মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

মৃত্যুর ৭২ শতাংশ শেষ তিন মাসে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০

মৃত্যুর ৭২ শতাংশ শেষ তিন মাসে

তিন মাস ধরে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১১০০-র ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে এক মাসে তা ছাড়িয়ে যায় ১২০০। আর গত মাস ও চলতি মাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সমান। অন্যদিকে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৭২ শতাংশই ঘটেছে শেষ তিন মাসে। গত ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু ঘটেছিল। এর পর থেকে কেবলই বেড়ে চলছে মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত প্রতিদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মারা গেছে ৮৪ জন, ১৮ এপ্রিল থেকে ১৮ মে পর্যন্ত মারা গেছে ২৬৫ জন, ১৮ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৃত্যু হয় ৯৯৪ জনের। ১৮ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মারা যায় সর্বোচ্চ এক হাজার ২৩৮ জন, ১৮ জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মারা যায় এক হাজার ১৫৯ জন এবং সর্বশেষ ১৮ আগস্ট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছে এক হাজার ১১৯ জন। সব মিলিয়ে মৃত্যু ঘটেছে চার হাজার ৮৫৯ জনের। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩৬ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৪৪৩ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৪১২ জন এবং মারা গেছে চার হাজার ৮৫৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৬৫, মোট শনাক্তের হার ১৯.৩০, সুস্থতার হার ৭২.৭৪ এবং মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং আট জন নারী। এর মধ্যে দুজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ৩১-৪০ বছরের একজন, ৪১-৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১-৬০ বছরের সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২১ জন। এঁদের মধ্যে ২০ জন ঢাকা বিভাগের, চট্টগ্রামের পাঁচজন, রাজশাহীর চারজন, খুলনার দুজন, বরিশালের তিনজন, সিলেট ও রংপুরের একজন করে মারা গেছে। এদিকে গতকাল সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে রোগীর নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যারা কভিডে মারা যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের পোস্টমর্টেম থেকে শুরু করে ভালোভাবে ডেথ অডিট করা দরকার। ঠিক কোন কারণে তারা মারা যাচ্ছে, কেন বয়স্করা বেশি মারা যাচ্ছে, কেন পুরুষরা বেশি মারা যাচ্ছে—এ বিষয়গুলো আরো পরিষ্কারভাবে নিশ্চিত হওয়া গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভালো পরিকল্পনা করা সম্ভব হতে পারে। আবার সাধারণ মানুষেরও চিকিৎসকদের ওপর আস্থা বাড়তে পারে।
Link copied!