বাজেট হচ্ছে একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। সরকারকে দেশ পরিচালনা করতে হয়। যারা সরকারের কাজ করেন তাঁদের সরকার বেতন দিতে হয়। সরকারকে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট তৈরিসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়। সহজ ভাষায় বললে একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কত ব্যয় হবে, সেই পরিকল্পনার নামই বাজেট।
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাজনিত কারণে রফতানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন প্রবাসীদের আয়ের এ অভাবনীয় সাফল্য আমাদের স্বস্তির মধ্যে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাস আয় এসেছে ২২.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি ৪০.১ শতাংশ।
নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
অনার্স ডিগ্রী করতে গিয়ে ইকোনমিক্স সাবজেক্ট এর সাথে আমার পরিচয় ঘটে। অর্থনৈতিক খুব একটা সহজ বিষয় নয়, তবে ইহা খুবই ইন্টারেস্টিং হয় বিষয়গুলো বোধগম্য হবার পরে। একজন মানুষকেও কিন্তু আয় ও ব্যয়ের হিসাব করতে হয়। তবে ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রের বাজেটের একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। ব্যক্তি আগে আয় কত হবে সেটি ঠিক করেন, তারপর ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্র করে ঠিক উল্টোটা। রাষ্ট্র আগে ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করে। এরপর ঠিক করে কোথা থেকে অর্থ আসবে। অর্থাৎ সরকার আয় করে খরচ বুঝে, আর ব্যক্তি ব্যয় করেন আয় বুঝে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য না হলে রাষ্ট্র দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ ধার করতে পারে। ব্যক্তিও পারেন, তবে এর সীমা সামান্যই। কারণ ধার করলে পরিশোধ করতে হয়। রাষ্ট্রকেও পরিশোধ করতে হয়, তবে এ জন্য রাষ্ট্র সাধারণত দেউলিয়া হয় না। ধার বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্র এই সুযোগটি নিজেই তৈরি করে নেয়। যদিও এর ফলে দায় ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশের চলতি বাজেট ২০২১-২২ নিয়ে আমাদের স্টাডি অব্যাহত আছে। মনে হচ্ছে এখনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সময়। কারণ, একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার এই বাজেট ভিশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাংলাদেশের পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়। এই বাজেট সমর্থন করে বিশ্বের সমকালীন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ। গ্রেট ব্রিটেনের মতো বাংলাদেশে ধীরে ধীরে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার হ্রাস পাবে এবং স্থানীয় উত্পাদন খাতকে উত্সাহ দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করেছেন-- “বাংলাদেশ ভাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সাথে উন্নতি করছে, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের এই সম্ভাবনায় অংশীদারি"
বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহিত হবে বিশ্বব্যাংক। এডিবি, জাইকা বাংলাদেশে অর্থায়নে আগ্রহী। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন জিবিপি। জিবিপি ৫০ বিলিয়ন এর বাজেট মূলধন বাজার, প্রক্রিয়াকরণ এবং উত্পাদন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অসাধারণ সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। এই অর্থবছরে মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে ২২%
বাংলাদেশ হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি- (ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল)
প্রাইস আর্নিং (পিই) অনেকগুলি বিজনেস সেক্টরে ১০ এর নিচে, যা বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ২০ এর উপরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে
সুতরাং, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং আপনার বিনিয়োগের পরের মাস থেকে উপার্জন শুরু করুন।
Visit: www.hussainsbd.com; http://hussainsbd.com/pf2-2/Investment Team of HUSSAINS Business Consultants
Call: +44 07930923297 (Nazrul Islam) UK chapter
Call: +88 01714 132212 (Tofazzul Hussain Babul FCA) bangladesh