মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক নিয়োগে অরাজকতা

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, অক্টোবর ১৩, ২০২১

শিক্ষক নিয়োগে অরাজকতা

বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা ও দুর্নীতি নিরসনে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চালু করা হলেও দেড় দশক পর এই নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি আরও জটিলতা সৃষ্টি করেছে। আদালতের নির্দেশনা ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অদক্ষতার কারণে একদিকে লাখো বেকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিদ্যালয়গুলোতে পদ শূন্য রয়ে গেছে লাখখানেক। অন্যদিকে পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগের নীতিমালা পরিবর্তন ও তা সমন্বয়ের ব্যর্থতার কারণে চাকরিপ্রার্থী বেকারদের পকেট শূন্য হচ্ছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, এই পরিস্থিতির সহসা উত্তরণের পথ জানে না তারা। এ বিষয়ে গা করছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। নাটোরের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিন বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি বছরের জুলাইতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সরকারি সুপারিশ পান। এরপরও তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেননি। কবে পারবেন বা আদৌ পারবেন কি-না তা নিয়েও শঙ্কায় দিন কাটছে। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পর রেজাল্ট হয়েছে। যত খুশি তত আবেদন- এই নীতির কারণে আমি ৫০০টির বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ চেয়ে আবেদন করেছি। যার পেছনে খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। এই টাকা সুদের ওপর ঋণ করেছি। এখন সুদের কিস্তি দিতে হচ্ছে।’ আব্দুল্লাহ’র মতোই জটিল পদ্ধতির জালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ এখন শিক্ষিত বেকারের জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনটিআরসিএ’র এই ফাঁদে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন বেকাররা। এরপরও মিলছে না বহুল কাক্সিক্ষত নিয়োগ। গত আড়াই বছরে প্রতিষ্ঠানটি একজনও নিয়োগ দিতে না পারলেও এ সময়ে বেকারদের কাছ থেকে আদায় করেছে ২০০ কোটি টাকার বেশি। অথচ শিক্ষক শূন্যতায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধুঁকছে। এনটিআরসিএ’র হিসাবে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজ) প্রায় ৮৫ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে গেছে। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, দফায় দফায় আবেদন ফি আদায় করে এনটিআরসিএ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এতে দেশের নিম্নবিত্ত পরিবারের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা ঋণগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে এখনো আইন তৈরি না হওয়ায় এই জটিলতা নিরসন করা যাচ্ছে না। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের সনদ দিতে ২০০৫ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে এনটিআরসিএ। এই সনদ নিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য স্কুল-কলেজে আবেদন করতেন প্রার্থীরা। এরপর ব্যবস্থাপনা কমিটি পরীক্ষা নিয়ে তাদের নিয়োগ দিত। এতে বড় ধরনের দুর্নীতি ও অদক্ষ লোকরা শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই জটিলতা নিরসনে ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতায় পরিবর্তন করে এনটিআরসিএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানা জটিলতা ও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় মামলায় জড়িয়ে স্থবির হয়ে যায় এর কার্যক্রম। ফলে সুশাসন, যোগ্যতা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের যে কথা বলা হয়েছিল তা অধরাই রয়ে গেছে। জটিলতার ধাপে ধাপে ভোগান্তি এনটিআরসিএ’র নিয়ম অনুযায়ী, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের বিপরীতে প্রবেশ পর্যায়ের (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক ও জাতীয় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পেতে হয়। এরপর নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলারের মাধ্যমে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হয়। চূড়ান্ত