বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৩ জুলাই থেকে লকডাউনে পোশাক কারখানাসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, জুলাই ১৭, ২০২১

২৩ জুলাই থেকে লকডাউনে পোশাক কারখানাসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

ডেইলি খবর ডেস্ক: দেশে ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে দেশজুড়ে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট শিল্পকলকারখানা বন্ধ রেখে সবচেয়ে কঠোর একটা লকডাউন হতে যাচ্ছে। বিধিনিষেধ কঠোর হবে,এ জন্য সবকিছুই তখন বন্ধ থাকবে। শনিবার বিজিবি-৬এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো:খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন আয়োজিত ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি এবং তাদের পরামর্শগুলো খুবই উপযোগী। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত তারা দেয়। কিন্তু একটি জিনিস পরিষ্কার। আমরা যত দিন পরিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নিতে না পারছি, তত দিন মাস্ক পরতে হবে। ঈদের আগে আট দিন বিধিনিষেধ শিথিলের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘এই সময়ে চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করলেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি কিন্তু শিথিল করিনি। প্রত্যেকটি মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। ঈদের আগের এই এক সপ্তাহ বিশেষ কারণে আমাদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে হচ্ছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, মাস্ক পরে এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে চলে, বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে আসবে না, ঘরে থাকে।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, বিজিবির যশোর রিজিওনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো: নজরুল ইসলাম সরকার,মেহেরপুরের জেলাপ্রশাসক মনসুর আলম খান, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত,করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে। তারপরেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পরে আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত মোট আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই আদেশে বলা হয়, ১৫ জুলাই ভোর থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে। নতুন প্রজ্ঞাপনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট, গণপরিবহন বন্ধের পাশাপাশি পোশাকসহ সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।  
Link copied!