। দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, হামলার কথা শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে কাউকে পায়নি। বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Link copied!