মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঈদের আগে মাংসের বাজারের পরিস্থিতি

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

ঈদের আগে মাংসের বাজারের পরিস্থিতি

মাংসের বাজার ঈদের আগেই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।ঈদের বাকি আরও তিন দিন। এরমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মুরগির দাম। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আর বাজারের সঙ্গে মহল্লার দোকানে ডিমের দামে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার, কাপপ্তাবাজার,মালিবাগ, শান্তিনগর, নিউমার্কেট, জিগাতলাসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।আর কয়দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে বাড়ছে মাংসের চাহিদা। এই সুযোগে রাজধানীর বাজারে বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার, সোনালিসহ সব ধরনের মুরগির দাম।বাজারে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। আর ৪০ টাকা কেজিতে বেড়ে সোনালি মুরগি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়।প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়
এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে মুরগির দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী দিদার বলেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে দাম বাড়ে মুরগির। কারণ এ সময় ঈদের শপিং করতে গিয়ে মানুষ খাওয়া-দাওয়া করে বেশি। পাশাপাশি ঈদের জন্য মুরগি মজুতের প্রবণতাও থাকে। এতে চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়ে।
কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো: রিপন বলেন, ঈদ আসছে। এতে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। মানুষ কিনছে বেশি। এতে সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি।ক্রেতারা বলছেন, কোনো উৎসব এলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এই সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। না হলে অহেতুক বাড়তি পয়সা গুনতে হয় ভোক্তাকে।
মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়। ফাইল ছবি
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এতে বাজারে নতুন করে বাড়েনি গরু ও খাসির দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খালেদ বলেন,কমে গেছে গরুর মাংসের বেচাকেনা। ঈদে মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। যারা আছেন তারাও মুরগির চেয়ে গরুর মাংস কম কিনছেন।বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিমও। প্রতি ডজন লাল ডিম ১১৫১২০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে মহল্লার দোকানগুলোতে বাজারের সঙ্গে ডিমের দামে রয়েছে বিস্তর ফারাক। কোথাও কোথাও প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে দাম বৃদ্ধির কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি দোকানিরা।এদিকে গরমে মানুষের উপস্থিতিও কিছুটা কমেছে। ক্রেতাা জানান মাংসের বাজার আর কমানোর সুযোগ থাকছে না।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!