পরীমনির জন্মদিনের মূল মঞ্চটি বিমানের ককপিটের আদলে সাজানো হলেও মঞ্চের ওপরের লেখাটি প্রথমেই চোখে পড়ল। লাল রঙের ইংরেজি বর্ণ, তার মধ্যে লাইট বসানো। লেখা ‘ফ্লাই উইথ পরীমনি’ অর্থাৎ ‘পরীমনির সঙ্গে ওড়ো’।
সত্যি যেন উড়েছেন পরীমনির জন্মদিনের আমন্ত্রণে আসা অতিথিরা। আলোচিত এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কেক কেটে, নেচে-গেয়ে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তারা।
রোববার জন্মদিনের রাতে ককপিটে পরীমনি আসেন বিমান বালার বেশে। তবে এ বিমান বালা সবার চেনা সাজের নন। মাথায় টুপি, টুপি থেকে বের হয়ে আসা ওড়না, লাল শার্ট আর সাদা রঙের লুঙ্গির মতো দেখতে যেটি সেটি কাছা দেয়ার ঢংয়ে বাঁধা।
পরীমনি ককপিটে প্রথমবার দর্শন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস ধ্বনিতে সবাই তাকে স্বাগত জানায়। পরীমনিও গানের ছন্দে নিজেকে মেলে ধরছিলেন। নিজেই সবার কাছে গিয়ে ভাগ করে নিচ্ছিলেন ভালোবাসা।
এরপর হয় কেক কাটা। বরাবরের মতো পরী তার নানুকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন। মজা করতে গিয়ে কেকে থাকা ক্রিম মাখিয়ে দেন সাংবাদিক ও তার বন্ধুদের।
এরপর কিছুটা বিরতি...।
ফিরে এসে শুরু হয় উপহার গ্রহণ। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, চলচ্চিত্র পরিচালক, সাংবাদিকরা পরীকে শুভেচ্ছা জানান, উপহার দেন এবং ছবি তোলেন। সঙ্গে চলতে থাকে খাবার পর্ব।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গুণিন সিনেমার পুরো টিম অর্থাৎ পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অভিনেতা সাইফুল ইসলাম রাজ, মুস্তাফা মনোয়ার। পরী শেষ চমকটা দেন তাদের সঙ্গেই।
অভিনেতা সাইফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে বিশেষ পরিবেশনা উপহার দেন পরী। সেই পরিবেশনায় অংশ নেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমও।
পরিবেশনা শেষ হলে একাই নৃত্য পরিবেশন করেন পরীমনি। একক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় পরীর সাদা-লালের জন্মদিন।