বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকে গচ্ছিত আমানত কতটা সুরক্ষিত?

প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ডিসেম্বর ২, ২০২১

ব্যাংকে গচ্ছিত আমানত কতটা সুরক্ষিত?

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দেশের অর্থব্যবস্থা পরিচালনার দৃশ্যপট বিশ্লেষণে দরিদ্র-নিম্নমধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর অতিকষ্টে ব্যাংকে সঞ্চিত আমানত বিশ্বাসযোগ্য নিরাপদ নয় বলে ভোক্তাসমাজের ধারণা। জনশ্রæতিমতে, শিল্পকারখানা ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে ঋণগ্রহীতার অসৎ উদ্দেশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে উন্মোচিত।নদী-সমুদ্র-জলাশয়-খাসজমি বন্ধক রেখে অবৈধ-অনৈতিক যোগসাজশের মাধ্যমে ঋণের নামে অর্থ লুণ্ঠন বিনিয়োগের নতুন প্রকরণ ‘খেলাপি ঋণ’ হিসাবে বিবেচিত। দেশবাসীর কাছে অতি সুপরিচিত হাতেগোনা স্বল্পসংখ্যক নষ্ট উদ্যোক্তার করায়ত্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পবিত্র আমানত। খেলাপি ঋণের বিশাল অংশ পাচারের মাধ্যমে বহির্দেশে এসব পাপিষ্ঠের পর্বতসম সম্পদ হিসাবে পুঞ্জীভূত হচ্ছে বলে জনশ্রæতি রয়েছে।সচেতন মহল বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, এদের বিরুদ্ধে কোনো কঠিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষ অপারগ। অধিকতর পরিতাপের বিষয়, এদের বিদেশ গমনাগমন-অবস্থান এবং লুম্পেন চরিত্র উদ্ঘাটন যেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে এক ধরনের প্রহসনে পরিণত হয়েছে। পুরো দেশকে জিম্মি করে ধ্বংসের তলানিতে পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের এই কদর্য অপচেষ্টার যেন কোনো পরিসমাপ্তি নেই। ভয়ংকর এসব চিহ্নিত গোষ্ঠীর কর্মকান্ড সবাইকে হতবাক করলেও তাদের পৃষ্ঠপোষক-সহায়তাকারী-ভাগবাঁটোয়ারার অংশীদারদের আনন্দ-বিনোদন-ভোগবাদী চরিত্র বরাবরই আনন্দরথে প্রতিভাত।গত ২৪ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ও প্রভিশনিং বিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতের মোট ঋণ স্থিতি ১২ লাখ ১৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বিপরীতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধিতে গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ১৯ নভেম্বর প্রকাশ হওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন এপ্রিল-জুন ২০২১’-এর বিশ্লেষণে দেখা যায়, খেলাপি ঋণের শীর্ষে থাকা পাঁচ ব্যাংকেই আছে ৪৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেক। শীর্ষ পাঁচসহ ১০ ব্যাংকে রয়েছে ৬২ হাজার ৩৯৪ কোটি এবং বাকি ৪৯ ব্যাংকে আছে ৩৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ যেমন কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, তেমনই সম্পদও কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। কিছু ব্যাংক, বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে লাগামহীনভাবে। পক্ষান্তরে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে সম্পদ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক খাতে সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর সুষম বণ্টনের ঘাটতির কারণে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেশি, আবার কোনো ব্যাংকের একেবারেই নেই বলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের ধারণা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানদন্ডে মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে ২৫টি এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ডে ৪৩টি ব্যাংক ঝুঁকিতে রয়েছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ লাখ কোটি টাকা। তন্মধ্যে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১১ লাখ কোটি এবং বাকিগুলো অন্যান্য সম্পদ। বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ৮ দশমিক ২ শতাংশ খেলাপি। এর মধ্যে আদায় অযোগ্য ঋণ ৮৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। সন্দেহজনক ঋণ ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ে তা কমে ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকায় নেমে আসে। ব্যাংক খাতে আদায় অযোগ্য খেলাপি ঋণের হার ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশের বিপরীতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৭ শতাংশে এবং ২০২১ সালের জুনে তা হয় ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ব্যাংক খাতে আদায় অযোগ্য ঋণ বেড়ে যাওয়াটা আতঙ্কের এবং ঋণ বিতরণে কোনো নিয়মকানুন না মানায় এ ঋণ বৃদ্ধির হার বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। তিনি বলেছেন, ‘পূর্বের জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণগুলো এখন আদায় অযোগ্য ঋণে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকারদের অবশ্যই এই ঋণ বাড়ার গতি রোধ করতে হবে। তা না হলে ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য ধরে রাখা যাবে না। আদায় অযোগ্য ঋণ বাড়ার কারণে ব্যাংকের সম্পদ আটকে যাচ্ছে।’ ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত উল্লিখিত সূত্রমতে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ১০ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে, যার একটি বৃহৎ অংশ প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকরা নানা জালিয়াতি করে লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নামে-বেনামে ও বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় প্রদত্ত ঋণগুলো আদায় না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ আদায়ে মামলা করতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থঋণ ও অন্য আদালতে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৩২টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্তদের মতে, খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলাগুলো বছরের পর বছর ঝুলে আছে এবং কাঙ্ক্ষিত নিষ্পত্তি না হওয়ায় আদালতে মামলার স্তুপে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ঋণখেলাপি রাঘববোয়ালরা আদালতে মামলাগুলো ঝুলিয়ে রেখে বহাল তবিয়তে দেশের ব্যবসা ও রাজনীতিতে দাবড়ে বেড়াচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।