শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেড়েছে সুবিধা, বারবার তালিকা কাটছাঁটে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, মার্চ ২৬, ২০২৩

বেড়েছে সুবিধা, বারবার তালিকা কাটছাঁটে ক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন তারা সব থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানীর পাশাপাশি চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশোনা, বিশেষ ঋণ এবং রাষ্ট্রীয় গণপরিবহনে যাতায়াতে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন তারা। খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আরও কিছু সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পরও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বারবার এই তালিকা কাটছাঁট হওয়ায় অনেকের রাষ্ট্রীয় সম্মানী পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও যাচাই-বাছাইয়ের সময় ঝামেলায় পড়েছেন অনেকে। ২০০০ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে অসচ্ছল ৪০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাসে ৩০০ টাকা করে ভাতা দেয়া ‍শুরু করে সরকার। পরবর্তী সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা দেয়া শুরু হয়। প্রথম দিকে এই ভাতার পরিমাণ কম থাকলেও ধাপে ধাপে তা বাড়ানো হয়। ভাতার সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার আওতা বাড়ায় সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এখন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসে ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা, বছরে ১০ হাজার টাকা করে দুটি উৎসব ভাতা, ২ হাজার টাকা বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং ৫ হাজার টাকা বিজয় দিবস ভাতা পান। অর্থাৎ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অন্য সুযোগ-সুবিধা বাদে বছরে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং সরকারনির্ধারিত ২৩টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বছরে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পান। চিকিৎসা চলাকালে আরও টাকার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হয়। মুমূর্ষু রোগীর জরুরি অপারেশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অবশ্যই ভূতাপেক্ষ অনুমোদন নিতে হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে বছরে ১০ হাজার, জেলা হাসপাতালে ২০ হাজার এবং বিভাগীয় হাসপাতালে ২৫ হাজার টাকা খরচ করা যাবে। জটিল রোগীর ক্ষেত্রে আয়ন-ব্যয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল বছরে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বছরে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য জীবিত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নামে ৩০ হাজারটি বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা পঙ্গুত্বের ধরন অনুযায়ী মাসে ৪৫ হাজার, ৩৫ হাজার, ৩০ হাজার এবং ২৭ হাজার টাকা করে ভাতা পান। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার মাসে ৩০ হাজার টাকা এবং বীরশ্রেষ্ঠ ৩০ হাজার, বীর উত্তম ২৫ হাজার, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীকরা মাসে ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৫ হাজার টাকা করে বিজয় দিবস ভাতা এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এবং সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর পরিবার ২ হাজার টাকা করে নববর্ষ ভাতা পাচ্ছেন। যুদ্ধাহত/খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ/মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দুই সন্তান বছরে ১ হাজার ৬০০ টাকা শিক্ষা ভাতা, দুই মেয়ের বিয়ের জন্য ১৯ হাজার ২০০ টাকা করে, বিদেশে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা এবং সব ধরনের বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ দাফন বা সৎকারের খরচ সরকার দেয়। এ ছাড়া হুইলচেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য মাসে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পথ্য বিল বাবদ মাসে ৩ হাজার ১২২ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিনা ভাড়ায় রেলে প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পারেন। বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটে ইকোনমিক ক্লাসে বছরে দুবার যাতায়াতের সুযোগ পান তারা। এ ছাড়া এই পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিআরটিসি বাস ও বিআইডব্লিউটিসির জলযানের প্রথম শ্রেণিতে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন সেতু পারাপারে গাড়ির টোল মওকুফ, বিআইডব্লিউটিসির ফেরিতে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স বিনা ভাড়ায় পারাপার এবং ভিআইপি কেবিনে ভ্রমণ, পর্যটন করপোরেশনের হোটেল ও মোটেলে বিনা ভাড়ায় বছরে দুই রাত সপরিবারে থাকা এবং জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ডাকবাংলোয় বছরে দুই দিন সপরিবারে অবস্থান করতে পারেন তারা। