শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানবপাচার: কুয়েতে পাপুলের কারাদন্ড বেড়ে ৭ বছর হলো

প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, নভেম্বর ২৮, ২০২১

মানবপাচার: কুয়েতে পাপুলের কারাদন্ড বেড়ে ৭ বছর হলো

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক: মানবপাচার মামলায় বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজার মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন কুয়েতের শীর্ষ আপিল আদালত। এতে করে পাপলুর সাজা ৭ বছর হলো।লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাদন্ডের পাশাপাশি ২৭ লাখ ‍কুয়েতি দিরহাম জরিমানাও করা হয়েছে। খবর গালফ নিউজেরঅর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। পরে ঘুষ লেনদেনের দায়ে চার বছর এবং মানব পাচারের দায়ে তিন বছরের কারাদন্ড দেন আদালত।পরে রাষ্ট্রপক্ষ মানবপাচার মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত মানবপাচার মামলায় পাপুুলের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেন। পাপুলকে এখন সবমিলিয়ে সাত বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।কুয়েতের আদালত এই রায়ে আদেশ দিয়েছেন, সাজা ভোগ করার পর পাপুলকে নিজ দেশে ফেরত আসতে হবে।মানবপাচারের এই মামলায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল জাররাহ এবং জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খেদরকেও একই মেয়াদের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের সরকারি এই দুই কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।বহুল আলোচিত এই মামলায় কুয়েতের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ খুরশিদকেও ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের এই রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।গত ফেব্রæয়ারিতে কুয়েতের একটি অপরাধ আদালত বাংলাদেশি সাবেক সংসদ সদস্য পাপুলকে চার বছরের কারাদন্ড এবং ১৯ লাখ কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করেন।নিজের একটি কোম্পানির মাধ্যমে কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে কুয়েতে শ্রমিক পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে পাপুলের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি কয়েক ডজন শ্রমিককে অবৈধভাবে কুয়েতে পাঠানোর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষীপুরের এই সাবেক এমপি।বাংলাদেশের কোনো আইনপ্রণেতার এভাবে বিদেশে দন্ডিত হওয়ার এবং সাজার কারণে পদ বাতিলেরও এটাই প্রথম ঘটনা। আদালতের রায়ে দন্ডিত হওয়ার পর পাপুলের সংসদ সদস্য পদও বাতিল করা হয়।
Link copied!