মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মেডিকেল চেকআপ শেষে পিকে হালদারকে পাঠানো হলো আদালতে

প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, মে ১৭, ২০২২

মেডিকেল চেকআপ শেষে পিকে হালদারকে পাঠানো হলো আদালতে

মেডিকেল চেকআপ শেষে আদালতে পাঠানো হলো এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে। মঙ্গলবার (১৭ মে) কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (স্পেশাল কোর্ট) তোলা হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)- এর হাতে গ্রেফতার পি.কে.হালদারকে। এর আগে, এদিন সকালে ইডির আঞ্চলিক দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পিকে হালদারকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মেডিকেল চেকআপ করে ফের সাড়ে নয়টার দিকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করলে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি পিকে হালদার। তবে পিকের আত্মীয় প্রীতি হালদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০২ সালের 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট' (পিএমএলএ) এর অধীন গ্রেফতার হওয়া পি.কে হালদার ছাড়াও অন্য নাগরিকরা হলেন- প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদার। গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনকেই শনিবার পিএমএলএ' এর আওতাধীন বিশেষ আদালতে তোলা হলে ৫ জনকে ইডির রিমান্ডে নেওয়া হয়, একজনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্ত সবাইকে আবার আদালতে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে আবারও নিজেদের হেফাজতে চাইতে আদালতে আবেদন জানাতে পারে ইডি। কারণ ইডি সূত্রে খবর, এখনো বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তাদের অজানা। ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মাত্র একটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেটি হল ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’। অর্থপাচার সম্পর্কিত এই আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এবং সেই টাকা বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি পিএমএল আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। পি কে হালদার নিজের আসল নাম বদল করে শিবশংকর হালদার নামে ভারতে বসবাস করছিল। পিকে এবং তার সহযোগীরা অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ইস্যু করা রেশন কার্ড এবং ভারত সরকারের ইস্যু করা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ড বানিয়ে ভারতে পালিয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, "বাংলাদেশ এবং ভারতীয় পাসপোর্টের পাশাপাশি পিকে হালদারের আফ্রিকার দেশ গ্রেনেডার পাসপোর্ট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রেড কর্নার নোটিশও ছিল।
Link copied!