শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লাশ হস্তান্তরে ঘুস দাবি, ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত

প্রকাশিত: ০২:৪০ এএম, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

লাশ হস্তান্তরে ঘুস দাবি, ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে অপমৃত্যুর লাশ হস্তান্তরে ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি ও নিহতের স্বজনদের মারধরসহ আটকের ঘটনায় যুগান্তরে নিউজ প্রকাশ হয়। এর পর ওসি মো. মহিববুল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে মির্জাগঞ্জ থানা পরিদর্শন শেষে বেতাগী থানায় নিহত আবুল বাশারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল,পটুয়াখালী) মো. শামীম। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে তাদের সহযোগিতা চান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম। তদন্তের ব্যাপারে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম বলেন, এ ব্যাপারে সংবাদকর্মীদের বক্তব্য দিতে আমরা অনিচ্ছুক। তবে স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে তারা যুগান্তরকে জানান, আমাদের সঙ্গে সেদিন রাতে যা যা হয়েছে আমরা তাই বলেছি, পুলিশ তা ভিডিও করেন এবং আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা আশ্বাস প্রদান করেছেন এর সঠিক বিচার হবে। উল্লেখ্য, বরগুনার বেতাগীতে আমড়া পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে আবুল বাশার নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ও সংশ্লিষ্ট থানায় জানান। পরে হাসপাতালে পুলিশ এসে স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে লাশ হস্তান্তর বাবদ ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. মহিববুল্লাহ। পরে স্বজনরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিতে চান পুলিশ। স্বজনরা বাধা দিলে তাদের মারধর করেন। পরে লাশ নিয়ে শুরু হয় টানাহেঁচড়া। এ ঘটনায় ওই থানার এসআই সাইফুল ইসলাম মারধর করেন নিহতের দুই স্ত্রী নাজমা ও হাওয়া বেগমকে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে রাত ৩টায় সাদা কাগজে স্বজনদের স্বাক্ষর রেখে লাশ হস্তান্তর করেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মহিববুল্লাহ।
Link copied!