মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রতারণা/সব ধরনের গরুর মাংস একই দামে বিক্রি

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ১২:২৪ পিএম

প্রতারণা/সব ধরনের গরুর মাংস একই দামে বিক্রি

দেশে বিভিন্ন জাতের গরুর লালন-পালন খরচ বিভিন্ন রকম হলেও বাজারে সব ধরনের গরুর মাংস বিক্রি হয় একই দামে। এমনকি ষাঁড়, বলদ ও গাভির মাংসের দামেও কোনো পার্থক্য নেই। ক্রেতারা হচ্ছে প্রতারিত। প্রতারকচক্র সারাদেশেই এভাবে মাংস বিক্রিকে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা কওে যাচ্ছে। বাজারের এমন কাঠামোর পরিবর্তন চায় ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, ক্রেতারা যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই গড়ে ওঠবে গরুর মাংস বিক্রির বাজার কাঠামো।
লালন-পালন খরচ আর স্বাদ বিবেচনায় মুরগির বাজারে সামর্থ্য অনুযায়ী মাংস কেনার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গরুর মাংসে সেই সুযোগ নেই বললেই চলে। ভোক্তারা জানান, গরুর মাংস কেনার সময় কোনটা ষাড়, আর কোনটা গাভির বোঝা মুশকিল, তবে দাম দিতে হয় একই।
একই দামে বিভিন্ন মান ও স্বাদের গরুর মাংস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা। তাদের প্রশ্ন: দেশি, ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি, শাহীওয়াল, রেড চিটাগং গরু, কিংবা গাভি, ষাঁড় ও বলদের লালন-পালন খরচ ও চাহিদাও কি সমান। ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশি গরুর লালন-পালন খরচ ফার্মের গরুর তুলনায় বেশি। এছাড়া স্বাদেও পার্থক্য রয়েছে ষাড় ও গাভির মাংসের। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎপাদন খরচে পার্থক্য থাকার পরও এক দামে সব ধরনের গরুর মাংস বিক্রি করা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। 
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আল-নূর মো. ইফতেখার রহমান বলেন, সব জাতের গরুর উৎপাদন খরচ এক নয়। তবে মাংস ব্রিক্রির সময় সব জাতের গরুর মাংসই বিক্রি হচ্ছে এক দামে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা।
দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতাকে ঠকিয়ে আসা এ বিপণন কাঠামোর পরিবর্তন চায় ক্যাব। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মাংস বিক্রির সময় গরুর জাত উল্লেখ করা উচিত। এতে কমবে সুযোগসন্ধানীদের প্রতারণা। ন্যায্যমূল্যে মাংস পাবেন ভোক্তারা।
অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, ভোক্তারা চাইলেই গড়ে উঠবে বিভিন্ন দামে গরুর মাংস বিক্রির বাজার কাঠামো। যেখানে ক্রেতারা দেখে-শুনে সার্মথ্য অনুযায়ী কিনতে পারবেন চাহিদা মতো গরুর মাংস। এরই মধ্যে আধুনিক স্টার হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে শুরুও হয়েছে সেই পথচলা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, গরুর মাংস ন্যায্যদামে বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। ভোক্তারা চাইলেই গড়ে উঠবে বিভিন্ন দামে গরুর মাংস বিক্রির বাজার কাঠামো।
আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন জাতের গরুর লালন-পালন খরচ হিসাব করে ভিন্ন ভিন্ন দামে গরুর মাংস কেনার সুযোগ ভোক্তারা কবে পাবেন। আর আদৌ পাবেন কি না! এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও সব বাজারে কার্যকর করতে হয়তো সময় লাগবে; কিন্তু ক্রেতারা চাইলে ভিন্ন ভিন্ন দামে গরুর মাংস কেনার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারেন এখন থেকেই। এদিকে অভিযোগ লয়েছে সারাদে;শের বিভিন্ন বাজাওে অসুস্থ গরু জবাই কওে কৌশলে ভালো গরুর সাথে সংমিশ্রন ঘটিয়ে সমানমুল্যে বিক্রওয় করা হচ্ছে। যা ক্রেতারা জানতে পারছে না বা জানার কোনো উপায়ও নেই। অভিজ্ঞরা মনে করেন এসব অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে র‌্যাবিজ জাতীয় রোগ হতে পারে। যা জনস্বান্থ্যেও জন্য মারাত্মক হুমকী।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!