ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিবস্ত্র করে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুম।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হল ছাড়েন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মৌখিক আদেশে তাদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছি। তারা হল থেকে চলে গেছেন।
গতকাল এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন এবং সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও ১০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত অন্তরাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে । সেই সঙ্গে ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত নিশ্চিত করেন।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্সি কামরুল হাসান অনিককে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে তাদের সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জেনেছি। ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রক্টরিয়াল বডি এবং পুলিশকে বলেছি। শিগগিরই ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।