শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি দৃঢ় হয়

প্রকাশিত: ০৫:৩৫ এএম, জানুয়ারি ১০, ২০২১

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি দৃঢ় হয়

১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টেলিভিশনে প্রচারিত ‘ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘যথার্থ নেতৃত্ব আসে সংগ্রাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কেউ আকস্মিকভাবে একদিনে নেতা হতে পারে না। তাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। তাকে মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজকে উৎসর্গ করতে হয়। নেতার আদর্শ থাকতে হয়। এসব গুণ যার থাকে, সেই নেতা হতে পারে। আমি আব্রাহাম লিংকনকে স্মরণ করি। স্মরণ করি মাও সেতুং, লেনিন, চার্চিলকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকেও আমি শ্রদ্ধা করি। ... মহাত্মা গান্ধী, পতিœ জওহরলাল নেহরু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক, কামাল আতাতুর্ক-এদের জন্য আমার মনে গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আমি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামী নেতা ড.সুকোর্নকে বিশেষ শ্রদ্ধা করি। এরা সবাই তো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতা হয়েছিলেন।’ ইংরেজ কবি ও প্রাবন্ধিক টিএস এলিয়ট বলেছেন- প্রত্যেক জাতিকে মুক্তির দীর্ঘ প্রহর গুনতে হয়, একটি জাতির শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা পুরনো প্রথা ভেঙে অবিস্মরণীয় দীপ্ত বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে এবং সে নেতৃত্ব একটা জাতিকে শৃঙ্খলমুক্ত করে।’ রুশ দার্শনিক প্লেখানভ মনে করেন, ‘ইতিহাসের বিষয়বস্তু সাধারণ মানুষ হলেও ইতিহাসের নিয়ন্ত্রক ও স্রষ্টা একক কোনো নেতা’। বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সেই মহান নেতা। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণা বা স্বাধীনতার চেতনা বলতে যা বোঝায় তার কোনো কিছুই ছিল না। বাঙালি জাতিসত্তা কখনো স্পষ্ট রূপ নেয়নি। বাংলাদেশই এ জনপদে ও বাঙালির ইতিহাসে প্রথম স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু এ রাষ্ট্রের স্থপতি। জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ হেগেলের ভাষায়-‘মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ছিল ইতিহাসের অনিবার্য উপাদান। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দি থাকলেও তার নামেই ন’মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারও বঙ্গবন্ধুকে প্রধান করেই গঠন (১৭ এপ্রিল, ১৯৭১) করা হয়েছিল। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিরাপদ মনে হচ্ছিল না। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকার মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সে শঙ্কা দূরীভূত হয়। বিখ্যাত একটি ব্রিটিশ পত্রিকার ১০ জানুয়ারি ‘Recognize Bangladesh Now শীর্ষক সম্পাদকীয়তে লেখা হয়- ‘Recognize Bangladesh Now’। এর আগে ৮ জানুয়ারি খবর আসে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে খুব ভোরে লন্ডন পৌঁছেছেন। বিশেষ উড়োজাহাজটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ না করা পর্যন্ত ঢাকা অথবা নয়াদিল্লির কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর গন্তব্য সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি রাওয়ালপিন্ডি ত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত এর গন্তব্যের কোনো খবর ছিল না। রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান সরকারের চার্টার্ড করা বিশেষ বিমানে শেখ মুজিব পাকিস্তান সময় ভোর ৩টায় রাওয়ালপিন্ডি ত্যাগ করেছেন। রেডিওর ঘোষণায় আরও বলা হয়, শেখ মুজিবের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার গন্তব্য গোপন রাখা হচ্ছে। রেডিও পাকিস্তানের অতিরিক্ত তথ্য ছিল, নতুন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরে শেখ মুজিবকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। পরবর্তীকালে স্যার ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেন, যা ভুট্টো নিজে তাকে জানিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খান ভুট্টোর কাছে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা না করে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি।’ ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে আরও জানান, ইয়াহিয়া তাকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্বে ব্যাক ডেটে একটি আদেশ দেখিয়ে মুজিবুর রহমানকে ফাঁসি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’ ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভুট্টো তার জবাবে কী বলেছিল, সে কথা কি আপনি জানেন? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন-ভুট্টো বলেছিল, ‘আমি এটা করতে দিতে পারি না। কেননা তখন এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হবে...তাহলে আর কোনোদিন বেঙ্গল থেকে একজনও পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে আসতে পারবে না।’ উল্লেখ্য, এ সময় এক লাখ কুড়ি হাজার সামরিক বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ছিল। তাছাড়া কয়েক লাখ অবাঙালি বাংলাদেশে বসবাস করত। ৯ জানুয়ারি টেলিফোনে ইন্দিরা গান্ধী-বঙ্গবন্ধুর মধ্যে আধঘণ্টা আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানান শ্রীমতি গান্ধী এবং অনুরোধ করেন ঢাকার পথে যেন তিনি দিল্লিতে যাত্রাবিরতি করেন। বঙ্গবন্ধু আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। ইন্দিরা গান্ধী প্রথমে ভারতীয় ভিআইপি বিমানের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। ব্রিটেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিলেও তাদের বিমানযোগে বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এটা ছিল এক ধরনের স্বীকৃতি। ইন্দিরা-হিথ আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আসলে তারা উভয়েই চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সুস্থ শরীরে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি গড়ে তুলুক। সাইপ্রাস-ওমান হয়ে দিল্লিতে বিমান অবতরণ করে। ১১ জানুয়ারি প্রকাশিত দিল্লির Express পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ বিমানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে কয়েক মিনিট অবস্থান করেন। এবার এলো সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। প্রায় কালো ধূসর ওভারকোট পরিহিত বঙ্গবন্ধু বিমানের সিঁড়ি বেয়ে নামলেন। ... রাষ্ট্রপতি শ্রী ভরাহগিরি ভেঙ্কট গিরি যখন বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যখন তাকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন তখন ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছিল। শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব শেষ হলে বঙ্গবন্ধু তিন বাহিনীর ১৫০ সদস্যের গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন এবং পরে ভিআইপি প্যান্ডেলে যান, যেখানে তার ওপর গাঁদাফুলের পাপড়ি বর্ষণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু অভিবাদন মঞ্চে অবস্থান গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই একটি গুর্খা বাদক দল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ বাজাতে শুরু করে। নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানিয়ে প্রদত্ত ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভিভি গিরি বলেন, ‘মহোদয়, এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দেশের প্রধান হিসেবে আপনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এ অঞ্চলে স্থায়ী ও অটুট শান্তিপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা জোরদার ও সুনিশ্চিত করবে।’ প্রেসিডেন্ট গিরির স্বাগত ভাষণের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন,‘আমার জন্য এই ক্ষণ অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশে ফেরার পথে আমি আপনাদের মহান দেশের এ ঐতিহাসিক রাজধানীতে যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আপনাদের মহিমান্বিত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন এ সরকার ও ভারতের জনগণ যারা আমার জনগণের উত্তম বন্ধু তাদের প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এটি হলো আমার ন্যূনতম করণীয়। ...নয় মাস পর আমার স্বপ্নের দেশ সোনার বাংলায় আমি অবশেষে ফিরে যাচ্ছি। এই নয় মাসে আমার জনগণ বহু শতাব্দী অতিক্রম করেছে।’ নয়াদিল্লির বিশাল জনসভায় জনতার উদ্দেশে আবেগজড়িত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশ ও তার জনগণ আপনাদের প্রধানমন্ত্রী, সরকার, সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যবৃন্দ এবং আপনাদের সাধারণ মানুষকে কোনো দিনই ভুলতে পারবে না, যারা তাদের দুঃখ-দুর্দশায় এবং সংগ্রামে সর্বাত্মক সহানুভূতি প্রদর্শন ও সমর্থন দান করেছেন। ২০টিরও অধিক দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা, যাদের অধিকাংশই রাষ্ট্রদূত,বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি ছিলেন সোভিয়েত বøকের। ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, পশ্চিম জার্মানি, নরওয়ে ও ডেনমার্কের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও আরবদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। দিল্লি অবতরণের আগেই বিমানে থাকাবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার সফরসঙ্গী ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শশাঙ্ক এস ব্যানার্জির মাধ্যমে ভারতকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার তার কাছে সবচেয়ে জরুরি। পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই ইন্দিরা গান্ধী জানালেন,মুজিবের প্রস্তাব তিনি রাজি। যথাসময়ে ইন্দিরা-মুজিব বৈঠক শুরু হলো। ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি ইন্দিরা-মুজিব যৌথ ইশতাহারে স্থান পেল। প্রথমে কথা ছিল ভারতের সৈন্য প্রত্যাহারের তারিখ হবে জুন, ১৯৭২। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছায় তা হলো মার্চ, ১৯৭২। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিকালে বঙ্গবন্ধু লন্ডন দিল্লি হয়ে প্রাণের শহর ঢাকায় ফিরে আসেন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে। ঢাকায় অবতরণের আগে কমেট বিমানটি বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবশত প্রায় ৪৫ মিনিট বিমানবন্দরের ওপর চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। উপর থেকে তার ‘সোনার বাংলা’কে অবলোকন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বিমানবন্দর থেকে লাখো জনতার ভিড় ঠেলে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে। সেদিন রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে শিশুর মতো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, তার দুই চোখ গড়িয়ে অশ্রু পড়ছিল বারবার। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী মিত্রবাহিনীর সদস্যরা ভারতে ফিরে যায়। ১৯৭২ সালের ১২ মার্চ ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় বাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিদায়ি কুচকাওয়াজ হয়। এ কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শেষ দলটির বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। এখন চলছে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির সংগ্রামের কথা বলেছিলেন, তা ছিল মূলত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। যে সংগ্রামে বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালে আমরা ধনী ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হব-এ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে বর্তমান সরকার। ১৯৭১-এ পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি এখনো আমাদের মহান স্বাধীনতা নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমাদের মুক্তির সংগ্রাম নিরন্তর চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
Link copied!