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর পরিবার এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রেশন হিসেবে চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তেল দেয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাবী পুত্র-কন্যা, পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা এবং পরবর্তী প্রজন্মের এইচএসসি উত্তীর্ণদের উচ্চশিক্ষার জন্য মাসে ১ হাজার টাকা করে পাঁচ বছর বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ঋণ কর্মসূচির আওতায় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হচ্ছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধান গেজেট আকারে জারি করে সরকার। এই প্রবিধান অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পুরো বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স এবং পানি ও পয়োনিষ্কাশন বিল মওকুফ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া দেশের সব যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার দুই বার্নার গ্যাস বিল এবং পুরো বাড়ির বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করে দেবে সরকার। রাষ্ট্রের সক্ষমতা বেড়েছে বলেই সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার সুফল আমরা পাচ্ছি। এ জন্য সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রের যেহেতু সক্ষমতা আছে, তাই রাষ্ট্র তাদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে যাতে অর্থের অভাবে অবহেলিতভাবে জীবনযাপন করতে না হয় আমরা তা নিশ্চিত করছি, রাষ্ট্র সব সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আছে। বারবার যাচাই-বাছাইয়ে ক্ষোভ ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত পাঁচবার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা চূড়ান্ত রূপ পায়নি। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক মমিনউল্লাহ পাটোয়ারীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রথমবারের মতো একটি তালিকা করে। ওই তালিকাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে লাল বই নামে সংরক্ষিত রয়েছে। ওই তালিকায় ১ লাখ ৫৪ হাজার জনের নাম থাকলেও সবার নামে গেজেট ছিল না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দায়িত্ব না দিয়ে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব সা’দত হুসাইনের নেতৃত্বে চারজন সচিব ও খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি করে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০০২ সালের ৪ মার্চ সশস্ত্র বাহিনীর ৩৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামে বিশেষ গেজেট এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বিএনপি সরকার নতুন করে আরও ৪৪ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার জনের নামে গেজেট প্রকাশ করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ৭২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকায় সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ তোলেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। ২০০৯ সালের ১৩ মে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার, বীরঙ্গনাদের দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছে সরকার। সিরাজগঞ্জের একজন মুক্তিযোদ্ধা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ে আমার নাম বাদ দেয়া হয়। পরে উপজেলা পর্যায়ে একজনকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তালিকায় নাম ওঠাতে হয়েছে। আমি তো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এর পরও আমাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দিয়ে ঘুষ নেয়া হয়েছে।’ মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে থাকলেও এখনো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভিড় করতে দেখা যায়। ব্যাগে করে অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন রেজাউল করিম। তার বাবা আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পেলেও অনেক দিন থেকে সেই ভাতা পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। রেজাউল বলেন, ‘উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কোনো সমাধান দিতে পারেননি। তাই মন্ত্রণালয়ে কাজগপত্র জমা দিতে এসেছি।’ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, শেষ ধাপের যাচাই-বাছাইয়ে যারা বাদ পড়ছেন তাদের অনেকেই মন্ত্রণালয়ে আসছেন। কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথ বলে দিচ্ছেন। মন্ত্রীও তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজেই কাগজপত্র পরীক্ষা করে করণীয় বলে দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবারের যাচাই-বাছাইকে শেষ হিসেবে দেখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ। এখন কিছু আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে সব আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেটিই হবে চূড়ান্ত তালিকা। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এরপর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা আর যাচাই-বাছাইয়ের দরকার হবে না। তবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হয়তো দেখা যাবে ২০০-৪০০ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়তে পারেন। আবার এমনও হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধ করেননি এমন ২০০-৫০০ জনের নাম তালিকায় ঢুকে যাবে। সেসব বিষয় পুনরায় যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে আর কোনো যাচাই-বাছাই হবে না। সংশ্লিষ্ট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মাধ্যমে এসব যাচাই-বাছাই করা হবে। কারণ উপজেলা পর্যায়ের তথ্য-উপাত্ত ও তাদের প্রত্যয়নের আলোকেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।’
Link copied!