এ প্রসঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিপুল অঙ্কের এই টাকা আটকে থাকার জন্য মূলত দায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা। আদালতে বারবার স্টে অর্ডার বা স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলার দ্রæত নিষ্পত্তিতে তারা বাধা সৃষ্টি করছেন। ফলে মামলাগুলো শুধু বছর নয়, যুগের পর যুগ ঝুলে থাকে। এমনকি টাকা আদায়ে ১৯৯৯ সালে করা একটি মামলার চূড়ান্ত রায় আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের পাসপোর্ট জব্দ করে বিদেশ যাওয়া বন্ধ, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি সামাজিকভাবে বর্জন বা একঘরে করা না হলে টাকা আদায় সম্ভব হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে ৩৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা আছে খেলাপির হিসাবে আর বাকি ১৬ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদন থেকে আড়াল করা হয়েছে। বিজ্ঞজনদের মতে, অনিয়ম আড়াল করার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম প্রদর্শন করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপনের পন্থা অবলম্বন করছে। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতে, ঋণ অবলোপন করা মানে খেলাপি ঋণকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া। অবলোপনের নামে ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট পরিচ্ছন্ন করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণকৃত ঋণের সমপরিমাণ অর্থ সঞ্চিতি রেখে ঋণ অবলোপনের বিধান থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো শতভাগ সঞ্চিতি রেখে ঋণ অবলোপন করছে। ফলে প্রতিবছরই ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে শত শত কোটি টাকার ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, গ্রাহকদের আমানতের অর্থ থেকে দেওয়া ঋণ ব্যাংকগুলো বিভিন্ন কেলেঙ্কারি-অনিয়ম-জালিয়াতি ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়ে মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মন্দ ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি ও বিশেষায়িত মোট ১১টি ব্যাংক বড় ধরনের মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। যার মধ্যে সরকারি পাঁচটি, বিশেষায়িত দুটি এবং বেসরকারি খাতের চারটি। জুন শেষে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকায়।২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘ব্যাংকিং খাত তদারকি ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ : বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিপুল পরিমাণে খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতে বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চরম মূলধন সংকট তৈরি করেছে। আর এ সংকট কাটাতে প্রতিবছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় জনগণের করের টাকা থেকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে জনগণের অর্থ ও আমানত নিয়েই ব্যবসা করে থাকে-এ বাস্তবতার স্বীকৃতি বাংলাদেশে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের স্বেচ্ছাচারী প্রবণতায় মনে হয়, ব্যাংকে গচ্ছিত জনগণের অর্থ যেন কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদ, যা তাদের খুশিমতো ব্যবহার করা যাবে।’ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদিচ্ছার ঘাটতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব-হস্তক্ষেপের ফলে ব্যাংক খাতে আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে সমস্ত ব্যাংক খাতে কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের পরিবারতন্ত্র বা গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব গোষ্ঠী বা পরিবার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে আমানতকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসাবে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দখলে নিচ্ছে। খেলাপি ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ ও বিদেশে পাচার হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাংক খাতের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে হলে সুশাসন বাড়িয়ে দুর্নীতি বন্ধ করে প্রতিটি ঋণ যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দিতে হবে। ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দৃশ্যমানতা ও স্বচ্ছতাই ঋণখেলাপি হ্রাসে সহায়ক হবে বলে তাদের মতামতে উঠে আসে।গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটিসহ (জিএফআই) বিভিন্ন সংস্থার মতে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয় আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং, রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং হুন্ডির মাধ্যমে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, খেলাপি ঋণের অধিকাংশ অর্থ উল্লিখিত উপায়ে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।জিএফআই-এর সূত্রমতে, ২০২০ সালে দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে দেশের সব উন্নয়ন-অর্জন যে অন্তঃসারশূন্যে পর্যবসিত হবে এবং ক্রমান্বয়ে দেশ দুষ্টচক্র সৃষ্ট কঠিন সংকটের অতল গহ্বরে নিপতিত হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Link copied!