শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ সময়ে চাপ বাড়ছে ইসির

প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

শেষ সময়ে চাপ বাড়ছে ইসির

করোনার কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকায় শেষদিকে চাপ বাড়ছে নির্বাচন কমিশনে। বর্তমান কমিশনের হাতে সময় আছে চার মাস ২৬ দিন। এর মধ্যে আয়োজন করতে হবে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও একটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন সিইসি কেএম নূরুল হুদাসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি চলতি কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। সেই হিসাবে এই কমিশনের হাতে সময় আছে ১৪৯ দিন অর্থাৎ পাঁচ মাসেরও কম। এর আগে ইউপি নির্বাচনের ভোট ছয়-সাত ধাপে করা হলেও এবার সময় কম থাকায় তিন ধাপে ভোট করতে চায় কমিশন। সে হিসাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে সবগুলো ইউনিয়নের নির্বাচন। এ ছাড়া স্থগিত হওয়া কিছু পৌরসভার ভোটও হবে এ সময়ের মধ্যে। বিগত নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অনীহা ও কেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতি যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, সেটি ঘোচাতে এই নির্বাচনকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থগিত ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচন : করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে সবশেষ ২১ জুন প্রথম ধাপে ২০৪ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর মোট ১৬৭ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়। চলতি মাসে (২ সেপ্টেম্বর) ৮৫তম কমিশন সভা শেষে জানানো হয়, প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬৭ ইউনিয়ন ও সপ্তম ধাপের স্থগিত ৯ পৌরসভায় ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোট : গত ১১ আগস্ট থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। ইসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এই সিটিতে ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম সভা হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে মেয়াদ শেষ হবে (প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর) ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সিটি নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং শিক্ষকদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিবেচনায় ওইসব পরীক্ষা শুরুর আগেই ইউপি নির্বাচন করতে চায় ইসি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরই জেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজন করবে কমিশন। নভেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের নামের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ওই জনপ্রতিনিধিদের নিয়েই জেলা পরিষদের ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। সেই ভোটার তালিকার ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারি মাসে জেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউপি নির্বাচন কটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও ঠিক হয়নি, এটি নির্ভর করছে সচিবালয়ের প্রস্তুতি, ব্যালট পেপার ছাপা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। এ বিষয়ে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা ডিউ নির্বাচনগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাচ্ছি। জেলা পরিষদ নির্বাচন নির্ভর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা যদি আমাদের নির্বাচন করতে বলে তা হলে করব আর না বললে করব না। তারা এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। যতদূর জানতে পেরেছি, আইনের পরিবর্তন হতে পারে। তা হলে আইন পরিবর্তনের পরই নির্বাচন করব। এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, শুরুতে একটা পরিকল্পনা ছিল ছয়-সাত ধাপে ইউপি নির্বাচন করার। কমিশনের একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে ডিসেম্বরের মধ্যে ইউপি ও পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করার।  
Link copied!