রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১

দেশে এখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ওপরে

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম

দেশে এখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ওপরে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২১ বিলিয়ন ডলারের গন্ডি পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ দাঁড়িছিল ২,১৩৬ কোটি ডলার বা ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। একই দিনে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২,৬২০ কোটি ডলারের বেশি।  গত ডিসেম্বরে রিজার্ভে ২৬২ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় রিজার্ভে এই উন্নতি দেখা যাচ্ছে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের  প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 
প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত নভেম্বরের শেষ দিকে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৮ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে দেশের নিট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ কোটি ডলারও গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২০ কোটি ডলারের ওপরে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ডিসেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৬২ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ১৭৪ কোটি ডলার। এর আগে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮৪৪ কোটি ডলারে নেমে আসে। তারপর থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় থেকে ডলার রিজার্ভে যোগ হওয়ার কারণে আবার তা বেড়েছে।
এদিকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আকুর গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের দেনা পরিশোধ করা হবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা কমে আসতে পারে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মাসে জুলাইয়ে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ৪২ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৪০ কোটি ৪৮ লাক ডলার, অক্টোবরে সামান্য কমে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার ও নভেম্বরে আরো কমে ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ডিসেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহে রেকর্ড গড়ে যায়। ওই মাসে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। এদিকে রপ্তানি আয়ও বাড়তে শুরু করেছে।
বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর বকেয়া আমদানির দায়ও করতে শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সমরকারের পতনের সময় আমদানি খাতে বিদেশ ব্যাংকগুলোর কাছে বকেয়া দায় ছিল ৩৭০ কোটি ডলার।
গত পাঁচ মাসে ৩৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এখন বকেয়া রয়েছে ৪০ কোটি ডলার। এগুলোও অচিরেই পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি নতুন কোনো আমদানির দায় বকেয়া রাখা হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করা হচ্ছে।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!