বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাই-শশুরের দুর্নীতি!

প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাই-শশুরের দুর্নীতি!

ডেইলি খবর ডেস্ক: নীতি-নৈতিকতার বালাই নেই। শিক্ষা ছিলো তাদের দুর্নীতি। এসব অভিযোগ এখন রাজশাহীতে চাউর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের জামাতা ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের (আইবিএ) প্রভাষক এটিএম শাহেদ পারভেজ ছুটি না নিয়েই দেশ ছেড়েছেন। এখন তার বিরুদ্ধে একাডেমিক কার্যক্রমে দায়িত্বে অবহেলার নানা অভিযোগ উঠে আসছে।গত ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫তম শিক্ষা পরিষদের সভায় এই বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তেপাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.ইলিয়াছ হোসাইনকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়ে। কমিটিকে দ্রæত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সূত্রগুলো জানায়, শাহেদ পারভেজ চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য অনুষদ থেকে সংগ্রহ করেননি। তিনি তার কাছে আগে থেকে থাকা চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাচের পরীক্ষার খাত মূল্যায়ন করে নম্বরপত্র জমা দেননি। তিনি গত দুই-তিন মাস ধরে কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন না।এই পরিস্থিতিতে নম্বরপত্র চেয়ে শাহেদ পারভেজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুষদ কর্তৃপক্ষ। শাহেদ পারভেজের স্ত্রী,সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের কন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক সানজানা সোবহান কোর্স দুটির নম্বরপত্র অনুষদে জমা দেন যেখানে মূল্যায়নকারীর স্বাক্ষর ছিল না।আরও জানা যায়, শাহেদ পারভেজের অনুপস্থিতির কারণে দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করে পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জমা দেননি এই শিক্ষক। এছাড়া দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস অ্যাসেসমেন্টের নম্বরপত্রও তিনি জমা দেননি বলে অনুষদ সূত্র নিশ্চিত করেছে।অনুষদ সূত্রে আরও জানা গেছে, সান্ধ্য কোর্সের দুই শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপের তত্বাবধায়ক ছিলেন শাহেদ পারভেজ। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায়, সেই দুই শিক্ষার্থীও বিপাকে পড়েছেন।ফেসবুকে শাহেদ পারভেজের প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন।এ বিষয়ে অনুষদের পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড অব গভর্নেন্সের সভায় আমরা শাহেদ পারভেজের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অনুষদ থেকে ছুটি না নিয়ে, কাউকে না জানিয়েই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।'এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ হোসাইন জানান, শাহেদ পারভেজ ছুটি না নিয়ে চলে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা জেনেছি। তার বিরুদ্ধে যেসব অনিয়েমের অভিযোগ এসেছে, আমরা তদন্ত করে সিন্ডিকেটে প্রতিবেদন পাঠাব। সিন্ডিকেট সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহেদ পারভেজের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Link copied!