শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মাসে রিজার্ভের ৮৫০ কোটি ডলার বিক্রি

প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩

৭ মাসে রিজার্ভের ৮৫০ কোটি ডলার বিক্রি

দেশে গত বছর থেকেই চলছে ব্যাপক ডলার সংকট। সংকট কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার। বাজার নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ থেকে সহয়তা করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরপরেও কমছে না বৈদেশিক মুদ্রাটির অভাব। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৮৫০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, জরুরি আমদানির দায় মেটাতে ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরেও আটকে আছে ব্যাপক পরিমাণ পণ্য। এসব সংকট সমাধানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সাত মাসে ৮৫০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে উল্টো প্রায় ৮০০ কোটি ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কমছে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়। একইসঙ্গে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে পাঁচ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। সংকট কাটাতে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে আর্থিক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে। রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা, স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাশুল মওকুফ ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বাড়বে। একইসঙ্গে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। রমজানের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ চলছে। সংকটের মধ্যে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে প্রবাসী আয়। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২০ দিনে ১৩১ কোটি ৫২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৬ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
Link copied!