শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় কি হলো

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় কি হলো

দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে এবার মন্তব্য করেছে ইসলামাবাদ। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে ওযেবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে।এতে বলা হয়, বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পাশাপাশি বৈঠকে দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয় বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতি বলছে, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো দ্রæত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে।
পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে এবং শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে। এ ছাড়া বৈঠকে দুই পক্ষ করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরুর বিষয়টিকে দু’পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে বলেও জানানো হয় এতে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সংযোগকে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দুই পক্ষ সরাসরি আবার আকাশপথে যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণে অগ্রগতির প্রতিও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিতে বড় পরিসরে সহায়তায় বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে উভয় দেশ সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে।বহুপাক্ষিক ইস্যুতে উভয় পক্ষই সার্কের প্রতিষ্ঠাকালীন নীতির সঙ্গে মিল রেখে জোটটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের নেতৃত্বের দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, সার্ক প্রক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে নিরাপদ থাকবে। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া বৈঠকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে দুদেশ। পাক পররাষ্ট্র সচিব ৎুধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্যমূলক যে সাক্ষাৎ করেছেন সেটিও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে দুই দেশের মধ্যে আবারও আলোচনা হবে।

 

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!