ধাপে মেধা তালিকার শীর্ষ সারি থেকে শূন্যপদে একজন শিক্ষককে সুপারিশ করা হয়। এসব ধাপে ভোগান্তি চরম মাত্রায় ঠেকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ নিয়োগ, পরীক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে এনটিআরসিএ’র প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। জানা যায়, ২০১৫ সালে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা পাওয়ার পর আগের সনদধারীরা চাকরি পাওয়ার সুযোগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরপর হাইকোর্টে তারা একটি রিট করে। হাইকোর্টের আদেশে ১৫তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে একটি জাতীয় সমন্বিত মেধা তালিকা করা হয়। এই তালিকা ধরে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪০ হাজার পদে নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ। এই নিয়োগের পরও একাধিক মামলা হয়। তখন ১৩তম পরীক্ষার প্রার্থীরা আরেকটি রিট করে আলাদা নিয়োগ দাবি করেন। ২০২০ সালের মার্চে দেওয়া এক রায়ে আপিল বিভাগ ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ২০৭ জনকে নিয়োগ সুপারিশের নির্দেশনা দেন। তবে সে সময় এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ১৬৬টি রিটের রায়ে এনটিআরসিএকে সমন্বিত মেধাতালিকা করে নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদালত ১৬৬টি রিটের শুনানিতে এক নির্দেশনা দিলেও পরে ১৩তম নিবন্ধনের প্রার্থীদের করা রিটের আদেশে রিটকারীদের নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে। দুই রকম নির্দেশনা থাকায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এদিকে সর্বশেষ ২০১৮ সালে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই ২০১৫ সালের পর এনটিআরসিএ থেকে পাওয়া সনদধারী। কারণ পরীক্ষায় অর্জিত নম্বরের ভিত্তিতে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের আগে যারা এনটিআরসিএ’র সনদ পেয়েছেন তারা মেধা তালিকায় একদম পিছিয়ে। ফলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে তারা শত শত বিদ্যালয়ের শূন্য পদে আবেদন করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। কিন্তু প্রত্যেকে প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি ব্যয় করেছেন। আবার এসব প্রার্থীর আবেদনের বয়সসীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে তারা সরকারি চাকরিতে অবসরকালীন বয়সের সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগ জটিলতার বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এনটিআরসিএ’র এই নিয়োগ ব্যবস্থা খুবই কঠিন। আগের সনদধারীদের তুলনায় এখন যারা পরীক্ষায় বসছেন তারা ভালো করছেন। ফলে এই পিছিয়ে থাকা প্রার্থীরা নতুনদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না। তারা বারবার আবেদন করেও চাকরি পাচ্ছেন না। এতে তাদের সময়, মেধা, অর্থ সবই নষ্ট হচ্ছে।’ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএ’র বিশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগের সব দায়িত্ব এনটিআরসিএ’র। তাদের কোনো সমস্যা থেকে থাকলে মন্ত্রণালয়কে জানাবে। তার আগে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নেওয়া সমীচীন নয়। ফলে তাদের সমস্যা তাদেরই সমাধান করতে হবে।’ যতখুশি তত আবেদনের ফাঁদ এনটিআরসিএ শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে স্কুল বা কলেজ ক্যাটাগরিতে প্রার্থীরা আবেদন করেন। একটি আবেদনের খরচ ৩৫০ টাকা। আবার শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হওয়ার পর, অর্থাৎ জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়ার পর আবার নিয়োগের জন্য নতুন করে আবেদন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন ফি ১০০ টাকা। অর্থাৎ, বাংলাদেশে একমাত্র চাকরি এই বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ যেখানে দুবার আবেদনে টাকা নেয় সরকার। তবে শুধু এতটুকুই নয়। এই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রেও আছে বড় সমস্যা। একজন চাকরিপ্রার্থী তার বিষয়ে সারা দেশে যতগুলো শূন্যপদ থাকবে, সবগুলোতে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দেখা যায়, মেধা তালিকায় পিছিয়ে থাকা প্রার্থীদের কেউ কেউ ৫০০ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত বিদ্যালয়ে আবেদন করেন। এতে তাদের ব্যয় হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। যাদের মেধা তালিকা ওপরের দিকে তারাও ৫০ থেকে ৩০০টি শূন্য পদে আবেদন করেন। কারণ তারা কেউই নিশ্চিত নন মেধাতালিকায় সবার ওপরে কার নম্বর। এতে তারাও আবেদন ফি বাবদ ৫০-৬০ হাজার টাকা করে দেন এনটিআরসিএকে। এনটিআরসিএ থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ সম্পন্ন করার পর দীর্ঘ এই আড়াই বছরে আর কোনো নিয়োগ দিতে পারেনি। