বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিবাহিত ও ছাত্রদল কর্মী ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক!

প্রকাশিত: ১২:০০ পিএম, জুন ১৩, ২০২২

বিবাহিত ও ছাত্রদল কর্মী ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বিতর্কিতদের দিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এক সময়ের ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী মনির হোসেনকে চরইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিবাহিত সেলিম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে— এমনটাই অভিযোগ। কমিটি নিয়ে ইতোমধ্যে ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়। গত শনিবার (১১ জুন) রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদ সাগর ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়নগর উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের কমিটি ঘোষিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত শনিবার চরইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সময় মনির হোসেনকে সভাপতি ও সেলিম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের চরইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপজেলা ছাত্রলীগের কাছে জমা দিতে নতুন কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতির পদ পাওয়া মনির হোসেন ২০১২-২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলার একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে মনির ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন। গত শনিবার কোনও সম্মেলন ছাড়াই উপজেলা ছাত্রলীগ মনিরকে সভাপতি করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে। একই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়া সেলিম মিয়া বিবাহিত। ছাত্রলীগের চরইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মিয়া চাঁন বলেন, বছর খানেক আগে উপজেলার মনিপুরে সেলিম বিয়ে করেছে। বিয়েতে দাওয়াত থাকলেও আমি যেতে পারিনি। মনির ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিল। চরইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, ২০০৯-২০১১ সাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি গঠনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছি। সে সময় মনির আমার সঙ্গে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল। ২০১১-২০১২ সালের দিকে আমাকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমরা চেষ্টা করেও কমিটিতে কোনও পদে তাকে রাখতে পারিনি। এরপর অনেক ডাকাডাকি করলেও মনির আর দলে আসেনি। সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবাহিত কিনা— এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান। রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জেলা-উপজেলা থেকে যারা আমাকে পদ দিয়েছেন, তারা জেনেশুনেই দিয়েছেন।’ অন্যদিকে, সভাপতি মনির হোসেনকে মোবাইলে ফোন দিলে অন্য কেউ রিসিভ করে বলেন, ‘এটা উনার নম্বর না’। উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদ সাগর বলেন, উপজেলার এক ঊর্ধ্বতন নেতা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়েছেন। সভাপতি ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত— এসব তথ্য আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে জেলার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, বিষয়গুলো আমরা লোকমুখে শুনেছি। যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: রাইজিংবিডি ডটকম
Link copied!