শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লুণ্ঠন নয়, মানবাধিকার রক্ষা করছে র‌্যাব: মুখপাত্র

প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ডিসেম্বর ১২, ২০২১

লুণ্ঠন নয়, মানবাধিকার রক্ষা করছে র‌্যাব: মুখপাত্র

ডেইলি খবর ডেস্ক: লুণ্ঠন নয়, মানবাধিকার রক্ষা করছে র‌্যাব।শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।মানবাধিকার লুণ্ঠনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাবের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,মানবাধিকার লুণ্ঠন নয় বরং মানবাধিকার রক্ষা করে চলেছে র‌্যাব।মুখপাত্র বলেন,"আমরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা বিভিন্ন গনমাধ্যমে শুনেছি। অফিশিয়ালি আমরা এখনো কোনো পত্র পাই নাই। অফিশিয়ালি যখন কোনো পত্র পাবো তখন সেটা নিরীক্ষার্থে আমরা স্বরাষ্ট্র বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো।"যেটা গনমাধ্যমে এসেছে যে, র‌্যাব মানবাধিকার লুন্ঠন করেছে বা বিভিন্ন বিষয় এসেছে। আমি বলবো র‌্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে নাই, মানবাধিকার রক্ষা করে চলেছে।" সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন আরও বলেন,"মানবাধিকার রক্ষায় র‌্যাবের নয় হাজার সদস্যের যে ফোর্স, এই ফোর্সের লে. কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন সদস্য জীবন দিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এক হাজারের অধিক সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। আমাদের দুই হাজারের অধিক সদস্য বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে। বিশ্বে এমন কোন ফোর্স নাই যার সদস্য সংখ্যা নয় হাজার দিয়ে দেশের মানবাধিকার রক্ষার্থে বা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এমন কোন বাহিনী আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে।" ক্রসফায়ারের অভিযোগের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন,"বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়ে থাকে যে, গুলিবিনিময়ের যে ঘটনা বা ক্রসফায়ার আমরা বলে থাকি, আমরা মনে করি একটি দেশের সুস্থ বা স্বাভাবিক নাগরিক হিসেবে নিজের আত্মরক্ষার যে অধিকার এটা কিন্তু দেশের আইন দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানে যে গুলিবিনিময়ের যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমরা যখন প্রতিরোধের শিকার হয়েছি বা আমাদের উপর যখন সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে তখনই আমরা গুলি করেছি। এই গুলি বিনিময়ে আমাদের এখন পর্যন্ত ২৮ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় সেখানে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। সেখানে যাচাই বাছাই করা হয় এই গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কি না। যদি যথাযথ না থাকে, তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব ব্যবস্থা নিয়েছে।"সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার কথা উল্লেখ করে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন,"বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে, আপনারা বলেছেন,আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়েরা বলেছেন, আজকে র্যাবের আভিযানিক সাফল্যের কারণে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ (উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চলে) যে চরমপন্থিরা ছিল এটা কিন্তু প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। র‌্যাবের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হয়েছে। আমরা সুন্দরবন দস্যুমুক্তের তৃতীয় বর্ষ পালন করেছি। খুব কম দেশেই এমন নজির রয়েছে যে,সুন্দরবনের মত একটা বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল দস্যু মুক্ত হয়েছে। আপনারা জানেন সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হয়েছে,এখানে গুলি বিনিময় হয়েছে। এটাও দেখেছেন সুন্দরবনে ৩৬টি দস্যু বাহিনীর ৩২৬ জন আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের পুনর্বাসনে র‌্যাব যে মানবিকতা দেখিয়েছে,তাদের আমরা ঘর দিয়েছি, তাদেরকে গরু দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের পুনর্বাসনে যা যা করা দরকার আমরা তাই করেছি। বাশখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় যে জলদস্যু রয়েছে তাদেরও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বের কম বাহিনীই রয়েছে যারা এমন নজির রেখেছে।" র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স,যেখানে বিভিন্ন বাহিনীর চৌকস সদস্যদের নির্বাচন করে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে এই বাহিনীতে আনা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,"এই বাহিনীর নিজস্ব যে আইনশৃঙ্খলা রয়েছে বা নিয়ম রয়েছে তা অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করা হয়। এখানে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে না। র‌্যাবই সেই বাহিনী র্যাবই প্রথম যারা নিজস্ব সদস্যদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে দেখে যে আমাদের বাহিনীতে কোন মাদকাসক্ত রয়েছে কি না।
Link copied!