শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১০ হাজার টাকার সুদ ৪০ হাজার নিয়ে আরও সুদের টাকর জন্য বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করেছে সুদের কারবারি!

প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, অক্টোবর ২৪, ২০২১

১০ হাজার টাকার সুদ ৪০ হাজার নিয়ে আরও সুদের টাকর জন্য বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করেছে সুদের কারবারি!

ডেইলি খবর ডেস্ক: দশ হাজার সুদ ৪০ হাজার টাকা সুদ নিয়েও আরও সুদের টাকার জন্য বকশীগঞ্জে এক বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র হতে বাধ্য করেছে এক সুদের কারবারি। তবে বিবস্ত্র হয়েও সুদের টাকার দায় থেকে মুক্তি পাননি ঐ দরিদ্র বৃদ্ধ।সুদেও কারবারির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঐ দিনমজুর। ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ উপজেলার নতুন টুপকারচর গ্রামে। স্থানীয়রা জানান,মেরুচর ইউনিয়নের নতুন টুপকারচর গ্রামের সাধু শেখের ছেলে সফিকুল ইসলাম এলাকায় চিহ্নিত অবৈধ সুদের কারবারি। গত চার বছর আগে তার কাছ থেকে চড়া সুদে ১০ হাজার টাকা নেন একই এলাকার মৃত বাচ্চু শেখের ছেলে নান্ডা শেখ (৫৫)। ১০ হাজার টাকা সুদে নিলেও গত চার বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা সুদ দেন নান্ডা শেখ। আসল ১০ হাজার টাকা থেকেও ৫ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি। এরপরেও ৫ হাজার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকেন সফিকুল। করোনার কারণে ঐ ৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না নান্ডা শেখ। গত ১ মাস আগে সফিকুল মিয়া বৃদ্ধ নান্ডা শেখকে শর্ত দেয় প্রকাশ্যে বিবস্ত্র হতে পারলে ৫ হাজার টাকা আর ফেরত দিতে হবে না। টাকা ফেরত দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে অসহায় বৃদ্ধ নান্ডা শেখ সবার সামনে বিবস্ত্র হন। বৃদ্ধ নান্ডা শেখ ভেবেছিলেন ৫ হাজার টাকা আর ফেরত দিতে হবে না। সফিকুলও একমাস আর টাকা চায়নি। গত শুক্রবার সফিকুল আবারো নান্ডা শেখকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। টাকা দিতে না পারায় প্রকাশ্যে বৃদ্ধ নান্ডা শেখকে মারধর করে সফিকুল।স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান,এই ঘটনায় রাতেই গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়েছে। শালিসে সফিকুল ইসলাম নান্ডা শেখের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান,বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্র-ইওেফাক  
Link copied!