বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০ সেকেন্ডে ১০-১৫টি কোপ, প্রাণে বাঁচলেও চোখ হারাচ্ছেন রুশদি

প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, আগস্ট ১৩, ২০২২

২০ সেকেন্ডে ১০-১৫টি কোপ, প্রাণে বাঁচলেও চোখ হারাচ্ছেন রুশদি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় রুশদির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০-১৫ বার কোপানো হয়েছে রুশদিকে। খবর ডেইলি মেইলের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মঞ্চে কারও সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছিল লেখককে। সেই সময় আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। চলতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো। ওই সময় মঞ্চে অবস্থানকারীরা দ্রুত হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। তার ঘাড়ে কোপ মারা হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠায়। গ্রেফতার করা হয় হামলাকারীকেও। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত। এদিকে শুক্রবার রাতে সালমান রুশদির এজেন্ট আন্দ্রে উইলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মঞ্চে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তাকে এখন ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন না। হয়তো তিনি এক চোখ হারাতে পারেন। তার লিভারে আঘাত করা হয়েছে এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সালমান রুশদি নানা কারণে আলোচিত ও সমালোচিত। তার বিরুদ্ধে লেখায় ইসলাম ও মুসলিমদের অমূলক নিন্দা ও নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কুৎসা রটনার অভিযোগ রয়েছে। তার লেখা নিয়ে নানা সময়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুসলিম বিশ্ব। ৪০ বছরের লেখক জীবনের শেষ ভাগটি সালমান রুশদি নিরাপত্তার কারণে এক ধরনের আত্মগোপনেই কাটাচ্ছেন। তবে এতে তার লেখালেখি থেমে থাকেনি এবং তিনি পাশ্চাত্যের পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও বঞ্চিত হননি। ২০০৭ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘নাইটহুড’ উপাধিও লাভ করেন। লেখক হিসেবে সালমান রুশদি প্রথম আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন ‌‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাসের জন্য। ১৯৮১ সালে তিনি এজন্য 'ম্যান বুকার পুরস্কার' লাভ করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত পরবর্তী উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তিনি বিশ্ব মুসলিমের প্রতিবাদ ও নিন্দার সম্মুখীন হন। তারপর থেকে নিরাপত্তার কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে ও প্রহরীবেষ্টিত জীবনযাপন করছেন সালমান রুশদি। এ যাবৎ তিনি ১৩টি উপন্যাসসহ অনেক ছোটগল্প ও নন-ফিকশন গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য ১৯৯০ সালে লেখা 'হারুন অ্যান্ড দ্য সি অব স্টোরিজ', ১৯৯৫ সালে রচিত 'দ্য ম্যুরস লাস্ট সাই' ও ১৯৯৯ সালে লেখা ‘দ্য গ্রাউন্ড বিনিথ হার ফিট’ উল্লেখযোগ্য।
Link copied!