মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ৫জি যুগে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ৫জি যুগে বাংলাদেশ

ডেইলি খবর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবার (৫জি) যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকে দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হলো ৫জি সেবা।রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘নিউ ইরা উইথ ৫ জি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এ সেবার উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে রাজধানীর ৬টি স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫জি সেবা চালু থাকবে।সাইটগুলো হলো-বাংলাদেশ সচিবালয়, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল।১২ ডিসেম্বর জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস।তাই পরীক্ষামূলক ৫জি সেবা চালুর জন্য এ দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে পরীক্ষামূলক চালু হলেও ২০২২ সালের মধ্যে রাজধানীর ২০০টি টাওয়ারে ৫জি সেবা চালু করবে অপারেটরটি। এদিকে শিগগিরই সারা দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি সেবা পৌঁছে যাবে বলে এক ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ্ এমপি।আরও উপস্থিত ছিলেন-ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো:খলিলুর রহমান,বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো:সাহাব উদ্দিন। এছাড়া হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রধান সিমন লিন ও হুয়াওয়ের টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। জানা যায়,এখন যেসব এলাকায় নেটওয়ার্ক আছে সেগুলোর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ৫জি সেবা প্রদানের জন্য টেলিটককে ইতোমধ্যে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। এছাড়া ৫জি সেবার জন্য অপারেটরটিকে ইতোমধ্যে স্পেকট্রামও বরাদ্দ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। মোবাইল ফোনের পঞ্চম জেনারেশন ইন্টারনেটকে সংক্ষেপে বলা হয় ফাইভজি বা ৫জি। ৪জির তুলনায় অনেক দ্রæতগতিতে ইন্টারনেট থেকে তথ্য ডাউনলোড-আপলোড করা যায় এই ৫জি সেবায়। হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্কে। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে একই সময়ে অনেক মোবাইল ফোনে দ্রæতগতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। মানুষ ও ডিভাইসের মধ্যে তৈরি হবে জিরো ডিসটেন্স কানেক্টিভিটি। এতে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি সহজ হয়ে যাবে প্রযুক্তিনির্ভর অনেক কাজ।
Link copied!