বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০২২ সালে সড়কে ১০ হাজার প্রাণহানি

প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, জানুয়ারি ২, ২০২৩

২০২২ সালে সড়কে ১০ হাজার প্রাণহানি

সদ্য বিদায়ী বছরে সারা দেশে মোট ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এতে প্রাণ গেছে ৯ হাজার ৯৫১ জনের। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৫৬ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালে সড়কে দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট বছরে নিবন্ধিত যানবাহনের পাশাপাশি ছোট যানবাহনের (বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক) সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার সরকারি আদেশ অমান্য করে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে গত আট বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালে রেলপথে ৬০৬টি দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত এবং ২০১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ৩৫৭ জন নিহত, ৩৫৭ জন আহত এবং ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বছরটিতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট সাত হাজার ৬১৭ দুর্ঘটনায় দশ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন। বছরজুড়ে দুর্ঘটনাগুলোর ৯ হাজার ৬১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ট্রাক-পিক আপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৬ দশমিক ২২ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক এবং ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা রয়েছে। মোট দুর্ঘটনার ৫২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৫ দশমিক ৭১ শত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০ দশমিক ৪০ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে এবং ০ দশমিক ৯১ শতাংশ দুর্ঘটনা ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষজনিত। পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ গাড়িচাপা, শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা কমেছে। তবে ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় সদ্য বিদায়ী বছরটিতে ছোট যানবাহনের সংখ্যা হঠাৎ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং এসব যানবাহন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও জাতীয় মহাসড়কে ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তবে ফিডার রোডে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে।
Link copied!