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন আবেদনকারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৬ হাজার। মাথাপিছু ৩৫০ টাকা ফি বাবদ আদায় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। ১৬তম আবেদনকারী ছিলেন ১১ লাখ ৭৬ হাজার, আবেদন ফি বাবদ আদায় ৪১ কোটি টাকা। ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনকারী ছিলেন ১১ লাখ ৬৫ হাজার, আদায় হয়েছে ৪১ কোটি। এছাড়া তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য আবেদন পড়ে ৯০ লাখ। যেখান থেকে মাথাপিছু ১১০ টাকা ফি বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকারও বেশি আদায় হয়েছে। এভাবে গত আড়াই বছরে প্রতিষ্ঠানটি বেকারদের কাছ থেকে আদায় করেছে মোট ২০৩ কোটি টাকা। অথচ এই সময়ে নতুন করে একজনও নিয়োগ দিতে পারেনি এনটিআরসিএ। নিয়োগপ্রত্যাশী একাধিক ব্যক্তি দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, এই টাকা জোগাড় করতে নিয়োগ প্রত্যাশীদের আত্মীয় স্বজনের কাছে হাত পাততে হয়। কেউ কেউ সুদের ওপর ঋণ নিয়ে আবেদন করেন। দেখা যায় চাকরি না হলেও ঋণের কিস্তি ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মূলত সমন্বিত মেধা তালিকায় পিছিয়ে থাকা প্রার্থীদের জন্য এ সমস্যা হয়েছে। তবে এটি তাদের জন্য সুযোগও বটে। দেখা যায়, মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকারা শূন্য পদ পূরণ করলে তাদের জন্য যেসব পদ খালি থাকে সেখানে যেতে পারে। তবে আমরা এই জটিলতা নিরসনের জন্য একটি আইন করছি। এটি হলে পিএসসির আদলে শুধু শূন্য পদের বিপরীতে প্রার্থী চেয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তখন এ সমস্যা আর থাকবে না।’ উত্তরের বাসিন্দা দক্ষিণে-পূর্বের বাসিন্দা পশ্চিমে এনটিআরসিএ’র গণবিজ্ঞপ্তিতে যত খুশি তত আবেদনের কারণে দেখা যায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা দক্ষিণাঞ্চলের কোনো একটি জেলায় চাকরি পাচ্ছেন। আবার পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা কোনো ব্যক্তি পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় চলে যাচ্ছেন। এতে তাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি হচ্ছে। ফলে তারা পছন্দসই জায়গায় যেতে আবারও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করছেন। দেখা যায়, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পাওয়া ৩৮ হাজার শিক্ষকের মধ্যে প্রায় ২০ হাজারই এই ক্যাটাগরির (ইনডেক্সধারী)। অর্থাৎ তারা প্রথম ও দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন। সে হিসেবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র ১৮ হাজার শিক্ষক। ফলে শিক্ষক শূন্যতা আরও প্রকট হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা যখন এনটিআরসিএকে দেওয়া হয় সে সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আগে ঘুষ দিয়ে অদক্ষ-অযোগ্য লোক গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ পেতেন। এখন সেটি লাগে না, এটা এনটিআরসিএ’র ভালো দিক। তবে প্রতিষ্ঠানটি গতিশীল হতে পারেনি কারণ এখানে সব সমস্যা সৃষ্টি করেছেন আগের সনদধারীরা। এদের বেশিরভাগই ভুয়া সার্টিফিকেটধারী। তারা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেতে চান। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ হলো নিয়োগ পদ্ধতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল এনটিআরসিএ সারা দেশের শূন্য পদ সংগ্রহ করে তার বিপরীতে ২০ শতাংশ বেশি ধরে নিয়োগ পরীক্ষা নেবে। উপজেলাভিত্তিক মেধাতালিকা করা হবে। যাতে প্রার্থীদের অন্য দূর-দূরান্তে যেতে না হয়। সবশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেয়াদ ৩ বছর করতে হবে। যাতে তারা পরে সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এগুলো হয়নি। এতে সমস্যা বেড়েই চলেছে।’ ‍সূত্র: দেশ রূপান্তর
Link copied!