রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

সবজির দাম কিছুটা কমলেও ঈদের আগে থেকেই জিরার দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, জুলাই ২১, ২০২৩

সবজির দাম কিছুটা কমলেও ঈদের আগে থেকেই জিরার দাম ঊর্ধ্বমুখী

সব ধরনের সবজির দামই কমে এসেছে। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। তবে সবার নাগালের মধ্যে এসেছে— এমনটা বলা যাচ্ছে না। কারণ ক্রেতাদের কাছে এখনও সবজির দাম বেশি। ক্রেতারা বলছেন সব সবজির দামই বেশি আর বিক্রেতারা বলছেন কমার কথা। সবজির দাম কিছুটা কমলেও ঈদের আগে থেকেই জিরার দাম ঊর্ধ্বমুখী এবং এখনও তা চলমান। শুক্রবার (২১ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে বাজারের এ চিত্র পাওয়া যায়। আজকের বাজারে সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে কিছুটা কম মূল্যে। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০, পেঁপে ৪৫-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ২৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৪০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ কেজি। লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০ টাকা পিস। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সব সবজির দামই কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। চাকরিজীবী সোহেল বাজার করতে এসে বলেন, সব সবজির দামই বেশি। কোনও কমদামি সবজি নেই। আরেক ক্রেতা মিঠুন বলেন, যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে সেভাবে তো আমাদের বেতন বাড়ছে না। তার মানে হয় আমাদের বেতন বাড়াতে হবে না হয় সবকিছুর দাম কমাতে হবে। সবজি বিক্রেতা ইসমাইল বলেন, আজকে সব সবজির দামই কমেছে। কিছু সবজি আগের দামেই বিক্রি করছি। এছাড়া আজকে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৮০ টাকা , চায়না রসুন ২০০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা শরিফুল বলেন, আদার দাম কমেছে। সামনে আরও কমবে। কারণ নতুন আদা উঠার সিজন চলে আসছে। আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ১৮০০-২৪০০, রুই মাছ ৪০০-৪৫০, কাতল মাছ ৪০০-৪৫০, চিংড়ি মাছ ৯০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৮০০, কই মাছ ২৬০, পাবদা মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০- ৬৫০, বেলে মাছ ১০০০ টাকা কেজি। আর ব্রয়লার মুরগি ১৬২-১৬৮, কক মুরগি ২৭৫-২৮০, দেশি মুরগি ৫৫০, গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। তবে কমেছে সয়াবিন তেল ও আটার দাম। আজকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম জানা যায় ১৭৯ টাকা লিটার। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। আর দুই কেজির প্যাকেট আটার দাম ১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। খোলা আটার দামও কমেছে। এখন ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খোলা আটা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ টাকা কেজি। এছাড়া মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়ে চলেছে জিরার দাম। ঈদের আগে থেকে এখন পর্যন্ত বাড়ছেই। আজ জিরা বিক্রি হচ্ছে ১২২০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০০ টাকা কেজি। সততা ট্রেডার্সের বিক্রেতা সোহাগ বলেন, একটার দাম বাড়ে তো একটার কমে। ঈদের আগে থেকেই জিরার দাম বাড়তি। গত সপ্তাহে আমার কেনা ছিল ৯৮০ টাকা, বিক্রি করেছি ১০০০ টাকায়। আজকে আমার কেনা ১২০০ টাকা আর বিক্রি করছি ১২২০ টাকায়। আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম বাড়ার কারণে এখন ২-৩ কেজি করে জিরা কিনি। আগে কিনতাম ৫-১০ কেজি করে। এখন প্রতিদিনই প্রায় দাম উঠা-নামা করে, তাই অল্প করে কিনে বিক্রি করি।
Link copied!