শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুবলীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, খুকুমনি আটক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, জুন ১৭, ২০২২

যুবলীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, খুকুমনি আটক

সাভারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সিগারেটের গাড়ি আটক করে চাঁদা দাবি ও বিক্রয় প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগে তাজনীন সুলতানা খুকুমনি (৪১) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সাভারের ইমান্দিপুরের চুঙ্গিরপাড় এলাকা থেকে ওই নারীকে আটক করা হয়। দাবি করা দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় কোম্পানিটির বিক্রয় প্রতিনিধিকে মারধর করে সিগারেট লুট করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তাজনীন সুলতানা খুকুমনি সাভারের ইমান্দিপুরের চুঙ্গিরপাড় এলাকার এসএম জিতের স্ত্রী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছোট বোন। তিনি ওই এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে তার ভাই পাভেলের ছত্রছায়ায় ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন— ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হাকিম খান (৪৩) ও ভ্যানচালক পলাশ (৪৪)। তাদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। কোম্পানির সাভার জোনের ম্যানেজার মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িতে সিগারেট লোড করে ইমান্দিপুরের চুঙ্গিরপাড় এলাকার দিকে সিগারেট বিক্রির জন্য যান বিক্রয় প্রতিনিধি হাকিম ও পলাশ। তারা চুঙ্গিরপাড় এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগ নেতা আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছোট বোন খুকুমনি তার বাহিনী নিয়ে সিগারেট কোম্পানির একটি ভ্যান আটক করেন। এসময় তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় লোহার রড দিয়ে বিক্রয় প্রতিনিধিকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন খুকুমনি ও তার বাহিনী। তারা ওই এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হট্টগোল করেন। পরে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুকুমনিকে আটক করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে আহত বিক্রয় প্রতিনিধিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শক জানান, আমরা ‘৯৯৯’ এর মেসেজ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মূলহোতা তাজনীনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির সাভার জোনের ম্যানেজার মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Link copied!